ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বরগুনায় বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত ‘রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম’ নামে প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, অর্ধসমাপ্ত কাজ রেখে বিল উত্তোলন এবং উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতির মতো নানা অভিযোগ উঠেছে। বরগুনার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
জানা যায়, উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া ‘রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম’ প্রকল্পের আওতায় জেলার তিনটি উপজেলায় পাঁচ হাজার ৫৪২টি পরিবারে তিন হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার ট্যাংক সরবরাহের কথা। প্রতিটি ইউনিটের জন্য বরাদ্দ ৪৫ হাজার টাকা। পাশাপাশি ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্মাণে অতিরিক্ত ছয় হাজার ৯৮০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। তবে পরিবারগুলোতে ট্যাংক, পাইপলাইন ও ফিল্টারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি।অন্যদিকে ট্যাংক বসানোর প্ল্যাটফর্ম নির্মাণে ব্যবহার হয়েছে নিম্নমানের ইট, কম সিমেন্ট ও নিম্নমানের বালু ব্যবহারেরও।
সরেজমিনে বরগুনা সদরের এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে প্রকল্পের দেওয়া পানির ট্যাংক দৃশ্যমান থাকলেও ব্যবহার ভুক্তভোগিরা ব্যবহার করছে পুকুরের পানি। উঠানের এক কোণে বসানো পানির ট্যাংক শুধু শোভা বর্ধনে নিয়োজিত।
একই অবস্থা প্রকল্প এলাকার অন্যসব বাড়িতেও। এই এলাকার অন্যান্য বাড়িতে গিয়েও সম্পূর্ণ পাওয়া যায়নি কোনো পানির প্ল্যান্ট। কোন কোন বাড়িতে শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করেই দায় সেরেছেন ঠিকাদার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের এই প্রকল্পের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুস প্রদান করতে হয়েছে। আবার প্ল্যাটফর্ম সম্পন্ন হওয়ার পরে বাড়ি পর্যন্ত পানির ট্যাংকগুলো নিয়ে আসতে হয়েছে উপকারভোগীদের নিজ খরচে।
ট্যাংক আনার দুই বছরেও দেওয়া হয়নি সংযোগ।
এ বিষয়ে বরগুনার বালিয়াতলী গ্রামের হামিদা বেগম বলেন, ‘প্রকল্পে নাম উঠাতে তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এরপর শুধু প্ল্যাটফর্ম করেই তারা চলে গেছে কিন্তু আজ পর্যন্ত পানির ট্যাংকসহ কিছুই পাওয়া যায়নি। পানির ট্যাংক এখনতাদের বোঝা হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন ও বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তাদের অফিসে গেলে তারা ঢাকা আছেন বলে অফিস থেকে জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের বারবার ফোন দেওয়া হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
বরগুনায় বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত ‘রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম’ নামে প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, অর্ধসমাপ্ত কাজ রেখে বিল উত্তোলন এবং উপকারভোগী বাছাইয়ে স্বজনপ্রীতির মতো নানা অভিযোগ উঠেছে। বরগুনার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
জানা যায়, উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া ‘রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেম’ প্রকল্পের আওতায় জেলার তিনটি উপজেলায় পাঁচ হাজার ৫৪২টি পরিবারে তিন হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার ট্যাংক সরবরাহের কথা। প্রতিটি ইউনিটের জন্য বরাদ্দ ৪৫ হাজার টাকা। পাশাপাশি ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্মাণে অতিরিক্ত ছয় হাজার ৯৮০ টাকা বরাদ্দ করা হয়। তবে পরিবারগুলোতে ট্যাংক, পাইপলাইন ও ফিল্টারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি।অন্যদিকে ট্যাংক বসানোর প্ল্যাটফর্ম নির্মাণে ব্যবহার হয়েছে নিম্নমানের ইট, কম সিমেন্ট ও নিম্নমানের বালু ব্যবহারেরও।
সরেজমিনে বরগুনা সদরের এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে প্রকল্পের দেওয়া পানির ট্যাংক দৃশ্যমান থাকলেও ব্যবহার ভুক্তভোগিরা ব্যবহার করছে পুকুরের পানি। উঠানের এক কোণে বসানো পানির ট্যাংক শুধু শোভা বর্ধনে নিয়োজিত।
একই অবস্থা প্রকল্প এলাকার অন্যসব বাড়িতেও। এই এলাকার অন্যান্য বাড়িতে গিয়েও সম্পূর্ণ পাওয়া যায়নি কোনো পানির প্ল্যান্ট। কোন কোন বাড়িতে শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করেই দায় সেরেছেন ঠিকাদার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের এই প্রকল্পের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে ৫-১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুস প্রদান করতে হয়েছে। আবার প্ল্যাটফর্ম সম্পন্ন হওয়ার পরে বাড়ি পর্যন্ত পানির ট্যাংকগুলো নিয়ে আসতে হয়েছে উপকারভোগীদের নিজ খরচে।
ট্যাংক আনার দুই বছরেও দেওয়া হয়নি সংযোগ।
এ বিষয়ে বরগুনার বালিয়াতলী গ্রামের হামিদা বেগম বলেন, ‘প্রকল্পে নাম উঠাতে তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এরপর শুধু প্ল্যাটফর্ম করেই তারা চলে গেছে কিন্তু আজ পর্যন্ত পানির ট্যাংকসহ কিছুই পাওয়া যায়নি। পানির ট্যাংক এখনতাদের বোঝা হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন ও বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তাদের অফিসে গেলে তারা ঢাকা আছেন বলে অফিস থেকে জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের বারবার ফোন দেওয়া হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।