চিরসবুজ উদ্ভিদ ছাতিম বৃক্ষ প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিত। হেমন্তের মৃদু শিশিরভেজা বাতাসে ঠান্ডা অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। সকালে সূর্যের নরম রোদে ফুলগুলো চিকচিক করে। রাতে হেমন্তের বিবরণ পুর্নাঙ্গ হয় না ছাতিম ফুলের এই তীব্র ঘ্রাণ ছাড়া। ছাতিম যেন হেমন্তের গায়ের ঘ্রাণ। হেমন্তকালে প্রকৃতিতে সাধারণত তেমন কোনো ফুল ফুটতে দেখা যায় না। প্রকৃতি যখন কিছুটা ফুলশূন্য হয়ে পরে তখন ফোটে ছাতিম। হেমন্তের গোধূলি লগ্ন থেকে রাত অবধি মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে প্রকৃতিকে মাতিয়ে রাখে এই ছাতিম। বাতাসে ছাতিমের সুবাস অন্য ধরনের মাদকতা ছড়ায় হৃদয়ে। ইটাখোলা টু আজমতপুর সড়কের চলাচল কারি সকলের এক অদ্ভুত বুনো সুবাস লাগল নাকে। অনেকেরই অজান্তে পা দুটো থেমে যায়। অনেকে আবার গাড়ি থামিয়ে বুকভরে টেনে নেন সেই সুবাস। সেই সুবাসে মুহূর্তে চোখে-মুখে ছড়িয়ে পড়ে প্রশান্তির ছায়া। মনে হবে নিমেষেই সারাদিনের ক্লান্তির অবসান ঘটল। দিনের বেলায় গাছটি যেন লাজুক। নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। সূর্য ডুবলে বদলে যায় দৃশ্যপট। সে জানান দেয়, নিজের উপস্থিতি। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে ম-ম গন্ধ। যেন কেউ সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয় বাতাসে।
বাংলাদেশের মানুষ কদমকে যেমন বর্ষার দূত হিসেবে চেনে, ছাতিমকে তেমন হেমন্তের। এটি ‘অ্যাপোসাইনেসি’ বর্গের অন্তর্ভুক্ত উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম অলস্টোনিয়া স্কলারিস। এর কাঠ দিয়ে ছোটদের লেখার শ্লেট বা ব্ল্যাকবোর্ড তৈরি করা হতো।কা-ে সাদা কষ থাকে বলে একে মিল্কিউড ট্রি নামে ডাকা হয়। ছাতিমের আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। একে বলা হয় ‘সপ্তপর্ণ’ বা ‘সপ্তপর্ণা’। এতে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা পাতা,একই মূলাবর্তে ৪ থেকে ৭টি পর্যন্ত থাকে।
বাংলাদেশে এক সময় গ্রামের রাস্তার পাশে, বনে-জঙ্গলে অহরহ এ গাছ থাকলেও বর্তমানে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না ছাতিম গাছ। দূর থেকে ভেসে আসা সুঘ্রাণ শুঁকে গাছটিকে খুঁজে নিতে হয়। নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করা বা বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে অন্যান্য গাছের সাথে উজাড় হতে হতে এখন এ ছাতিম গাছের দেখা মেলে না বললেই চলে। নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে ছাতিম গাছ এখন বিপন্ন প্রজাতির।
বাংলা সাহিত্য ও কবিতায় গুরুত্বসহ কারে ছাতিম গাছের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। ছাতিম গাছের ছাল, পাতা ও ফুল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যেমন জ্বর, গ্যাস, হাঁপানি, বাত এবং চর্মরোগ। দাঁতের পোকা দূর করতে ছাতিম আঠা ব্যবহার করা হয় এবং এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে।দীর্ঘস্থায়ী আমাশয়ে এটি অত্যন্ত উপকারী। জ্বর ধীরে ধীরে নামায় বলে ম্যালেরিয়াতেও উপকারী। চর্মরোগেও ছাতিম ফলপ্রদ।
ইটখোলা -আজমতপুর সড়ক ধরে তিন কিলোমিটার সামনে এগোলে বাতাসে ভেসে আসে এই ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ।
প্রথমে মনে হয়, কোথাও আশপাশে আছে ঘ্রাণের উৎস। খুঁজে না দেখলে বোঝা যায় না, কোন দিক থেকে এই ঘ্রাণ ভেসে আসছে। পলাশ উপজেলার সেকান্দরদী ঝলঘাটা বাজার পার হয়ে,একটু সামনে বামে তাকালে দেখা মেলে ছাতিম গাছটির। আকাশ ছুঁতে চাওয়া সেই গাছ যেন নিঃশব্দ প্রহরী।ঝোপঝাড়ে দাঁড়িয়ে আছে বছর দশেকজুড়ে।ফুল ফোটে অল্প সময়ের জন্য। সেই সময়টুকুতেই ছড়িয়ে দেয় গভীর মুগ্ধতা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইটাখোলা টু আজমতপুর সড়কের নরসিংদী অংশে একটি ছাতিম গাছ রয়েছে। গাছটি কে লাগিয়েছেন, সে ব্যাপারে কেউ বলতে পারেন না। স্থানীয়রা বলেন, ঝোপ-ঝাড়ের মাঝে নিজে থেকে বেড়ে উঠেছে গাছটি।
দিনে ছাতিম গাছটি খুঁজে ফুলের ছবি তুলতে গিয়ে শৈশবের স্মৃতি উঁকি দিল মনে। ছোটবেলায় দাদি-নানিদের কাছে শুনতাম ছাতিম গাছকে ঘিরে রহস্যময় উপকথা। আক্ষেপের বিষয়, বর্তমানে ছাতিম গাছ তেমন দেখা যায় না। অন্যান্য গাছ রোপণ করলেও কেউ ছাতিম গাছ লাগায় না। ফলে বংশবৃদ্ধিতে প্রকৃতির ওপর নির্ভর করতে হয় গাছটির।
স্থানীয় হযরত আলী বলেন, ছাতিম বাতাস পরিশোধন করে, ছায়া দেয়, পাখিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। বাণিজ্যিক মূল্য নেই বলে ছাতিমকে কেউ তাদের বাগানে বাড়ির পাশে কিংবা রাস্তার ধারে লাগায় না। নার্সারিতেও ছাতিম গাছের চারা পাওয়া যায় না। অযতেœ অবহেলায় ছাতিম গাছ বেড়ে ওঠে। জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় বিলুপ্তপ্রায় ছাতিম গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি।
মাসুদুর রহমান বলেন,আমাদের বাড়ি থেকে শহরে যেতে সবসময়ই সৈয়দের খোল গ্রামের রাস্তার পাশের ছাতিম গাছ টি চোখে পরে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর যখন বাড়ি ফিরি তখন বাতাসে ভেসে আসা সুবাসে গাছ টিকে খুঁজে নেওয়া যায় খুব সহজেই। গাছ টি আমাদের বেশ প্রশান্তি দেয়। এক সময় গ্রামের রাস্তার পাশে, বনে-জঙ্গলে অহরহ এ গাছ থাকলেও বর্তমানে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না।
বেসরকারি ব্যাংকে চাকরিজীবী মোগল হোসেন বলেন, আমাদের অফিসে যেতে-আসতে দুইবার ছাতিম গাছ টি আমাকে বিমোহিত করে। ছাতিম ফুলের তীব্র ঘ্রাণ আমার বেশ ভালো লাগে বিধায় এর একটি গাছের চারা আমার বাড়িতে রোপণ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু শহরের কোনো নার্সারিতে এ গাছের চারা খুঁজে পাইনি। যেহেতু এ গাছটি এখন তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না এবং প্রকৃতিতে এর বেশ উপকারিতা আছে তাই এ গাছটির কিছু চারা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা উচিত।
প্রাকৃতিক সুগন্ধে ভরপুর ছাতিম গাছ যাতে এলাকা থেকে বিলীন হয়ে না যায় সে ব্যাপারে সবাই সচেষ্ট হবে—এমন প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
চিরসবুজ উদ্ভিদ ছাতিম বৃক্ষ প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিত। হেমন্তের মৃদু শিশিরভেজা বাতাসে ঠান্ডা অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। সকালে সূর্যের নরম রোদে ফুলগুলো চিকচিক করে। রাতে হেমন্তের বিবরণ পুর্নাঙ্গ হয় না ছাতিম ফুলের এই তীব্র ঘ্রাণ ছাড়া। ছাতিম যেন হেমন্তের গায়ের ঘ্রাণ। হেমন্তকালে প্রকৃতিতে সাধারণত তেমন কোনো ফুল ফুটতে দেখা যায় না। প্রকৃতি যখন কিছুটা ফুলশূন্য হয়ে পরে তখন ফোটে ছাতিম। হেমন্তের গোধূলি লগ্ন থেকে রাত অবধি মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে প্রকৃতিকে মাতিয়ে রাখে এই ছাতিম। বাতাসে ছাতিমের সুবাস অন্য ধরনের মাদকতা ছড়ায় হৃদয়ে। ইটাখোলা টু আজমতপুর সড়কের চলাচল কারি সকলের এক অদ্ভুত বুনো সুবাস লাগল নাকে। অনেকেরই অজান্তে পা দুটো থেমে যায়। অনেকে আবার গাড়ি থামিয়ে বুকভরে টেনে নেন সেই সুবাস। সেই সুবাসে মুহূর্তে চোখে-মুখে ছড়িয়ে পড়ে প্রশান্তির ছায়া। মনে হবে নিমেষেই সারাদিনের ক্লান্তির অবসান ঘটল। দিনের বেলায় গাছটি যেন লাজুক। নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। সূর্য ডুবলে বদলে যায় দৃশ্যপট। সে জানান দেয়, নিজের উপস্থিতি। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে ম-ম গন্ধ। যেন কেউ সুগন্ধি ছড়িয়ে দেয় বাতাসে।
বাংলাদেশের মানুষ কদমকে যেমন বর্ষার দূত হিসেবে চেনে, ছাতিমকে তেমন হেমন্তের। এটি ‘অ্যাপোসাইনেসি’ বর্গের অন্তর্ভুক্ত উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম অলস্টোনিয়া স্কলারিস। এর কাঠ দিয়ে ছোটদের লেখার শ্লেট বা ব্ল্যাকবোর্ড তৈরি করা হতো।কা-ে সাদা কষ থাকে বলে একে মিল্কিউড ট্রি নামে ডাকা হয়। ছাতিমের আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। একে বলা হয় ‘সপ্তপর্ণ’ বা ‘সপ্তপর্ণা’। এতে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার লম্বা পাতা,একই মূলাবর্তে ৪ থেকে ৭টি পর্যন্ত থাকে।
বাংলাদেশে এক সময় গ্রামের রাস্তার পাশে, বনে-জঙ্গলে অহরহ এ গাছ থাকলেও বর্তমানে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না ছাতিম গাছ। দূর থেকে ভেসে আসা সুঘ্রাণ শুঁকে গাছটিকে খুঁজে নিতে হয়। নির্বিচারে গাছ কেটে বিক্রি করা বা বসতবাড়ি নির্মাণের ফলে অন্যান্য গাছের সাথে উজাড় হতে হতে এখন এ ছাতিম গাছের দেখা মেলে না বললেই চলে। নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে ছাতিম গাছ এখন বিপন্ন প্রজাতির।
বাংলা সাহিত্য ও কবিতায় গুরুত্বসহ কারে ছাতিম গাছের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। ছাতিম গাছের ছাল, পাতা ও ফুল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। যেমন জ্বর, গ্যাস, হাঁপানি, বাত এবং চর্মরোগ। দাঁতের পোকা দূর করতে ছাতিম আঠা ব্যবহার করা হয় এবং এটি উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে।দীর্ঘস্থায়ী আমাশয়ে এটি অত্যন্ত উপকারী। জ্বর ধীরে ধীরে নামায় বলে ম্যালেরিয়াতেও উপকারী। চর্মরোগেও ছাতিম ফলপ্রদ।
ইটখোলা -আজমতপুর সড়ক ধরে তিন কিলোমিটার সামনে এগোলে বাতাসে ভেসে আসে এই ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ।
প্রথমে মনে হয়, কোথাও আশপাশে আছে ঘ্রাণের উৎস। খুঁজে না দেখলে বোঝা যায় না, কোন দিক থেকে এই ঘ্রাণ ভেসে আসছে। পলাশ উপজেলার সেকান্দরদী ঝলঘাটা বাজার পার হয়ে,একটু সামনে বামে তাকালে দেখা মেলে ছাতিম গাছটির। আকাশ ছুঁতে চাওয়া সেই গাছ যেন নিঃশব্দ প্রহরী।ঝোপঝাড়ে দাঁড়িয়ে আছে বছর দশেকজুড়ে।ফুল ফোটে অল্প সময়ের জন্য। সেই সময়টুকুতেই ছড়িয়ে দেয় গভীর মুগ্ধতা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইটাখোলা টু আজমতপুর সড়কের নরসিংদী অংশে একটি ছাতিম গাছ রয়েছে। গাছটি কে লাগিয়েছেন, সে ব্যাপারে কেউ বলতে পারেন না। স্থানীয়রা বলেন, ঝোপ-ঝাড়ের মাঝে নিজে থেকে বেড়ে উঠেছে গাছটি।
দিনে ছাতিম গাছটি খুঁজে ফুলের ছবি তুলতে গিয়ে শৈশবের স্মৃতি উঁকি দিল মনে। ছোটবেলায় দাদি-নানিদের কাছে শুনতাম ছাতিম গাছকে ঘিরে রহস্যময় উপকথা। আক্ষেপের বিষয়, বর্তমানে ছাতিম গাছ তেমন দেখা যায় না। অন্যান্য গাছ রোপণ করলেও কেউ ছাতিম গাছ লাগায় না। ফলে বংশবৃদ্ধিতে প্রকৃতির ওপর নির্ভর করতে হয় গাছটির।
স্থানীয় হযরত আলী বলেন, ছাতিম বাতাস পরিশোধন করে, ছায়া দেয়, পাখিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। বাণিজ্যিক মূল্য নেই বলে ছাতিমকে কেউ তাদের বাগানে বাড়ির পাশে কিংবা রাস্তার ধারে লাগায় না। নার্সারিতেও ছাতিম গাছের চারা পাওয়া যায় না। অযতেœ অবহেলায় ছাতিম গাছ বেড়ে ওঠে। জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় বিলুপ্তপ্রায় ছাতিম গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি।
মাসুদুর রহমান বলেন,আমাদের বাড়ি থেকে শহরে যেতে সবসময়ই সৈয়দের খোল গ্রামের রাস্তার পাশের ছাতিম গাছ টি চোখে পরে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর যখন বাড়ি ফিরি তখন বাতাসে ভেসে আসা সুবাসে গাছ টিকে খুঁজে নেওয়া যায় খুব সহজেই। গাছ টি আমাদের বেশ প্রশান্তি দেয়। এক সময় গ্রামের রাস্তার পাশে, বনে-জঙ্গলে অহরহ এ গাছ থাকলেও বর্তমানে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না।
বেসরকারি ব্যাংকে চাকরিজীবী মোগল হোসেন বলেন, আমাদের অফিসে যেতে-আসতে দুইবার ছাতিম গাছ টি আমাকে বিমোহিত করে। ছাতিম ফুলের তীব্র ঘ্রাণ আমার বেশ ভালো লাগে বিধায় এর একটি গাছের চারা আমার বাড়িতে রোপণ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু শহরের কোনো নার্সারিতে এ গাছের চারা খুঁজে পাইনি। যেহেতু এ গাছটি এখন তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না এবং প্রকৃতিতে এর বেশ উপকারিতা আছে তাই এ গাছটির কিছু চারা বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা উচিত।
প্রাকৃতিক সুগন্ধে ভরপুর ছাতিম গাছ যাতে এলাকা থেকে বিলীন হয়ে না যায় সে ব্যাপারে সবাই সচেষ্ট হবে—এমন প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী।