ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বরিশাল-বাকেরগঞ্জ-বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়কে দীর্ঘদিনেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে ৪৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার পাশাপাশি বরগুনা পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলার একাংশের সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
যাত্রীবাহী বাস ও ভারি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এ আঞ্চলিক মহাসড়কটি। ওজন স্কেল স্থাপনের পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে আঞ্চলিক মহাসড়কটিকে চার লেনে উন্নীতের দাবি বিশ লক্ষাধিক স্থানীয়দের।
ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ পয়েন্ট থেকে একটি সড়ক চলে গেছে বরগুনার দিকে। এই সড়কটিই ঢাকা বা বরিশালের সাথে বরগুনা সদর, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ও বরিশালের বাকেরগঞ্জবাসীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। বাকেরগঞ্জ- বরগুনা সড়কটি ২০২৪ সালে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করা হলেও সড়কের প্রস্থ আটকে রয়েছে মাত্র ১৮ ফুট। পাশাপাশি ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে রয়েছে ৪৫ টি বাঁক, ছোট কার্লবাট । ফলে, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটার শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি জেলার সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে ব্যাহত।
প্রতিদিন বরগুনা সদর, চান্দখালী, বেতাগী, মির্জাগঞ্জ থেকে ঢাকা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে অন্তত ৩০০ যাত্রীবাহী বাস এবং অসংখ্য পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। ফলে সরু ও দুর্ঘটনাপ্রবণ এই মহাসড়কে যানবাহনগুলো চরম ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী একটি যানবাহনের চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বরগুনা হতে বরিশাল যাওয়ার পথে ৪৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। যখন তারা বাঁকগুলো ক্রস করেন তখন জীবন হাতে নিয়ে চলতে হয়। যদি রাস্তাগুলো প্রশস্থ করা হয় তাহলে যানবাহন চালানোটা সুবিধা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ সড়কে দিনে পুলিশের টহল থাকায় গভীর রাতে ৪০ থেকে ৫০ টন ওজনের পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে ২৫ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এ সড়কে। এ রুটে ওজন স্কেল না থাকায় পুলিশ বিভাগকেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। তিনি আরো বলেন, বরগুনা জেলায় কোনো ওজন স্কেল নেই। সুতরাং একটা গাড়িকে হুট করেই কিছু বলা যায় না। যেটা দৃষ্টিগোচর হচ্ছে ওভারলোড কিন্তু কাগজ কলমে এটা প্রমাণ করতে পারা যায় না। এখানে একটা ওজন স্কেল স্থাপন করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এই সড়কটি প্রশস্ত করার কার্যক্রম এবং বাঁকগুলোকে সোজা করা যায় কি না সে বিষয়ে একটা প্রজেক্টের কার্যক্রম চলছে বলে প্রধান প্রকৌশলী তাকে জানিয়েছেন। এরইমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে আঞ্চলিক সড়কটিকে যেন চারলেনে রূপান্তর করে এবং বাঁকগুলোকে যেন সোজা করতে পারে। বরিশাল বরিশাল জোনের সওজ কর্তৃপক্ষ জানান, এই সড়ককে আঞ্চলিক মহাসড়কটি উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের বিভাগ থেকে একটি স্টাডি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বরিশাল-বাকেরগঞ্জ-বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত করা হলে জেলার পর্যটন শিল্পসহ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পালে হাওয়া লাগবে সামগ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বরিশাল-বাকেরগঞ্জ-বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়কে দীর্ঘদিনেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে ৪৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনার পাশাপাশি বরগুনা পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলার একাংশের সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
যাত্রীবাহী বাস ও ভারি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এ আঞ্চলিক মহাসড়কটি। ওজন স্কেল স্থাপনের পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে আঞ্চলিক মহাসড়কটিকে চার লেনে উন্নীতের দাবি বিশ লক্ষাধিক স্থানীয়দের।
ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ পয়েন্ট থেকে একটি সড়ক চলে গেছে বরগুনার দিকে। এই সড়কটিই ঢাকা বা বরিশালের সাথে বরগুনা সদর, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ ও বরিশালের বাকেরগঞ্জবাসীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। বাকেরগঞ্জ- বরগুনা সড়কটি ২০২৪ সালে আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করা হলেও সড়কের প্রস্থ আটকে রয়েছে মাত্র ১৮ ফুট। পাশাপাশি ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে রয়েছে ৪৫ টি বাঁক, ছোট কার্লবাট । ফলে, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটার শিকার হচ্ছে। পাশাপাশি জেলার সামগ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা হচ্ছে ব্যাহত।
প্রতিদিন বরগুনা সদর, চান্দখালী, বেতাগী, মির্জাগঞ্জ থেকে ঢাকা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে অন্তত ৩০০ যাত্রীবাহী বাস এবং অসংখ্য পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। ফলে সরু ও দুর্ঘটনাপ্রবণ এই মহাসড়কে যানবাহনগুলো চরম ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারী একটি যানবাহনের চালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বরগুনা হতে বরিশাল যাওয়ার পথে ৪৫টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। যখন তারা বাঁকগুলো ক্রস করেন তখন জীবন হাতে নিয়ে চলতে হয়। যদি রাস্তাগুলো প্রশস্থ করা হয় তাহলে যানবাহন চালানোটা সুবিধা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ সড়কে দিনে পুলিশের টহল থাকায় গভীর রাতে ৪০ থেকে ৫০ টন ওজনের পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে ২৫ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এ সড়কে। এ রুটে ওজন স্কেল না থাকায় পুলিশ বিভাগকেও পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। তিনি আরো বলেন, বরগুনা জেলায় কোনো ওজন স্কেল নেই। সুতরাং একটা গাড়িকে হুট করেই কিছু বলা যায় না। যেটা দৃষ্টিগোচর হচ্ছে ওভারলোড কিন্তু কাগজ কলমে এটা প্রমাণ করতে পারা যায় না। এখানে একটা ওজন স্কেল স্থাপন করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এই সড়কটি প্রশস্ত করার কার্যক্রম এবং বাঁকগুলোকে সোজা করা যায় কি না সে বিষয়ে একটা প্রজেক্টের কার্যক্রম চলছে বলে প্রধান প্রকৌশলী তাকে জানিয়েছেন। এরইমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে আঞ্চলিক সড়কটিকে যেন চারলেনে রূপান্তর করে এবং বাঁকগুলোকে যেন সোজা করতে পারে। বরিশাল বরিশাল জোনের সওজ কর্তৃপক্ষ জানান, এই সড়ককে আঞ্চলিক মহাসড়কটি উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের বিভাগ থেকে একটি স্টাডি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বরিশাল-বাকেরগঞ্জ-বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়কটি চারলেনে উন্নীত করা হলে জেলার পর্যটন শিল্পসহ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর পালে হাওয়া লাগবে সামগ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের।