শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পেয়ারা খাতুন (৪০) কে তার স্বামী আব্দুল আলিম শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৮ নভেম্বর)  সকাল ১১ টার দিকে  পুলিশ ওই ইউনিয়নের রতনকান্দি গ্রামের শশুরবাড়ির শোবার ঘর থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত পেয়ারা খাতুন রতনকান্দি গ্রামের হানিফ সরকারের মেয়ে এবং হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীমের দ্বিতীয় স্ত্রী। এদিকে  ঘটনার পর থেকে স্বামী আবদুল আলিম সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

ঘটনাস্থল ঘুরে জানা গেছে, ইউপি সদস্য পেয়ারা খাতুন প্রায় ১ বছর আগে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে সিমেন্ট ব্যবসায়ী যুবদল নেতা আব্দুল আলীমকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কোন এক সময় পেয়ারা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী আব্দুল আলীমসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গা ঢাকা দেয়। নিহত পেয়ারা খাতুনের বাবা হানিফ সরকার ও চাচা রইম উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ী আলীম প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পেয়ারা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের কিছুদিন পর আলিম টাকার দাবিতে পেয়ারা খাতুনকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। একপর্যায়ে পেয়ারা খাতুন তার স্বামী আলিমকে  ১৭ লাখ টাকা দেয়।  এরপর আরও টাকার দাবিতে পেয়ারা খাতুনকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। এ বিষয় নিয়ে গ্রাম্য প্রধানরা শালীশ বৈঠক করলেও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। তিনি দাবি করেন, আলিম পরিকল্পিতভাবে তার মেয়েকে হত্যা করেছে।

এ বিষয়ে শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫ শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ  আছলাম আলী জানান, শুক্রবার সকালে পেয়ারা খাতুনের ঘরে তালা দেখে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।পুলিশ ঘরের দরজা ভেঙে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। তিনি জানান, পেয়ারা খাতুনকে  শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা হানিফ সরকার বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলার দায়ের করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।