চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগের আদেশ অবমাননার অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের লিডার ও মামলার বাদী সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের এসএম নুরুল হক ও মোহাম্মদ বেলালকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের পরিচালক পদের প্রার্থী আকতার পারভেজ।
তার পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল হাই নোটিশে উল্লেখ করেন, ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ টাউন অ্যাসোসিয়েশন, ট্রেড গ্রুপের প্রতিনিধিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদী করার নির্দেশনা দিলেও আপিল বিভাগের সেই আদেশ অমান্য করেছেন মোহাম্মদ বেলাল। রিটের বাদী মোহাম্মদ বেলালের এই বিলম্ব ও এড়িয়ে যাওয়ার আচরণ থেকে স্পষ্ট যে, তার উদ্দেশ্য ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করা।
এছাড়া এসএম নুরুল হক চেম্বার নির্বাচন বানচাল করতে সভা-সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে তিনি বলেছেন, নির্বাচন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বন্ধ করেছে। অথচ বাস্তবে তারাই একের পর এক মামলা করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছেন। এতে তাদের দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এর আগে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বেলালের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুই শ্রেণিকে বাদ রেখে নির্বাচন পরিচালনার আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। সেই আদেশের পর ২২ অক্টোবর আপিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আপিল শুনানির পর নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া রিট দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেন। হাইকোর্টে রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, এসএম নুরুল হক সমাবেশে দাবি করেছেন- নির্বাচন উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের অন্তর্র্বতী আদেশ অনুযায়ী হতে হবে।
যেখানে শুধু টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপগুলোকে বাদ দিতে হবে। যদিও আপিল বিভাগ সরাসরি হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে পুরো নির্বাচন স্থগিত করেছেন। যতক্ষণ রিট পিটিশন মামলায় জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হয়। নুরুল হকের এই দাবি সরাসরি বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ; যা আদালত অবমাননা। এই বক্তব্য আদালতের কার্যক্রমকে অবমূল্যায়ন করেছে, বিশেষ করে আপিল বিভাগের নির্দেশনাকে। আদালতের কার্যক্রমকে অবমূল্যায়ন করে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করা, নিঃশর্ত ক্ষমা প্রকাশ এবং আপিল বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও ইউনাইটেড বিজনেস ফোরাম। ব্যবসায়ীদের ভোটে ১২ জন সাধারণ শ্রেণিতে, ৬ জন সহযোগী শ্রেণিতে এবং ৩ জন করে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ শ্রেণি থেকে পরিচালক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হন সভাপতি ও দুইজন সহ-সভাপতি। তবে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে এবার পরিচালক হওয়ার পথে ছিলেন মোট ৬ জন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগের আদেশ অবমাননার অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের লিডার ও মামলার বাদী সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের এসএম নুরুল হক ও মোহাম্মদ বেলালকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের পরিচালক পদের প্রার্থী আকতার পারভেজ।
তার পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল হাই নোটিশে উল্লেখ করেন, ৩০ অক্টোবর আপিল বিভাগ টাউন অ্যাসোসিয়েশন, ট্রেড গ্রুপের প্রতিনিধিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদী করার নির্দেশনা দিলেও আপিল বিভাগের সেই আদেশ অমান্য করেছেন মোহাম্মদ বেলাল। রিটের বাদী মোহাম্মদ বেলালের এই বিলম্ব ও এড়িয়ে যাওয়ার আচরণ থেকে স্পষ্ট যে, তার উদ্দেশ্য ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করা।
এছাড়া এসএম নুরুল হক চেম্বার নির্বাচন বানচাল করতে সভা-সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে তিনি বলেছেন, নির্বাচন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বন্ধ করেছে। অথচ বাস্তবে তারাই একের পর এক মামলা করে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছেন। এতে তাদের দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এর আগে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বেলালের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর দুই শ্রেণিকে বাদ রেখে নির্বাচন পরিচালনার আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। সেই আদেশের পর ২২ অক্টোবর আপিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আপিল শুনানির পর নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। শুনানি শেষে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টে দায়ের হওয়া রিট দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেন। হাইকোর্টে রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, এসএম নুরুল হক সমাবেশে দাবি করেছেন- নির্বাচন উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের অন্তর্র্বতী আদেশ অনুযায়ী হতে হবে।
যেখানে শুধু টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপগুলোকে বাদ দিতে হবে। যদিও আপিল বিভাগ সরাসরি হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে পুরো নির্বাচন স্থগিত করেছেন। যতক্ষণ রিট পিটিশন মামলায় জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হয়। নুরুল হকের এই দাবি সরাসরি বিচারিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ; যা আদালত অবমাননা। এই বক্তব্য আদালতের কার্যক্রমকে অবমূল্যায়ন করেছে, বিশেষ করে আপিল বিভাগের নির্দেশনাকে। আদালতের কার্যক্রমকে অবমূল্যায়ন করে দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করা, নিঃশর্ত ক্ষমা প্রকাশ এবং আপিল বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে এই নোটিশ জারি করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও ইউনাইটেড বিজনেস ফোরাম। ব্যবসায়ীদের ভোটে ১২ জন সাধারণ শ্রেণিতে, ৬ জন সহযোগী শ্রেণিতে এবং ৩ জন করে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ শ্রেণি থেকে পরিচালক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হন সভাপতি ও দুইজন সহ-সভাপতি। তবে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে এবার পরিচালক হওয়ার পথে ছিলেন মোট ৬ জন।