পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন পান চাষী অমল ব্যাপারী। একটি পানের বরজ থাকলেই সারা বছরের বাজার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভও বেশি। তাই বছরের পর বছর বংশ পরস্পরায় পান চাষ করা যায়। তার সাফল্য দেখে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি অনাবাদি ও পতিত জমিতে পান চাষে কৃষক-কৃষানিদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষক পরিবার।
বর্তমানে হাট-বাজারে পানের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। তাই অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পান চাষে ঝুঁকে পড়ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এই সব এলাকার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার শুধুমাত্র পান চাষ করে স্বালম্বী হয়ে উঠছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও অধ্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে পান চাষ করে বদলে দিচ্ছেন নিজেদের ভাগ্য।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। আর পান বিক্রি করে আয় হয় ৭-৮লাখ টাকা। উপজেলার পান চাষি অমল ব্যাপারী বলেন, ২ বছর যাবৎ আমি পানের বরজের ব্যবসা করে আসছি। এই বছরও প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নতুন আরেকটি পানের বরজ করেছি। বরজ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষ পানের বরজ করে আসছে। একই এলাকার অন্য পান চাষি সুখরঞ্জন মিত্র বলেন, ছোটবেলা থেকেই পান চাষের সাথে জড়িত। পান চাষ তুলনামূলক লাভের দিকটাই বেশি। কেননা পান চাষের এক মাস থেকে দেড় মাসের মধ্যে বরজের পান বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। বর্ষার মৌসুমে পানের উৎপাদন একটু বেশি হয়। এই জন্য খুব একটা কাজের লোক রাখতে হয় না। শুধুমাত্র নিজেরাই নিজেদের কাজ করতে পানের বরজে। প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকরা পান চাষে দিন দিন আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাজারে বর্তমানে দামও ভালো পাচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা নেই। তবুও তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাণিজ্যিকভাবে পানের চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন পান চাষী অমল ব্যাপারী। একটি পানের বরজ থাকলেই সারা বছরের বাজার খরচ নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। উৎপাদন খরচ কম এবং লাভও বেশি। তাই বছরের পর বছর বংশ পরস্পরায় পান চাষ করা যায়। তার সাফল্য দেখে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে আবাদি অনাবাদি ও পতিত জমিতে পান চাষে কৃষক-কৃষানিদের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে যেমন চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি, অন্যদিকে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এলাকার প্রান্তিক কৃষক পরিবার।
বর্তমানে হাট-বাজারে পানের দাম ও চাহিদা খুব বেশি। তাই অন্য ফসলের তুলনায় পান চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকেই পান চাষে ঝুঁকে পড়ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। এই সব এলাকার উৎপাদিত পান দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক পরিবার শুধুমাত্র পান চাষ করে স্বালম্বী হয়ে উঠছেন। তাদের অনেকেই শ্রম ও অধ্যবসায়কে কাজে লাগিয়ে পান চাষ করে বদলে দিচ্ছেন নিজেদের ভাগ্য।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ২ একর জমিতে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক পানের বরজ রয়েছে। প্রতি একর জমিতে পানের উৎপাদন ব্যয় হয় গড়ে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা। আর পান বিক্রি করে আয় হয় ৭-৮লাখ টাকা। উপজেলার পান চাষি অমল ব্যাপারী বলেন, ২ বছর যাবৎ আমি পানের বরজের ব্যবসা করে আসছি। এই বছরও প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে নতুন আরেকটি পানের বরজ করেছি। বরজ করতে খরচ কম আর লাভ বেশি। আমাদের এলাকায় প্রায় মানুষ পানের বরজ করে আসছে। একই এলাকার অন্য পান চাষি সুখরঞ্জন মিত্র বলেন, ছোটবেলা থেকেই পান চাষের সাথে জড়িত। পান চাষ তুলনামূলক লাভের দিকটাই বেশি। কেননা পান চাষের এক মাস থেকে দেড় মাসের মধ্যে বরজের পান বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠে। বর্ষার মৌসুমে পানের উৎপাদন একটু বেশি হয়। এই জন্য খুব একটা কাজের লোক রাখতে হয় না। শুধুমাত্র নিজেরাই নিজেদের কাজ করতে পানের বরজে। প্রতিমাসে ২০-২৫ হাজার টাকা আয় হয়।
এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ বলেন, কৃষকরা পান চাষে দিন দিন আগ্রহ দেখাচ্ছে। বাজারে বর্তমানে দামও ভালো পাচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা নেই। তবুও তাদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে।