গলাচিপা (পটুয়াখালী) : ছেড়া জাল সেলাই করতে ব্যস্ত জেলেরা -সংবাদ
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় পুরাতন জাল সেলাই ও মেরামতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে প্রায় সহস্রাধিক জেলে। ছিঁড়ে যাওয়া জাল সেলাই করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।
উপজেলার নলুয়াবাগি ইউনিয়নের অক্ষয়রাম স্লুইস ঘাটে জাল সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত মোসলেম ফকির জানান, জাল, দড়ি, বয়া, চাকাসহ মৎস্য আহরণের সকল সরঞ্জামাদির মূল্য অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া এবং সাগরে জলদস্যুদের তান্ডব, লুটপাট ও অপহরণের ভয়ে তারা এখন ছেঁড়া জাল সেলাইকেই বেছে নিয়েছে তাদের বিকল্প পেশা হিসেবে। জাল বুনুনের থুড়িয়া ও একটি ধারালো কাটাইল (চাকু) এদের শেষ সম্বল। সাগরে মাছ ধরা শেষে উপকূলে ফিরে আসা ট্রলারের ছিঁড়ে যাওয়া জাল সেলাই করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার জেলে এখন তাদের পেশা ছেড়ে বিকল্প পেশায় ঝুঁকে পড়ছে। অনেক জেলে এখন ছেঁড়া জাল সেলাই ও নতুন জালের দড়ি লাগানোকে জীবিকা নির্বাহের প্রধান পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলায় ছেঁড়া জাল সেলাই ও নতুন জালের দড়ি লাগানোর কাজ করে জীবিকা চালাচ্ছে অন্তত ৫শ‘ পরিবার। সাগরে কিংবা সাগর মোহনা সংলগ্ন এলাকায় যখন জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে তখন এদের মজুরি বাড়ে। আবার যখন সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকে তখন মজুরি কমে যায়। এমনকি তখন ৫০০ টাকা থেকে মজুরি কমে ২০০-৩০০ টাকায় নেমে আসে।
পানপট্টি ফিশারি ঘাটে বসে জাল সেলাই করেছেন হরিদেবপুর গ্রামের আবু তালেব গাজী, সোনাখালী গ্রামের সোবাহান মৃধা, আটখালী গ্রামের খালেক মাঝি, নিজকাটার মোতালেব মুন্সী। তারা জানান, দিনভর দড়ি লাগিয়ে একেকজনের মজুরি ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। নতুন জালে লাইলনের দড়ি লাগানো এবং ছেঁড়া জাল সেলাই করেই এদের জীবিকা চলে। গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান. স্বল্প আয়ের দরিদ্র জেলেদের ভাগ্যন্নয়নে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত সেবা প্রণয়ন করে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে যথা ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গলাচিপা (পটুয়াখালী) : ছেড়া জাল সেলাই করতে ব্যস্ত জেলেরা -সংবাদ
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় পুরাতন জাল সেলাই ও মেরামতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে প্রায় সহস্রাধিক জেলে। ছিঁড়ে যাওয়া জাল সেলাই করেই জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।
উপজেলার নলুয়াবাগি ইউনিয়নের অক্ষয়রাম স্লুইস ঘাটে জাল সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত মোসলেম ফকির জানান, জাল, দড়ি, বয়া, চাকাসহ মৎস্য আহরণের সকল সরঞ্জামাদির মূল্য অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া এবং সাগরে জলদস্যুদের তান্ডব, লুটপাট ও অপহরণের ভয়ে তারা এখন ছেঁড়া জাল সেলাইকেই বেছে নিয়েছে তাদের বিকল্প পেশা হিসেবে। জাল বুনুনের থুড়িয়া ও একটি ধারালো কাটাইল (চাকু) এদের শেষ সম্বল। সাগরে মাছ ধরা শেষে উপকূলে ফিরে আসা ট্রলারের ছিঁড়ে যাওয়া জাল সেলাই করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। উপকূলীয় এলাকার হাজার হাজার জেলে এখন তাদের পেশা ছেড়ে বিকল্প পেশায় ঝুঁকে পড়ছে। অনেক জেলে এখন ছেঁড়া জাল সেলাই ও নতুন জালের দড়ি লাগানোকে জীবিকা নির্বাহের প্রধান পথ হিসেবে বেছে নিয়েছে। জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলায় ছেঁড়া জাল সেলাই ও নতুন জালের দড়ি লাগানোর কাজ করে জীবিকা চালাচ্ছে অন্তত ৫শ‘ পরিবার। সাগরে কিংবা সাগর মোহনা সংলগ্ন এলাকায় যখন জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ে তখন এদের মজুরি বাড়ে। আবার যখন সাগরে মাছ শিকার বন্ধ থাকে তখন মজুরি কমে যায়। এমনকি তখন ৫০০ টাকা থেকে মজুরি কমে ২০০-৩০০ টাকায় নেমে আসে।
পানপট্টি ফিশারি ঘাটে বসে জাল সেলাই করেছেন হরিদেবপুর গ্রামের আবু তালেব গাজী, সোনাখালী গ্রামের সোবাহান মৃধা, আটখালী গ্রামের খালেক মাঝি, নিজকাটার মোতালেব মুন্সী। তারা জানান, দিনভর দড়ি লাগিয়ে একেকজনের মজুরি ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। নতুন জালে লাইলনের দড়ি লাগানো এবং ছেঁড়া জাল সেলাই করেই এদের জীবিকা চলে। গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান. স্বল্প আয়ের দরিদ্র জেলেদের ভাগ্যন্নয়নে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত সেবা প্রণয়ন করে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে যথা ব্যবস্থা নেয়া হবে।