alt

দশমিনায় পান চাষী অমলের সাফল্য

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন পান চাষী অমল ব্যাপারী। একটি পানের বরজ থাকলেই সারা বছরের বাজার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভও বেশি। তাই বছরের পর বছর বংশ পরস্পরায় পান চাষ করা যায়। তার সাফল্য দেখে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি অনাবাদি ও পতিত জমিতে পান চাষে কৃষক-কৃষানিদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষক পরিবার।

বর্তমানে হাট-বাজারে পানের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। তাই অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পান চাষে ঝুঁকে পড়ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এই সব এলাকার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার শুধুমাত্র পান চাষ করে স্বালম্বী হয়ে উঠছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও অধ্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে পান চাষ করে বদলে দিচ্ছেন নিজেদের ভাগ্য।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। আর পান বিক্রি করে আয় হয় ৭-৮লাখ টাকা। উপজেলার পান চাষি অমল ব্যাপারী বলেন, ২ বছর যাবৎ আমি পানের বরজের ব্যবসা করে আসছি। এই বছরও প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নতুন আরেকটি পানের বরজ করেছি। বরজ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষ পানের বরজ করে আসছে। একই এলাকার অন্য পান চাষি সুখরঞ্জন মিত্র বলেন, ছোটবেলা থেকেই পান চাষের সাথে জড়িত। পান চাষ তুলনামূলক লাভের দিকটাই বেশি। কেননা পান চাষের এক মাস থেকে দেড় মাসের মধ্যে বরজের পান বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। বর্ষার মৌসুমে পানের উৎপাদন একটু বেশি হয়। এই জন্য খুব একটা কাজের লোক রাখতে হয় না। শুধুমাত্র নিজেরাই নিজেদের কাজ করতে পানের বরজে। প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকরা পান চাষে দিন দিন আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাজারে বর্তমানে দামও ভালো পাচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা নেই। তবুও তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

ছবি

পুলিশের অভিযানে মহিবুল হাসান চৌধুরীর বাসভবনে সাতজন আটক

ছবি

শেরপুরে বক্কর হত্যা মামলার আসামি মনির গ্রেপ্তার

ছবি

‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি,’: রাবি শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার, সাথে চিরকুট

জয়পুরহাটে যাত্রীকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বুকিং সহকারী বরখাস্ত

৫ দিনেও জড়িতদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ!

ছবি

বরগুনায় পানি সংরক্ষণে ৩৬ কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়ম

ছবি

শেরপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

ছবি

তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস

ছবি

চকরিয়ায় পুরস্কারের প্রলোভনে বৃত্তি পরীক্ষার নামে বাণিজ্য

ছবি

রায়গঞ্জে ফুলজোড় নদী থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

ছবি

সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি

রাজবাড়ীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সার বিতরণ

ছবি

হাওরের প্রকৃতি, পরিবেশ রক্ষায় মতবিনিময় সভা

ছবি

দামুড়হুদায় বারোমাসি কাঁঠাল বাগানে রানার ভাগ্য বদল

ছবি

পদ্মার শাখা খালে বাঁধ, টঙ্গীবাড়ীতে নৌযান চলাচল বন্ধের আশঙ্কা

ছবি

শেরপুরে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ, আহত ৬

ছবি

পটুয়াখালীর মহিপুরে নিজ বসত ঘরে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মেঘনা নদীতে পাঙ্গাশে সয়লাব দেখা মিলেছে না ইলিশের

ছবি

অবৈধ স্থাপনার ক্ষতিপূরণ দিতে উদ্যোগ, জনমনে প্রশ্ন

ছবি

গলাচিপায় জাল সেলাই করে সংসার চলে সহস্রাধিক জেলের

মহেশপুর সীমান্তে ১০ মাসে ২ হাজার ৮৭৩ জন আটক

ছবি

কুষ্টিয়ায় জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ বিক্রির দায়ে ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে জায়গা মেলেনি চরাইহাটি স্কুলের, অফিস চলে জুতার দোকানে

দুমকিতে ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ

ছবি

মোহনগঞ্জে ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ তোষক কারিগরদের

ছবি

খোকসায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাম ফলক তুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

নওগাঁ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

গজারিয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা

ছবি

যশোরে তিনটি বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

কর্তৃক চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

ছবি

তালায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

চাটখিলে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সোর্সের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

ছবি

গোয়ালন্দে চক্ষু রোগীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

ছবি

তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রের চরে মাশকলাই চাষে বিপর্যয়, পোকায় খেয়েছে চাষির স্বপ্ন

ছবি

শাহরাস্তিতে বাড়ির চলাচলের রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া

tab

দশমিনায় পান চাষী অমলের সাফল্য

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন পান চাষী অমল ব্যাপারী। একটি পানের বরজ থাকলেই সারা বছরের বাজার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভও বেশি। তাই বছরের পর বছর বংশ পরস্পরায় পান চাষ করা যায়। তার সাফল্য দেখে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি অনাবাদি ও পতিত জমিতে পান চাষে কৃষক-কৃষানিদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষক পরিবার।

বর্তমানে হাট-বাজারে পানের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। তাই অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পান চাষে ঝুঁকে পড়ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এই সব এলাকার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার শুধুমাত্র পান চাষ করে স্বালম্বী হয়ে উঠছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও অধ্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে পান চাষ করে বদলে দিচ্ছেন নিজেদের ভাগ্য।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। আর পান বিক্রি করে আয় হয় ৭-৮লাখ টাকা। উপজেলার পান চাষি অমল ব্যাপারী বলেন, ২ বছর যাবৎ আমি পানের বরজের ব্যবসা করে আসছি। এই বছরও প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নতুন আরেকটি পানের বরজ করেছি। বরজ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষ পানের বরজ করে আসছে। একই এলাকার অন্য পান চাষি সুখরঞ্জন মিত্র বলেন, ছোটবেলা থেকেই পান চাষের সাথে জড়িত। পান চাষ তুলনামূলক লাভের দিকটাই বেশি। কেননা পান চাষের এক মাস থেকে দেড় মাসের মধ্যে বরজের পান বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। বর্ষার মৌসুমে পানের উৎপাদন একটু বেশি হয়। এই জন্য খুব একটা কাজের লোক রাখতে হয় না। শুধুমাত্র নিজেরাই নিজেদের কাজ করতে পানের বরজে। প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়।

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকরা পান চাষে দিন দিন আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাজারে বর্তমানে দামও ভালো পাচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা নেই। তবুও তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে।

back to top