alt

পলাশে এখনো চোখে পড়ে পরিবেশ বান্ধব মাটির ঘর

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী) : শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

পলাশ (নরসিংদী) : পরিবেশ বান্ধব মাটির ঘর -সংবাদ

বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের মাঝে জড়িয়ে আছে কতনা মনোরম জীবনযাপন। একসময় বাড়িতে ছিল বাঁশের ছনের ঘর, টিনের ঘর, মাটি ও টিনের ঘর, পরে আধাপাকা টিনসেড হতে এখন পাকা ঘরে আমরা বসবাস করছি। বাংলাদেশে এমন কোন অঞ্চল ছিলনা যেখানে মাটির দেয়াল ও উপরে টিনের ছাউনির বাড়িঘর ছিলনা। যাকে বলা হতে কোঠা ঘর। মনে করা হতো যার বাড়িতে একটি কোঠাঘর আছে তারা ধনী বা টাকাওয়ালা। এখনো দেশের বহু গ্রামে রয়েছে পরিবেশ বান্ধব মাটির ঘর বা কোঠা ঘর। এসব ঘরগুলোতে দেয়ালের প্রস্থ হয় আড়াই ফুট হতে তিন ফুটের মতো। ভিতরে বাহিরে নানা ধরনের নকশী, ফুল, ছোট্ট কুঠুরি দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করে মাটির ঘরগুলো তৈরি হয়।মাটিতে ধানের তুষ, কাঠের তক্তা, সুপারি বা তালাগাছের শাস ও চুন মিশ্রিত করে মাটি করা হতো মন্থন। যাতে ঘরগুলো টেকসই ও মজবুত হয়। বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নগরায়ণে, গ্রামে- গঞ্জের বাড়িঘরে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

তবে সরেজমিনে পলাশ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ঘুরে দেখা গেল পরিবেশ বান্ধব শান্তির মাটির কোঠাঘর। পলাশের জিনারদী ইউনিয়নে এখনো রয়েছে ৩০% মাটির ঘর। তবে ঘরগুলোর চারিদিকে পাকা বারান্দা দিয়ে আধুনিকতার পরশ দিয়ে পাকা টিনসেড পাকা বাড়ির রূপ দেওয়া হয়েছে। ঘোড়াশাল পৌরসভার গ্রামগুলোতে মাটির ঘর হাতে গণা। তবে ডাংগা,গজারিয়া, চরসিন্দুর ইউনিয়নে কিছু সংখ্যক মাটির ঘর চোখে পড়ে।

রাবানের পরিমল পাল জানায়, এখন তো মাটির ঘর থাকলে তাকে গরিব বলা হয়। অথচ আগে বলা হতো ধনীদের বাড়িতে মাটির ঘর থাকে। এখন মানুষের শিক্ষা- দীক্ষা, আয় উন্নতি বেড়েছে, প্রায়ই প্রতিটি বাড়ির দুজন তিনজন করে আয় করছে। অনেক মানুষ বিদেশ গিয়ে টাকা পাঠাচ্ছে। সবাই আধুনিক হয়ে গেছে। তাদের জীবনযাপনে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাই এখন মাটির ঘর দিনদিনান্তে কমে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন মাটির ঘরে গরমের দিন ঠান্ডা লাগে। শীতের দিনে লাগে গরম। খাগৈর গ্রামের শিক্ষক নিরঞ্জন দাস বলেন মাটির ঘরে থেকে যে আরাম পাওয়া যায় তা বিল্ডিংএ পাওয়া যায়না। আমরা মাটির মানুষ তাই মাটি আমাদের শান্তিতে রাখে।

সানের বাড়ির সুজন দত্ত বলেন, একসময় যাদুঘরে মাটির ঘরের ছবি থাকবে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি’ ও ঐতিহ্যের প্রতীক হলো পরিবেশ বান্ধব শান্তির মাটির ঘর বা কোঠাঘর।

ছবি

সিরাজগঞ্জে জমে উঠেছে মানুষ বিক্রির হাট

ছবি

বিপন্ন প্রজাতির ছাতিম ফুলের তীব্র ঘ্রাণে বিমোহিত পথচারী

ছবি

মধুপুর গড়ের লাল মাটিতে কমলা চাষ

ছবি

ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তার ডিমোশন

ছবি

লাখাই উপজেলায় আমন ধান ঘরে তোলার অপেক্ষায়

ছবি

বরগুনা-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়ক যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই

ছবি

ঝুলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচন, এবার বাদীকে আদালত অবমাননার নোটিশ

বাগেরহাটে সামাজিক জবাবদিহিতার টুলস বিষয়ক প্রশিক্ষণ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে এগ্রো ফার্মে চুরি

ছবি

গোয়ালন্দে যৌন উত্তেজক ঔষধ খেয়ে যুবকের মৃত

ছবি

গজারিয়ায় জনবল ঔষধ ও উপকরণ সংকটে পরিবার পরিকল্পনা সেবা ব্যাহত

ছবি

৩৮ বছরেও নেই অগ্রগতি, উদ্যোক্তা সংকটে ধুঁকছে লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরী

ছবি

কক্সবাজারের হোটেল কক্ষে পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে কাঠের পুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

ছবি

ডিমলায় ভূমি দস্যদের অবৈধ দখলে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে নদীগুলো

ছবি

কলারোয়ায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মসূচি

ছবি

অল্পের জন্য রক্ষা শতশত মানুষের প্রাণ

ঘুষ নিয়েও নথির দিতে অস্বীকার : সেবাগ্রহীতাকে মারধর

চট্টগ্রামে প্রতারণার মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

উলিপুরে হাতিয়া গণ-হত্যা দিবস পালিত

চান্দিনায় দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাত গ্রেপ্তার

নাজিরপুরে গাজাঁসেবির ৬ মাসের কারাদণ্ড

ছবি

নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা মাসুদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

কলমাকান্দায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ

ছবি

বোয়ালখালীতে আমন ধানের নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ পরিদর্শন

ছবি

মানিকগঞ্জে স্কুল বাসে আগুন, দগ্ধ চালক

ছবি

সংযোগ সড়ক সংকীর্ণ, সুফল মিলছে না ভাসানী সেতুর

গলাচিপায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত

ছবি

লালপুরে আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের হাসি

ছবি

উঠে যাচ্ছে চিঠি লেখার চল

চট্টগ্রামে শান্ত লকডাউনে সাড়া মেলেনি মাঠে ছিল বিএনপি-জামায়াত

ছবি

লালমনিরহাটে ভেজাল বীজ বিক্রির দায়ে ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

দোহারে বিশেষ স্বাস্থ্য ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

ছবি

ভোলায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রলার জব্ধ আটক ১২

ছবি

লালপুরে এলাকাবাসীর দাবি অবৈধ ইটভাটা বন্ধের

ছবি

পোরশায় ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

tab

পলাশে এখনো চোখে পড়ে পরিবেশ বান্ধব মাটির ঘর

প্রতিনিধি, পলাশ (নরসিংদী)

পলাশ (নরসিংদী) : পরিবেশ বান্ধব মাটির ঘর -সংবাদ

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের মাঝে জড়িয়ে আছে কতনা মনোরম জীবনযাপন। একসময় বাড়িতে ছিল বাঁশের ছনের ঘর, টিনের ঘর, মাটি ও টিনের ঘর, পরে আধাপাকা টিনসেড হতে এখন পাকা ঘরে আমরা বসবাস করছি। বাংলাদেশে এমন কোন অঞ্চল ছিলনা যেখানে মাটির দেয়াল ও উপরে টিনের ছাউনির বাড়িঘর ছিলনা। যাকে বলা হতে কোঠা ঘর। মনে করা হতো যার বাড়িতে একটি কোঠাঘর আছে তারা ধনী বা টাকাওয়ালা। এখনো দেশের বহু গ্রামে রয়েছে পরিবেশ বান্ধব মাটির ঘর বা কোঠা ঘর। এসব ঘরগুলোতে দেয়ালের প্রস্থ হয় আড়াই ফুট হতে তিন ফুটের মতো। ভিতরে বাহিরে নানা ধরনের নকশী, ফুল, ছোট্ট কুঠুরি দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করে মাটির ঘরগুলো তৈরি হয়।মাটিতে ধানের তুষ, কাঠের তক্তা, সুপারি বা তালাগাছের শাস ও চুন মিশ্রিত করে মাটি করা হতো মন্থন। যাতে ঘরগুলো টেকসই ও মজবুত হয়। বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে নগরায়ণে, গ্রামে- গঞ্জের বাড়িঘরে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া।

তবে সরেজমিনে পলাশ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ঘুরে দেখা গেল পরিবেশ বান্ধব শান্তির মাটির কোঠাঘর। পলাশের জিনারদী ইউনিয়নে এখনো রয়েছে ৩০% মাটির ঘর। তবে ঘরগুলোর চারিদিকে পাকা বারান্দা দিয়ে আধুনিকতার পরশ দিয়ে পাকা টিনসেড পাকা বাড়ির রূপ দেওয়া হয়েছে। ঘোড়াশাল পৌরসভার গ্রামগুলোতে মাটির ঘর হাতে গণা। তবে ডাংগা,গজারিয়া, চরসিন্দুর ইউনিয়নে কিছু সংখ্যক মাটির ঘর চোখে পড়ে।

রাবানের পরিমল পাল জানায়, এখন তো মাটির ঘর থাকলে তাকে গরিব বলা হয়। অথচ আগে বলা হতো ধনীদের বাড়িতে মাটির ঘর থাকে। এখন মানুষের শিক্ষা- দীক্ষা, আয় উন্নতি বেড়েছে, প্রায়ই প্রতিটি বাড়ির দুজন তিনজন করে আয় করছে। অনেক মানুষ বিদেশ গিয়ে টাকা পাঠাচ্ছে। সবাই আধুনিক হয়ে গেছে। তাদের জীবনযাপনে এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাই এখন মাটির ঘর দিনদিনান্তে কমে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন মাটির ঘরে গরমের দিন ঠান্ডা লাগে। শীতের দিনে লাগে গরম। খাগৈর গ্রামের শিক্ষক নিরঞ্জন দাস বলেন মাটির ঘরে থেকে যে আরাম পাওয়া যায় তা বিল্ডিংএ পাওয়া যায়না। আমরা মাটির মানুষ তাই মাটি আমাদের শান্তিতে রাখে।

সানের বাড়ির সুজন দত্ত বলেন, একসময় যাদুঘরে মাটির ঘরের ছবি থাকবে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি’ ও ঐতিহ্যের প্রতীক হলো পরিবেশ বান্ধব শান্তির মাটির ঘর বা কোঠাঘর।

back to top