ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাঃ হেনায়ারা বেগমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বেতন স্কেলে নিম্নতর (ডিমোশন) করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী গঠিত বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নবীন কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে লঘুদ- হিসেবে বেতন স্কেল কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের জুলাই–আগস্টে নাজিরপুরের এক শিক্ষককে ডেপুটেশন দেওয়ার নামে ৯০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া এবং বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সেই ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছিলেন ওই দুই শিক্ষা কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে গত বছর দৈনিক সংবাদে “নাজিরপুরে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন দুই শিক্ষা অফিসার “ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।প্রকাশিত সেই সংবাদের পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তদন্তে ঘুষ লেনদেনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। এ বিষয়ে নাজিরপুরে কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, নাজিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হেনায়ারা বেগম ঘুষ দাবি, অনিয়ম ও অশোভন আচরণের জন্য আলোচনায় ছিলেন। তার ঘুষ দাবি করার একটি অডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে নাজিরপুরের বর্তমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হাকিম বলেন, তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়েই বদলি কর্মস্থলে চলে যান।
পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে আমি দায়িত্ব বুঝে নিই। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হেনায়ারা বেগমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাঃ হেনায়ারা বেগমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বেতন স্কেলে নিম্নতর (ডিমোশন) করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী গঠিত বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নবীন কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে লঘুদ- হিসেবে বেতন স্কেল কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বছরের জুলাই–আগস্টে নাজিরপুরের এক শিক্ষককে ডেপুটেশন দেওয়ার নামে ৯০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া এবং বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সেই ঘুষের টাকা ফেরত দিয়েছিলেন ওই দুই শিক্ষা কর্মকর্তা। বিষয়টি নিয়ে গত বছর দৈনিক সংবাদে “নাজিরপুরে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন দুই শিক্ষা অফিসার “ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিলো।প্রকাশিত সেই সংবাদের পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তদন্তে ঘুষ লেনদেনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। এ বিষয়ে নাজিরপুরে কর্মরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, নাজিরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হেনায়ারা বেগম ঘুষ দাবি, অনিয়ম ও অশোভন আচরণের জন্য আলোচনায় ছিলেন। তার ঘুষ দাবি করার একটি অডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে নাজিরপুরের বর্তমান উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হাকিম বলেন, তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়েই বদলি কর্মস্থলে চলে যান।
পরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে আমি দায়িত্ব বুঝে নিই। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হেনায়ারা বেগমের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।