মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও আরডি (রুলাল ডেবলপমেন্ট) কেন্দ্র সমূহে জনবল, ওষুধ ও উপকরণ সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত হচ্ছে দীর্ঘ দিন।
ফলে হাজারো নারী, শিশু প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। লোকবলের ঘাটতি, প্রয়োজনীয় ওষধ ও উপকরণ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এখানে কার্যত চিকিৎসাসেবা বন্ধের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
লোকবল সংকট ও ওষধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেবা গ্রহিতা উপকারভোগীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জানিয়ে, গজারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান এ মামুন গত বুধবার সংবাদকে জানান, গজারিয়া উপজেলা কার্যালয়সহ ৬ টি ইউনিয়ন কেন্দ্রে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৮২ টি, এর মধ্যে শুণ্য পড়ে রয়েছে ৪০টি পদ। অর্ধেক জনবল নিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্হ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে তৃনমুলের নারী ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে থাকে এ ছাড়া কৈশোর বান্ধব সেবা ও পরামর্শ যেমন, বয়:সন্ধিকালীন শাররীক ও মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে ধারনা প্রদান, খাদ্য,পুষ্টি ও বাল্য বিবাহ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ। পরিবার-পরিকল্পনা পদ্ধতি ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধ বিষয়ে পরামর্শ প্রদানসহ সাধারণ রোগ, রক্ত স্বল্পতা, যৌণ ও প্রজনণ তন্ত্রে সংক্রমন ও মাসিক বা পিরিয়ড সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্হাপত্র দিয়ে থাকে। লোকবল স্বল্পতার কারণে উল্লিখিত সেবা সমূহ সঠিকভাবে পাচ্ছেন না নারী, শিশু ও কিশোরীরা। গজারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৮২ পদের বিপরীতে ৪০টি পদ শূন্য রয়েছে।
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ৪ পদের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ১ জন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ৯ জনের বিপরীতে আছেন ৬ জন, পরিবার কল্যাণ সহকারী ৩৫ জনের বিপরীতে রয়েছেন ১২ জন। সংশ্লিষ্ট উপকার ভোগী সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং উপকরণ বিতরণের জন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও তিনজন পরিবার কল্যাণ সহকারী দায়িত্ব পালন করেন। এই কর্মীদের সপ্তাহে চার দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতিদের সঙ্গে আলোচনা ও সামগ্রী বিতরণ করার কথা। লোকবল ও উপকরণ ঘাটতির কারণে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অনেকেই নিয়মিত বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না। আবার যারা যাচ্ছেন তারাও দম্পতিদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা ঘাটতি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাজার থেকে উপকরণ সংগ্রহের পরামর্শ দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত সময়ে (১১ নভেম্বর) গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনটির প্রধান ফটক তালাবদ্ধ দেখা গেছে।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, সপ্তাহে এক দুইদিন অল্প সময়ের জন্য এখানে নাম মাত্র সেবা পাওয়া যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বার সকাল সাড়ে এগারটায় গজারিয়া স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটিতে গিয়ে ভবনের কক্ষগুলো তালাবদ্ধ দেখা গেছে। ভবনের কড়িডোরে অফিস সহায়ক মো: সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হয়। সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের কার্যালয়ের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ফাতেমা আক্তার ও আয়া ইয়াসমিন মাঠ পর্যায়ের কাজে বাহিরে রয়েছেন। অফিস সহায়ক সাইফুল ইসলাম অফিসে উপস্হিত থাকার পরও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ফাতেমা আক্তারের কক্ষ তালা বদ্ধ কেনো? সদুত্তর নেই অফিস সহায়ক সাইফুল ইসলামের কাছে। দুপুর ১২ টার দিকে ওই কেন্দ্রটিতে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে এসে ফিরে গেলেন গোসাইরচর গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ(৬২) ও দক্ষিণ ফুলদী গ্রামের শান্তি বেগম(৫০) ও তার সঙ্গী বানেছা খাতুন (৪০)। দুপুর ১টার দিকে গজারিয়া ইউনিয়ের পাশের ইউনিয়ন ইমামপুরের রসুলপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে নীচ তলার সব কটি কক্ষ তালা বদ্ধ দেখা গেছে। গজারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান এ মামুন বলেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের লোকবল অর্ধেক, ১৭ মাস যাবত ওষধ সরবরাহ পাচ্ছি না।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক (ডিডি) মোহাম্মদ ফকরুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, আমাদের এখানে ওষুধ ও জনবল সংকট রয়েছে। তিনি আরো জানান,মামলা জনিত কারণে লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও আরডি (রুলাল ডেবলপমেন্ট) কেন্দ্র সমূহে জনবল, ওষুধ ও উপকরণ সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত হচ্ছে দীর্ঘ দিন।
ফলে হাজারো নারী, শিশু প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। লোকবলের ঘাটতি, প্রয়োজনীয় ওষধ ও উপকরণ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এখানে কার্যত চিকিৎসাসেবা বন্ধের মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
লোকবল সংকট ও ওষধ সরবরাহ বন্ধ থাকায় সেবা গ্রহিতা উপকারভোগীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন জানিয়ে, গজারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান এ মামুন গত বুধবার সংবাদকে জানান, গজারিয়া উপজেলা কার্যালয়সহ ৬ টি ইউনিয়ন কেন্দ্রে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৮২ টি, এর মধ্যে শুণ্য পড়ে রয়েছে ৪০টি পদ। অর্ধেক জনবল নিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্হ্য সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে তৃনমুলের নারী ও শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে থাকে এ ছাড়া কৈশোর বান্ধব সেবা ও পরামর্শ যেমন, বয়:সন্ধিকালীন শাররীক ও মানসিক পরিবর্তন সম্পর্কে ধারনা প্রদান, খাদ্য,পুষ্টি ও বাল্য বিবাহ ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ। পরিবার-পরিকল্পনা পদ্ধতি ও মাদকাসক্তি প্রতিরোধ বিষয়ে পরামর্শ প্রদানসহ সাধারণ রোগ, রক্ত স্বল্পতা, যৌণ ও প্রজনণ তন্ত্রে সংক্রমন ও মাসিক বা পিরিয়ড সংক্রান্ত চিকিৎসা সেবা ও ব্যবস্হাপত্র দিয়ে থাকে। লোকবল স্বল্পতার কারণে উল্লিখিত সেবা সমূহ সঠিকভাবে পাচ্ছেন না নারী, শিশু ও কিশোরীরা। গজারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৮২ পদের বিপরীতে ৪০টি পদ শূন্য রয়েছে।
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ৪ পদের বিপরীতে রয়েছে মাত্র ১ জন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ৯ জনের বিপরীতে আছেন ৬ জন, পরিবার কল্যাণ সহকারী ৩৫ জনের বিপরীতে রয়েছেন ১২ জন। সংশ্লিষ্ট উপকার ভোগী সূত্র ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং উপকরণ বিতরণের জন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও তিনজন পরিবার কল্যাণ সহকারী দায়িত্ব পালন করেন। এই কর্মীদের সপ্তাহে চার দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতিদের সঙ্গে আলোচনা ও সামগ্রী বিতরণ করার কথা। লোকবল ও উপকরণ ঘাটতির কারণে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অনেকেই নিয়মিত বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না। আবার যারা যাচ্ছেন তারাও দম্পতিদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা ঘাটতি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাজার থেকে উপকরণ সংগ্রহের পরামর্শ দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত সময়ে (১১ নভেম্বর) গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনটির প্রধান ফটক তালাবদ্ধ দেখা গেছে।
কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, সপ্তাহে এক দুইদিন অল্প সময়ের জন্য এখানে নাম মাত্র সেবা পাওয়া যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বার সকাল সাড়ে এগারটায় গজারিয়া স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটিতে গিয়ে ভবনের কক্ষগুলো তালাবদ্ধ দেখা গেছে। ভবনের কড়িডোরে অফিস সহায়ক মো: সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হয়। সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের কার্যালয়ের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ফাতেমা আক্তার ও আয়া ইয়াসমিন মাঠ পর্যায়ের কাজে বাহিরে রয়েছেন। অফিস সহায়ক সাইফুল ইসলাম অফিসে উপস্হিত থাকার পরও পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ফাতেমা আক্তারের কক্ষ তালা বদ্ধ কেনো? সদুত্তর নেই অফিস সহায়ক সাইফুল ইসলামের কাছে। দুপুর ১২ টার দিকে ওই কেন্দ্রটিতে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে এসে ফিরে গেলেন গোসাইরচর গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ(৬২) ও দক্ষিণ ফুলদী গ্রামের শান্তি বেগম(৫০) ও তার সঙ্গী বানেছা খাতুন (৪০)। দুপুর ১টার দিকে গজারিয়া ইউনিয়ের পাশের ইউনিয়ন ইমামপুরের রসুলপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে কেন্দ্রে গিয়ে নীচ তলার সব কটি কক্ষ তালা বদ্ধ দেখা গেছে। গজারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান এ মামুন বলেন, চাহিদার তুলনায় আমাদের লোকবল অর্ধেক, ১৭ মাস যাবত ওষধ সরবরাহ পাচ্ছি না।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক (ডিডি) মোহাম্মদ ফকরুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, আমাদের এখানে ওষুধ ও জনবল সংকট রয়েছে। তিনি আরো জানান,মামলা জনিত কারণে লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রয়েছে।