অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি এখন বলিউডের ব্যস্ততম মুখ। এর মধ্যেই প্রযোজক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন ‘মুঝে জান না কহো মেরি জান’ চলচ্চিত্রে। এবার তার প্রযোজনা সংস্থা বান্দরফুল ফিল্মস নির্মাণ করতে যাচ্ছে নতুন ছবি ‘নাভা’। আকাশ মাহিমির চিত্রনাট্যে নির্মিত হতে যাওয়া ‘নাভা’র গল্প আবর্তিত হয়েছে সুন্দরবনের জলাভূমিকে কেন্দ্র করে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র তারা-যিনি বহু বছর পর ফিরে আসেন নিজের পূর্বপুরুষের ভিটেতে। আর ফিরেই জড়িয়ে পড়েন বহু প্রজন্মজুড়ে চলা রহস্য, নদী দেবতার উপাখ্যান, পারিবারিক অতীত ও লোকমিথ্যে ভরা এক ধাঁধায়। লোককথা ও হররের সমন্বয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দিতে চান শ্বেতা। তার ভাষায়, “আমি বৈচিত্র্যময় গল্পে বিশ্বাস করি। আগের ছবিটি ছিল একেবারে আলাদা আবেগের গল্প, এবার ঢুকেছি লোককথায় বোনা হররের জগতে। সুন্দরবন এখানে শুধু পটভূমি নয়-এটাই ছবির অন্যতম প্রধান চরিত্র, যা যেমন রক্ষা করে তেমন ভয়ও দেখায়।” চিত্রনাট্য শোনার পরই ছবিটি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন-জানালেন শ্বেতা। তার মতে, প্রযোজক হিসেবে এমন গল্পই বেছে নিতে চান যা দর্শককে ভিতর পর্যন্ত নাড়িয়ে দেবে-যার রেশ দীর্ঘদিন রয়ে যাবে মনে। ‘নাভা’র মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ প্রযোজক হিসেবে পথচলার ঘোষণা দিলেও এর আগে একটি নিরীক্ষাধর্মী প্রকল্প প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। শ্বেতার ভাষায়, সেটি ছিল শিক্ষাগ্রহণের সময়, আর এখন থেকে নিয়মিত প্রযোজনা করতে চান তিনি। ভারতীয় মাটির গল্প, চরিত্রনির্ভর আখ্যান এবং প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা দাঁড় করানোই তার লক্ষ্য। শ্বেতা বলেন, “আমি চাই গল্প এমন হোক, যা আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়-আর সোজা গিয়ে পৌঁছায় দর্শকের হৃদয়ে। শুধু ভারত নয়, ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষও যেন অনুভব করতে পারে এই গল্পগুলো।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি এখন বলিউডের ব্যস্ততম মুখ। এর মধ্যেই প্রযোজক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন ‘মুঝে জান না কহো মেরি জান’ চলচ্চিত্রে। এবার তার প্রযোজনা সংস্থা বান্দরফুল ফিল্মস নির্মাণ করতে যাচ্ছে নতুন ছবি ‘নাভা’। আকাশ মাহিমির চিত্রনাট্যে নির্মিত হতে যাওয়া ‘নাভা’র গল্প আবর্তিত হয়েছে সুন্দরবনের জলাভূমিকে কেন্দ্র করে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র তারা-যিনি বহু বছর পর ফিরে আসেন নিজের পূর্বপুরুষের ভিটেতে। আর ফিরেই জড়িয়ে পড়েন বহু প্রজন্মজুড়ে চলা রহস্য, নদী দেবতার উপাখ্যান, পারিবারিক অতীত ও লোকমিথ্যে ভরা এক ধাঁধায়। লোককথা ও হররের সমন্বয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দিতে চান শ্বেতা। তার ভাষায়, “আমি বৈচিত্র্যময় গল্পে বিশ্বাস করি। আগের ছবিটি ছিল একেবারে আলাদা আবেগের গল্প, এবার ঢুকেছি লোককথায় বোনা হররের জগতে। সুন্দরবন এখানে শুধু পটভূমি নয়-এটাই ছবির অন্যতম প্রধান চরিত্র, যা যেমন রক্ষা করে তেমন ভয়ও দেখায়।” চিত্রনাট্য শোনার পরই ছবিটি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন-জানালেন শ্বেতা। তার মতে, প্রযোজক হিসেবে এমন গল্পই বেছে নিতে চান যা দর্শককে ভিতর পর্যন্ত নাড়িয়ে দেবে-যার রেশ দীর্ঘদিন রয়ে যাবে মনে। ‘নাভা’র মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ প্রযোজক হিসেবে পথচলার ঘোষণা দিলেও এর আগে একটি নিরীক্ষাধর্মী প্রকল্প প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। শ্বেতার ভাষায়, সেটি ছিল শিক্ষাগ্রহণের সময়, আর এখন থেকে নিয়মিত প্রযোজনা করতে চান তিনি। ভারতীয় মাটির গল্প, চরিত্রনির্ভর আখ্যান এবং প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা দাঁড় করানোই তার লক্ষ্য। শ্বেতা বলেন, “আমি চাই গল্প এমন হোক, যা আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়-আর সোজা গিয়ে পৌঁছায় দর্শকের হৃদয়ে। শুধু ভারত নয়, ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষও যেন অনুভব করতে পারে এই গল্পগুলো।”