ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ও মা অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে কি দেখেছি মধুর হাসি। এ কথার পূর্ণ রুপ নিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে অঘ্রায়ণ। আবহমান বাংলার শাশ্বত বার্তা নিয়ে আবার এসেছে অঘ্রায়ণ মাস। মৃদু বাতাসে হেলে পড়ছে শিশির সিক্ত সোলানী ধান। কৃষক কৃষাণী অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় তাদের গোলায় আসবে ফসল। বাংলাদেশের অন্যান্য জনপদের মত এ সাজ সাজ রব প্রস্তুতি এখন লাখাই উপজেলায় প্রতিটি গৃহস্থ ঘরেও। যদিও আগের দিনের মত নবান্ন উৎসব ভুলা ভুলি রকমারী আযোজন নেই। তারপরও আঘ্রায়ণ আসছে ঐতিহ্য আর খুশির বার্তা নিয়ে। সন্ধ্যা হলেই শীতের আমেজ,সকালে শিশির সিক্ত দুর্বা ঘাস,কাচা পাকা ধানের শীষ,এ দৃশ্য কার না হৃদয় জুড়ায়। তাই যেন শীত শিশির আর সোনার ফসলে মৌ মৌ ঘ্রাণ নিয়ে এসেছে অঘ্রায়ণ মাস। কৃষক ভিংরাজ মিয়া বলেন, এ বছর ফসল ভালই হয়েছে তবে আরো ভাল হত যদি শেষে আর একটা বৃষ্টি হত। সরেজমিনে দেখা গেছে ইতিমধ্যে লাখাইয়ে সন্ধ্যা হলেই শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে ঝরছে শিশির।
সকালে সূর্যের আলোয় মুক্তার মত ঝলমল করছে দুর্বা,মৃদু বাতাসে দুলছে মাঠে মাঠে ধানের শীষ। এরই মাঝে গৃহস্থ ঘরে এখন চলছে অঘ্রায়নের ধান কাঠার পূর্ণ প্রস্তুতি। প্রয়োজনীয় সময়ে বৃষ্টি সহ আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবার রোপা আমন ফসল অনেক ভাল হয়েছে। এ বছর লাখাই উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ১৮ টি কৃষি ব্লকে মোট ৬ হাজার,৫ শত,৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় জাতের চেয়ে উফশী জাতের চাষ করা হয়েছে বেশী।
ইতিমধ্যে কিছু কিছু জমিতে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করে দিয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। এবার ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ৫ মেট্রিক টণ হিসেবে প্রায় ৩১ মেট্রিক টণ ধান সংগ্রহ হবে বলে ধারনা করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুল ইসলাম। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্রাচায্য জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সর্বাধিক রোপা আমন আবাদ হয়েছে করাব ইউনিয়নে। এ ছাড়া সব চেয়ে কম আবাদ হয়েছে লাখাই ইউনিয়ন ও বুল্লা ইউনিয়নে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
ও মা অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে কি দেখেছি মধুর হাসি। এ কথার পূর্ণ রুপ নিয়ে দরজায় কড়া নাড়ছে অঘ্রায়ণ। আবহমান বাংলার শাশ্বত বার্তা নিয়ে আবার এসেছে অঘ্রায়ণ মাস। মৃদু বাতাসে হেলে পড়ছে শিশির সিক্ত সোলানী ধান। কৃষক কৃষাণী অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় তাদের গোলায় আসবে ফসল। বাংলাদেশের অন্যান্য জনপদের মত এ সাজ সাজ রব প্রস্তুতি এখন লাখাই উপজেলায় প্রতিটি গৃহস্থ ঘরেও। যদিও আগের দিনের মত নবান্ন উৎসব ভুলা ভুলি রকমারী আযোজন নেই। তারপরও আঘ্রায়ণ আসছে ঐতিহ্য আর খুশির বার্তা নিয়ে। সন্ধ্যা হলেই শীতের আমেজ,সকালে শিশির সিক্ত দুর্বা ঘাস,কাচা পাকা ধানের শীষ,এ দৃশ্য কার না হৃদয় জুড়ায়। তাই যেন শীত শিশির আর সোনার ফসলে মৌ মৌ ঘ্রাণ নিয়ে এসেছে অঘ্রায়ণ মাস। কৃষক ভিংরাজ মিয়া বলেন, এ বছর ফসল ভালই হয়েছে তবে আরো ভাল হত যদি শেষে আর একটা বৃষ্টি হত। সরেজমিনে দেখা গেছে ইতিমধ্যে লাখাইয়ে সন্ধ্যা হলেই শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে ঝরছে শিশির।
সকালে সূর্যের আলোয় মুক্তার মত ঝলমল করছে দুর্বা,মৃদু বাতাসে দুলছে মাঠে মাঠে ধানের শীষ। এরই মাঝে গৃহস্থ ঘরে এখন চলছে অঘ্রায়নের ধান কাঠার পূর্ণ প্রস্তুতি। প্রয়োজনীয় সময়ে বৃষ্টি সহ আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবার রোপা আমন ফসল অনেক ভাল হয়েছে। এ বছর লাখাই উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ১৮ টি কৃষি ব্লকে মোট ৬ হাজার,৫ শত,৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় জাতের চেয়ে উফশী জাতের চাষ করা হয়েছে বেশী।
ইতিমধ্যে কিছু কিছু জমিতে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করে দিয়েছে। তবে আগামী সপ্তাহে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। এবার ধানের ফলন হেক্টর প্রতি ৫ মেট্রিক টণ হিসেবে প্রায় ৩১ মেট্রিক টণ ধান সংগ্রহ হবে বলে ধারনা করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুল ইসলাম। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অমিত ভট্রাচায্য জানান, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সর্বাধিক রোপা আমন আবাদ হয়েছে করাব ইউনিয়নে। এ ছাড়া সব চেয়ে কম আবাদ হয়েছে লাখাই ইউনিয়ন ও বুল্লা ইউনিয়নে।