ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে ৫ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ওই যুবককে কয়েকটি চড় থাপ্পড় দিয়ে সালিশ মীমাংসা করে দেন স্থানীয় কয়েকজন মাতবর।
বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলার পার ঝনঝনিয়া গ্রামে।
শিশুটির বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যায় পাশের একটি বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় আমার মেয়ে। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রাইভেট থেকে আনতে যায় আমার ভাইয়ের ছেলে রহমত (২২)। পথিমধ্যে তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় হঠাৎ করে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে বিপ্লব মাতবর নামে এক ব্যক্তি সেখানে গেলে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় রহমত। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি।
বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন গত রোববার সালিশ মীমাংসায় বসেন স্থানীয় কয়েকজন মাতবর। তারা ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রহমতকে কয়েকটি চড় থাপ্পড় মারেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন কাজ না করে তার জন্য শাসিয়ে দেয়। রহমতের বাবাকে মাতবররা বলেন, তার ছেলেকে যেন দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ে না দিলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে সালিশ শেষ করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার জন্যও চাপ দেয়া হয় আমার পরিবারকে।’
থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ জঘন্য ঘটনার যদি সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে রহমত ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটাবে। বাকিরাও উৎসাহ পাবে।’
সালিশে অংশ নেয়া মাতবর রেজাউল করিম ও হানিফ মুন্সি ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে বলেন, ‘ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে ঘটেছে। তাই সালিশের মাধ্যমে ওই রহমতকে শাসন করা হয়েছে এবং গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্ত’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
গোপালগঞ্জে ৫ বছর বয়সী এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে তার চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর ওই যুবককে কয়েকটি চড় থাপ্পড় দিয়ে সালিশ মীমাংসা করে দেন স্থানীয় কয়েকজন মাতবর।
বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলার পার ঝনঝনিয়া গ্রামে।
শিশুটির বাবা অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যায় পাশের একটি বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় আমার মেয়ে। গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রাইভেট থেকে আনতে যায় আমার ভাইয়ের ছেলে রহমত (২২)। পথিমধ্যে তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় হঠাৎ করে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে বিপ্লব মাতবর নামে এক ব্যক্তি সেখানে গেলে তাকে ফেলে পালিয়ে যায় রহমত। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ওই ব্যক্তি।
বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন গত রোববার সালিশ মীমাংসায় বসেন স্থানীয় কয়েকজন মাতবর। তারা ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রহমতকে কয়েকটি চড় থাপ্পড় মারেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন কাজ না করে তার জন্য শাসিয়ে দেয়। রহমতের বাবাকে মাতবররা বলেন, তার ছেলেকে যেন দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেন। বিয়ে না দিলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে বলে সালিশ শেষ করে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার জন্যও চাপ দেয়া হয় আমার পরিবারকে।’
থানায় মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ জঘন্য ঘটনার যদি সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে রহমত ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটাবে। বাকিরাও উৎসাহ পাবে।’
সালিশে অংশ নেয়া মাতবর রেজাউল করিম ও হানিফ মুন্সি ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরে বলেন, ‘ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে ঘটেছে। তাই সালিশের মাধ্যমে ওই রহমতকে শাসন করা হয়েছে এবং গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। ইতোমধ্যে তদন্তও শুরু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযুক্ত’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’