ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর মোড়ে তেল পাম্পে তেল তোলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে। মঙ্গলবার, (০২ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শ্রমিকরা সিরাজগঞ্জ রেলগেট চামড়া গুদাম এলাকায় রাস্তা ব্লক করে বিক্ষোভ শুরু করলে মুহূর্তেই ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক শ্রমিক সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও বাঁশের লাঠি। সড়কে আটকে পড়েছে মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স। সাধারণ যাত্রী, রোগী, স্কুল-কলেজমুখী শিক্ষার্থীসহ সবাইকে চরম ভোগান্তির মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে শ্রমিক নেতা-কর্মীরা এসময় আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ না তোলার ঘোষণা দেন।
ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তেল পাম্পে তেল তোলা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কিছু লোকের উত্তেজনা চলছিল। আজ সকালে আবারো তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ওই পক্ষের কয়েকজন সন্ত্রাসী হঠাৎ করে আমাদের ইউনিয়ন অফিসে হামলা চালায়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট করে দেয়। এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয় এটা আমাদের সংগঠনকে দুর্বল করার পরিকল্পিত অপচেষ্টা।
মো. আলমগীর হোসেন নামের ট্রাক চালক বলেন, শ্রমিকরা দিন-রাত পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে। অথচ আমাদের ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। প্রশাসন ঘটনার পর আসলেও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কোনো তৎপরতা দেখানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সড়ক অবরোধে নেমেছি।
এ সময় আরও কয়েকজন শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। রুটি-রুজির জন্য কাজ করি। কিন্তু বারবার হামলা-হুমকি দিয়ে আমাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে। যদি আমাদের নিরাপত্তা না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কাজ করব না।
অবরোধের কারণে মহাসড়কে আটকে পড়া ট্রাকে থাকা পণ্য দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ বাজার ষ্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করা এক যাত্রী মাসুদ রানা বলেন,আমাদের গাড়ি দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে আছে। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় এগোতে পারছি না।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর মোড়ে তেল পাম্পে তেল তোলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে। মঙ্গলবার, (০২ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শ্রমিকরা সিরাজগঞ্জ রেলগেট চামড়া গুদাম এলাকায় রাস্তা ব্লক করে বিক্ষোভ শুরু করলে মুহূর্তেই ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক শ্রমিক সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও বাঁশের লাঠি। সড়কে আটকে পড়েছে মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স। সাধারণ যাত্রী, রোগী, স্কুল-কলেজমুখী শিক্ষার্থীসহ সবাইকে চরম ভোগান্তির মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে শ্রমিক নেতা-কর্মীরা এসময় আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ না তোলার ঘোষণা দেন।
ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তেল পাম্পে তেল তোলা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কিছু লোকের উত্তেজনা চলছিল। আজ সকালে আবারো তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে ওই পক্ষের কয়েকজন সন্ত্রাসী হঠাৎ করে আমাদের ইউনিয়ন অফিসে হামলা চালায়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট করে দেয়। এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয় এটা আমাদের সংগঠনকে দুর্বল করার পরিকল্পিত অপচেষ্টা।
মো. আলমগীর হোসেন নামের ট্রাক চালক বলেন, শ্রমিকরা দিন-রাত পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে। অথচ আমাদের ওপর বারবার হামলা করা হচ্ছে। প্রশাসন ঘটনার পর আসলেও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে কোনো তৎপরতা দেখানো হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা সড়ক অবরোধে নেমেছি।
এ সময় আরও কয়েকজন শ্রমিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। রুটি-রুজির জন্য কাজ করি। কিন্তু বারবার হামলা-হুমকি দিয়ে আমাদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে। যদি আমাদের নিরাপত্তা না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা কাজ করব না।
অবরোধের কারণে মহাসড়কে আটকে পড়া ট্রাকে থাকা পণ্য দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিরাজগঞ্জ বাজার ষ্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করা এক যাত্রী মাসুদ রানা বলেন,আমাদের গাড়ি দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে আছে। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু রাস্তা বন্ধ থাকায় এগোতে পারছি না।