ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একাডেমিক ভবন নির্মাণের দুই বছরের মাথায় দরজা ভেঙ্গে পড়ার অভিযোগ মিলেছে। এটি ঘটেছে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলীম এন্ড ভোকেশনাল মাদ্রাসায়। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আফজাল বিন নাজির অভিযোগ করে বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত অর্থে এই মাদ্রাসায় একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ভবনটির ভিত্তি দেয়া হয় চারতলার। তবে একতলার (গ্রাউন্ড ফ্লোর) কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে সরকারের ব্যয় হয় ৮৬ লাখ টাকার মতো। নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। যার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কোড নম্বর ৭০১৬।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করে ২০২৩ সালের শেষ সময়ে। এরপর নির্মিত ভবন ব্যবহারের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে। সেই মোতাবেক নতুন একাডেমিক ভবনের শিক্ষার্থীদের যথারীতি ক্লাসরুমে পাঠদান চলছে। কিন্তু নির্মাণের দুই বছরের মাথায় একাডেমিক ভবনের সমস্ত দরজা ঘুনে ধরে বিনষ্ট হতে চলেছে। ইতোমধ্যে টয়লেটের দরজা ভেঙে গেছে। এমন অবস্থায় একজন ছাত্র কিংবা একজন ছাত্রী টয়লেটে প্রবেশ করলে তা আরেকজন সহপাঠি পাহাড়া দিয়ে থাকে। বিশেষ করে মেয়েরা লোকলজ্জার ভয়ে একাডেমিক ভবনের টয়লেট ব্যবহার বলতে গেলে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অনেক মেয়ে শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের বাড়িতে যেয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারছে। মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ সরেজমিনে গেলে অভিযোগের ওই সত্যতা মিলে।
ওই অধ্যক্ষ অভিযোগ করে আরো বলেন, এমন নিম্নমানের কাঠের দরজা ব্যবহার করা হয়েছে যা দুই বছরের মাথায় ঘুনপোকায় ধরে ভেঙে পড়ছে।
এদিকে রয়েছে পাঠদানের জন্য শ্রেণিকক্ষ সংকট। সেজন্য নির্মিত এই একাডেমিক ভবনের উর্ধ্বমুখী বা দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কাজ শুরু করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এজন্য অধ্যক্ষ আফজাল বিন নাজির দ্রুত শিক্ষার্থীদের টয়লেট, পাঠদান কক্ষের সমস্যার সমাধান করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নেক নজর দাবি করেছেন। তবে একাডেমিক ভবনে ব্যবহারকৃত নতুন দরজা বিনষ্ট হওয়া বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কথা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী এম,এম, আলী রেজা রাজুর সঙ্গে। তিনি বলেন, অসাড় কাঠ বা পর্যাপ্ত পরিমাণ উড সিজনিং না হওয়ায় কাঠ পঁচছে। কাজের অনিয়ম বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে কথা হয় নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহেরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপসহকারী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর সৈয়দপুরে একাডেমিক ভবন নির্মাণের দুই বছরের মাথায় দরজা ভেঙ্গে পড়ার অভিযোগ মিলেছে। এটি ঘটেছে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলীম এন্ড ভোকেশনাল মাদ্রাসায়। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আফজাল বিন নাজির অভিযোগ করে বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত অর্থে এই মাদ্রাসায় একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ভবনটির ভিত্তি দেয়া হয় চারতলার। তবে একতলার (গ্রাউন্ড ফ্লোর) কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে সরকারের ব্যয় হয় ৮৬ লাখ টাকার মতো। নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। যার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কোড নম্বর ৭০১৬।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করে ২০২৩ সালের শেষ সময়ে। এরপর নির্মিত ভবন ব্যবহারের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে। সেই মোতাবেক নতুন একাডেমিক ভবনের শিক্ষার্থীদের যথারীতি ক্লাসরুমে পাঠদান চলছে। কিন্তু নির্মাণের দুই বছরের মাথায় একাডেমিক ভবনের সমস্ত দরজা ঘুনে ধরে বিনষ্ট হতে চলেছে। ইতোমধ্যে টয়লেটের দরজা ভেঙে গেছে। এমন অবস্থায় একজন ছাত্র কিংবা একজন ছাত্রী টয়লেটে প্রবেশ করলে তা আরেকজন সহপাঠি পাহাড়া দিয়ে থাকে। বিশেষ করে মেয়েরা লোকলজ্জার ভয়ে একাডেমিক ভবনের টয়লেট ব্যবহার বলতে গেলে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অনেক মেয়ে শিক্ষার্থী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের বাড়িতে যেয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারছে। মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ সরেজমিনে গেলে অভিযোগের ওই সত্যতা মিলে।
ওই অধ্যক্ষ অভিযোগ করে আরো বলেন, এমন নিম্নমানের কাঠের দরজা ব্যবহার করা হয়েছে যা দুই বছরের মাথায় ঘুনপোকায় ধরে ভেঙে পড়ছে।
এদিকে রয়েছে পাঠদানের জন্য শ্রেণিকক্ষ সংকট। সেজন্য নির্মিত এই একাডেমিক ভবনের উর্ধ্বমুখী বা দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কাজ শুরু করা এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। এজন্য অধ্যক্ষ আফজাল বিন নাজির দ্রুত শিক্ষার্থীদের টয়লেট, পাঠদান কক্ষের সমস্যার সমাধান করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নেক নজর দাবি করেছেন। তবে একাডেমিক ভবনে ব্যবহারকৃত নতুন দরজা বিনষ্ট হওয়া বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কথা হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী এম,এম, আলী রেজা রাজুর সঙ্গে। তিনি বলেন, অসাড় কাঠ বা পর্যাপ্ত পরিমাণ উড সিজনিং না হওয়ায় কাঠ পঁচছে। কাজের অনিয়ম বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে কথা হয় নীলফামারী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহেরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপসহকারী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।