সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া টু সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ৪ টি বেইলি ব্রিজ এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ভারী যানবাহনের গর্জন আর বেপরোয়া চাপের নিচে নড়বড়ে হয়ে পড়া ব্রিজগুলো দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে নিত্যদিন হাজারো মানুষ।
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে বাড়তি যানচাপ তৈরি হলে এই সড়কই হয়ে ওঠে বিকল্প ব্যস্ততম রুট; আর তাতেই ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠে পরিস্থিতি ?। আবার এটিই একমাত্র ব্যস্ততম রাস্তা যেটি রায়গঞ্জ উপজেলাকে জেলা সদর সাথে সংযোগ তৈরি করেছে। বেইলি ব্রিজগুলো হলো, ১/ রৌহা-হাসিল ফকিরতলা ব্রিজ, ২/ ভেড়াদহ খালের উপর ব্রিজ, ৩/ ধীতপুর-বহুলী ব্রিজ ও ৪/ চন্দ্র কোনো ব্রিজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজগুলোর লোহার কাঠামো দিন দিন ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভারী ট্রাক বা পণ্য বোঝাই যানবাহন উঠলেই তীব্র কম্পনে ব্রিজ কেঁপে ওঠে। দুর থেকে মনে হয় যেন ব্রিজটি ভেঙে পড়তে উদ্যত। যাত্রীরা আতংকে দোআশলে থাকেন, এবার হয়তো আর পার হবে না। এ অবস্থা নিত্যদিনের।
রায়গঞ্জ উপজেলা সদর ধানগড়া মহিলা কলেজের ছাত্রী ফাতিমা, মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া রৌহার ছাত্র তারিকুল ইসলাম, বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সিফাত মোস্তফাসহ বেশকিছু শিক্ষার্থীরা বলেন , এ রাস্তার ব্রিজগুলো অনেক পুরাতন এবং একদম সংকুচিত সাথে ভাঙ্গাতো বটেই। ব্রিজের এপাশ ওপাশ সবসময় জাম লেগেই থাকে হরহামাশা। ফলে সময়মত বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
সরকারি বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগীশ কলেজের প্রভাষক মো. আব্দুস সাত্তার মন্ডল বলেন, এ এলাকার মানুষ আজও ভুলতে পারেনি কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া ভূইয়াগাতি-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কের দেওভোগ বেইলি ব্রিজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা। সে-ই ব্রিজে ভারী ট্রাকসহ ব্রিজের পুরো কাঠামো নদীতে পড়ে ব্যাপক যান-মালের ক্ষতি হয়। যা ছিল ভয়াবহ এক দৃশ্যের। সেই দৃশ্য এখনও আমাদের অন্তর ঝাঁঝরে করে দেয়, আর তাই এ সড়কের বেইলি ব্রিজগুলোর অবস্থা দেখে আশঙ্কা আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। তিনি আরো জানান, কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ অথবা সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে বড়ো বিপর্যয় ঘটতে সময় লাগবে না। রায়গঞ্জ পৌরসভার বেতুয়া মহল্লার অটোরিকশা চালক রেজাউল, সাইম সরকার, ধানগড়া ইউনিয়নের বুলাকীপুর গ্রামের ট্রাক চালক আবু বক্করসহ অনেকে বলেন, অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে শুধু ব্রিজ নয় রাস্তার অবস্থাও বেগতিক। যানবাহনতো দুরের কথা, মানুষ চলাচলই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়েও জামে নাকাল হয়ে যেতে হয়। যেন এ দুর্ভোগের শেষ নেই।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া টু সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ৪ টি বেইলি ব্রিজ এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ভারী যানবাহনের গর্জন আর বেপরোয়া চাপের নিচে নড়বড়ে হয়ে পড়া ব্রিজগুলো দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে নিত্যদিন হাজারো মানুষ।
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে বাড়তি যানচাপ তৈরি হলে এই সড়কই হয়ে ওঠে বিকল্প ব্যস্ততম রুট; আর তাতেই ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠে পরিস্থিতি ?। আবার এটিই একমাত্র ব্যস্ততম রাস্তা যেটি রায়গঞ্জ উপজেলাকে জেলা সদর সাথে সংযোগ তৈরি করেছে। বেইলি ব্রিজগুলো হলো, ১/ রৌহা-হাসিল ফকিরতলা ব্রিজ, ২/ ভেড়াদহ খালের উপর ব্রিজ, ৩/ ধীতপুর-বহুলী ব্রিজ ও ৪/ চন্দ্র কোনো ব্রিজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজগুলোর লোহার কাঠামো দিন দিন ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভারী ট্রাক বা পণ্য বোঝাই যানবাহন উঠলেই তীব্র কম্পনে ব্রিজ কেঁপে ওঠে। দুর থেকে মনে হয় যেন ব্রিজটি ভেঙে পড়তে উদ্যত। যাত্রীরা আতংকে দোআশলে থাকেন, এবার হয়তো আর পার হবে না। এ অবস্থা নিত্যদিনের।
রায়গঞ্জ উপজেলা সদর ধানগড়া মহিলা কলেজের ছাত্রী ফাতিমা, মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া রৌহার ছাত্র তারিকুল ইসলাম, বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সিফাত মোস্তফাসহ বেশকিছু শিক্ষার্থীরা বলেন , এ রাস্তার ব্রিজগুলো অনেক পুরাতন এবং একদম সংকুচিত সাথে ভাঙ্গাতো বটেই। ব্রিজের এপাশ ওপাশ সবসময় জাম লেগেই থাকে হরহামাশা। ফলে সময়মত বিদ্যালয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
সরকারি বেগম নুরুন্নাহার তর্কবাগীশ কলেজের প্রভাষক মো. আব্দুস সাত্তার মন্ডল বলেন, এ এলাকার মানুষ আজও ভুলতে পারেনি কয়েক বছর আগে ঘটে যাওয়া ভূইয়াগাতি-তাড়াশ আঞ্চলিক সড়কের দেওভোগ বেইলি ব্রিজে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা। সে-ই ব্রিজে ভারী ট্রাকসহ ব্রিজের পুরো কাঠামো নদীতে পড়ে ব্যাপক যান-মালের ক্ষতি হয়। যা ছিল ভয়াবহ এক দৃশ্যের। সেই দৃশ্য এখনও আমাদের অন্তর ঝাঁঝরে করে দেয়, আর তাই এ সড়কের বেইলি ব্রিজগুলোর অবস্থা দেখে আশঙ্কা আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। তিনি আরো জানান, কর্তৃপক্ষ অতিদ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণ অথবা সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে বড়ো বিপর্যয় ঘটতে সময় লাগবে না। রায়গঞ্জ পৌরসভার বেতুয়া মহল্লার অটোরিকশা চালক রেজাউল, সাইম সরকার, ধানগড়া ইউনিয়নের বুলাকীপুর গ্রামের ট্রাক চালক আবু বক্করসহ অনেকে বলেন, অবহেলা ও সংস্কারের অভাবে শুধু ব্রিজ নয় রাস্তার অবস্থাও বেগতিক। যানবাহনতো দুরের কথা, মানুষ চলাচলই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়েও জামে নাকাল হয়ে যেতে হয়। যেন এ দুর্ভোগের শেষ নেই।