টঙ্গীবাড়ী : ভাঙ্গা কাঠের পুল -সংবাদ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত একটি কাঠের পুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার পাচগাঁও গ্রামের হাবিল ফকির ও প্রতিবেশী সেলিম ফকিরের বাড়ির মাঝামাঝি খালের উপর সরকারি অর্থায়নে নির্মিত প্রায় ৩০ বছরের পুরনো কাঠের পুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাবিল ফকির গংদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে হাবিল ফকিরদের পাশের অংশে কাঠের পুলটি ভাঙা দেখা গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ এ পুল দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়াও ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা এই কাঠের পুলের উপর দিয়ে পাচগাঁও স্কুল ও মসজিদে যাতায়াত করে। তারা আরও জানান, সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাচগাঁও বাজারে হাবিল ফকির গং ও সেলিম ফকির গংদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই সূত্র ধরেই হাবিল ফকির গংরা সরকারি অর্থায়নে নির্মিত কাঠের পুলটি ভেঙে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ ফকির বলেন, “তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি, ঝগড়া হয়েছে।
যদি আমি দোষ করে থাকি তাহলে আমার সাথে মিটমাট হবে বা আমার বিচার হবে। সরকারি এই পুলটি কেন ভাঙলো? এই পুল দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল মক্তবে যায়, মানুষ যাতায়াত করে। আমরা অসুস্থ মানুষ হাটবাজারে যাই, মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। পুলটি ভেঙে ফেলায় কয়েক দিন ধরে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারছি না বাসায়ই নামাজ পড়ছি। তিনি পুলটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিল ফকির বলেন, “আমার ভাই ও ভাতিজার সাথে ঝগড়া হয়েছিলসেই ক্ষোভে আমার ভাই পুলটি ভেঙে ফেলেছে। পরে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি মারামারির বিচারের কথা বলি। কিন্তু তারা বিচার না করে পুল ঠিক করে দিতে বলে। এরপর তারা আর যোগাযোগ করেনি। অন্য লোকজন এ বিষয়ে এলে আমি বলেছি, এই জায়গা দিয়ে আমি আর পুল দেবো না। আমি অন্য জায়গা দিয়ে রাস্তা করে দিয়েছি সেই রাস্তার জন্যই জনসাধারণকে পুল করে দেবো। পাচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক বেপারি বলেন, “পুলটি মেরামতের জন্য নতুন করে বরাদ্দ আসছে। দুই পরিবারের ঝামেলার কারণে কাজটি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
টঙ্গীবাড়ী : ভাঙ্গা কাঠের পুল -সংবাদ
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত একটি কাঠের পুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলার পাচগাঁও গ্রামের হাবিল ফকির ও প্রতিবেশী সেলিম ফকিরের বাড়ির মাঝামাঝি খালের উপর সরকারি অর্থায়নে নির্মিত প্রায় ৩০ বছরের পুরনো কাঠের পুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হাবিল ফকির গংদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে হাবিল ফকিরদের পাশের অংশে কাঠের পুলটি ভাঙা দেখা গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ এ পুল দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়াও ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা এই কাঠের পুলের উপর দিয়ে পাচগাঁও স্কুল ও মসজিদে যাতায়াত করে। তারা আরও জানান, সম্প্রতি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাচগাঁও বাজারে হাবিল ফকির গং ও সেলিম ফকির গংদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সেই সূত্র ধরেই হাবিল ফকির গংরা সরকারি অর্থায়নে নির্মিত কাঠের পুলটি ভেঙে দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ ফকির বলেন, “তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের সাথে কথা কাটাকাটি, ঝগড়া হয়েছে।
যদি আমি দোষ করে থাকি তাহলে আমার সাথে মিটমাট হবে বা আমার বিচার হবে। সরকারি এই পুলটি কেন ভাঙলো? এই পুল দিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল মক্তবে যায়, মানুষ যাতায়াত করে। আমরা অসুস্থ মানুষ হাটবাজারে যাই, মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। পুলটি ভেঙে ফেলায় কয়েক দিন ধরে মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারছি না বাসায়ই নামাজ পড়ছি। তিনি পুলটি দ্রুত মেরামত করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিল ফকির বলেন, “আমার ভাই ও ভাতিজার সাথে ঝগড়া হয়েছিলসেই ক্ষোভে আমার ভাই পুলটি ভেঙে ফেলেছে। পরে বিষয়টি আমাকে জানালে আমি মারামারির বিচারের কথা বলি। কিন্তু তারা বিচার না করে পুল ঠিক করে দিতে বলে। এরপর তারা আর যোগাযোগ করেনি। অন্য লোকজন এ বিষয়ে এলে আমি বলেছি, এই জায়গা দিয়ে আমি আর পুল দেবো না। আমি অন্য জায়গা দিয়ে রাস্তা করে দিয়েছি সেই রাস্তার জন্যই জনসাধারণকে পুল করে দেবো। পাচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক বেপারি বলেন, “পুলটি মেরামতের জন্য নতুন করে বরাদ্দ আসছে। দুই পরিবারের ঝামেলার কারণে কাজটি সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।”