এবার হেমন্তেই জেঁকে বসছে শীত। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে বইতে থাকে হিমেল হাওয়া। তার সঙ্গে যোগ হয় ঘন কুয়াশা। ছবিটি বুধবার সকালে রংপুরের একটি এলাকার -সংবাদ
এবার কার্তিক মাসের শেষেই রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। বুধবার,(১২ নভেম্বর ২০২৫) ছিল এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, যা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেুলিয়ায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অন্যান্য জেলাতে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও তার নিচে নেমে আসছে।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, কোল্ড ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগবালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে
ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই রংপুর বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের শৈত্যপ্রবাহের আভাস
অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার সঙ্গে সঙ্গে নিউমোনিয়া, সর্দি জ্বর কোল্ড ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগবালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার একটু আগেই শীত পড়তে শুরু করেছে এবং প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। ফলে চলতি নভেম্বর মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসারও আগাম সতর্কবাতা দেয়া হয়েছে আবহাওয়ো দপ্তর থেকে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলেও এবার নভেম্বর মাসের শুরু থেকে রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়াতে। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, ঠাকুরগাঁয়ে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি , দিনাজপুরে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি লালমনিরহাটে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি রংপুরে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং গাইবান্ধায় ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ জানান গত দুদিন ধরে সন্ধার পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে রাত যত গভীর হয় তাপমাত্রা ততই কমতে থাকে। তবে দিনের বেলা বিশেষ করে সকাল ১০টার পর থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা একটু বেশি লক্ষ্য করা গেলেও বিকেল ৫টার পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ফলে সন্ধ্যার পর রংপুর বিভাগে হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবার কারণে গরম কাপড় বিশেষ করে সুয়েটার জ্যাকেট,
চাদর পরিধান করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাতে এখন আর ফ্যান ব্যাবহার করতে হচ্ছে না বললেই চলে। কারণ রাত বাড়ার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার কারণে কাঁথা-কম্বল ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এদিকে এবার আগাম শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সহায় সম্বল হতদরিদ্র ও ভাসমান মানুষদের জন্য শীত বস্ত্র ও শিশুদের গরম কাপড় দেয়ার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে রংপুর ত্রাণ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বুধবার বিকেলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন রংপুরে শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীত বস্ত্র বরাদ্দ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চাহিদা জানিয়ে পত্র দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত বরাদ্দ পেয়ে গেলে আমরা শীত বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবো।
এদিকে শীত মৌসুমের শুরুতে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ভাইরাস জ্বর, নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া সর্দি-জ্বর , শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগবালাই বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন শত শত শিশু শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মমতাজ উদ্দিন জানান, এবার একটু আগাম শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শিশুদের সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত গরম পোশাক পড়িয়ে রাখা, ঠা-া যেন না লাগে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের প্রধান সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকেই রংপুর বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের শৈত্যপ্রবাহ হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
এবার হেমন্তেই জেঁকে বসছে শীত। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকে বইতে থাকে হিমেল হাওয়া। তার সঙ্গে যোগ হয় ঘন কুয়াশা। ছবিটি বুধবার সকালে রংপুরের একটি এলাকার -সংবাদ
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
এবার কার্তিক মাসের শেষেই রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। বুধবার,(১২ নভেম্বর ২০২৫) ছিল এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, যা রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ের তেুলিয়ায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। অন্যান্য জেলাতে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও তার নিচে নেমে আসছে।
পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, কোল্ড ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগবালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে
ডিসেম্বরের প্রথম দিকেই রংপুর বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের শৈত্যপ্রবাহের আভাস
অন্যদিকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার সঙ্গে সঙ্গে নিউমোনিয়া, সর্দি জ্বর কোল্ড ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগবালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার একটু আগেই শীত পড়তে শুরু করেছে এবং প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। ফলে চলতি নভেম্বর মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে। আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসারও আগাম সতর্কবাতা দেয়া হয়েছে আবহাওয়ো দপ্তর থেকে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলেও এবার নভেম্বর মাসের শুরু থেকে রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করেছে। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়াতে। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস, ঠাকুরগাঁয়ে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি , দিনাজপুরে ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি লালমনিরহাটে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি রংপুরে ১৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং গাইবান্ধায় ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ জানান গত দুদিন ধরে সন্ধার পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে রাত যত গভীর হয় তাপমাত্রা ততই কমতে থাকে। তবে দিনের বেলা বিশেষ করে সকাল ১০টার পর থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা একটু বেশি লক্ষ্য করা গেলেও বিকেল ৫টার পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। ফলে সন্ধ্যার পর রংপুর বিভাগে হিমেল বাতাস প্রবাহিত হবার কারণে গরম কাপড় বিশেষ করে সুয়েটার জ্যাকেট,
চাদর পরিধান করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে রাতে এখন আর ফ্যান ব্যাবহার করতে হচ্ছে না বললেই চলে। কারণ রাত বাড়ার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবার কারণে কাঁথা-কম্বল ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এদিকে এবার আগাম শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সহায় সম্বল হতদরিদ্র ও ভাসমান মানুষদের জন্য শীত বস্ত্র ও শিশুদের গরম কাপড় দেয়ার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে রংপুর ত্রাণ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রংপুরের জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল বুধবার বিকেলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন রংপুরে শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীত বস্ত্র বরাদ্দ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চাহিদা জানিয়ে পত্র দিয়েছি। আশা করছি দ্রুত বরাদ্দ পেয়ে গেলে আমরা শীত বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবো।
এদিকে শীত মৌসুমের শুরুতে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ভাইরাস জ্বর, নিউমোনিয়া, কোল্ড ডায়রিয়া সর্দি-জ্বর , শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগবালাই বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ চিকিৎসা কেন্দ্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহিঃবিভাগে প্রতিদিন শত শত শিশু শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে ভিড় করছে।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মমতাজ উদ্দিন জানান, এবার একটু আগাম শীতের তীব্রতা বাড়ছে। শিশুদের সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত গরম পোশাক পড়িয়ে রাখা, ঠা-া যেন না লাগে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের প্রধান সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকেই রংপুর বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি আকারের শৈত্যপ্রবাহ হবার সম্ভাবনা রয়েছে।