শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিররা -সংবাদ
শাহজাদপুরে শীতের আগমনের সাথে সাথেই লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে কারিগররা। পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে, দোকানে বা নির্দিষ্ট জায়গায় কারিগররা তুলা ধনুন, কাপড় সেলাই এবং লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
এদিকে শীত পড়ার সাথে সাথেই লেপ-তোষক তৈরি করতে কারিগরদের কাছে ছুটে আসছেন ক্রেতারা। কেউ নতুন লেপ তৈরি করতে আবার কেউবা পুরাতন তুলার সাথে নতুন তুলা মিশিয়ে লেপ তোষক তৈরি করতে কারিগরদের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। ?উপজেলার পৌরসভারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে জানা গেছে, নভেম্বরের শুরু থেকেই লেপ তোশক তৈরির কাজে ব্যস্ততা বেড়ে যায় কারিগরদের। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে মৌসুমী বেচা কেনা। কারিগরদের কেউ হাট বাজারে, কেউ দোকান বা কারখানায় বসে, আবার কেউ গ্রামে গ্রামে ঘুরে লেপ তোশক তৈরি করছেন। মঙ্গলবার, (০২ ডিসেম্বর ২০২৫) উপজেলার লেপ-তোষক তৈরির কারিগর গোপাল দাস, নিরঞ্জন দাস, ইব্রাহিম হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও আলামিন হোসেন জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পুরোদমে লেপ-তোষক তৈরির কাজ চলছে। তারা জানান, পৌর এলাকায় দারিয়াপুর বাজার, মনিরামপুর বাজার, দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড ও রুপপুরে লেপ-তোষক তৈরির ৭টি দোকান আছে। প্রতিটি দোকান মালিকের একটি করে কারখানা আছে। এসব কারখানায় ৩ থেকে ৪ জন শ্রমিক কাজ করে। ওই কারখানাতেই তুলা ধুনুন, কাপড় সেলাই ও লেপ-তোষক তৈরির কাজ করা হয়। কারিগররা জানান ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী শুধু পৌর এলাকার ৭টি দোকানে প্রতিদিন ২৫টি লেপ ও ১০টি তোষক তৈরি করা হচ্ছে ।
এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে নগরডালা, জামিরতা, তালগাছি, খুকনি, মূলকান্দি, বনগ্রাম, রতনকান্দি ও বাঘাবাড়ির হাট বাজারে লেপ-তোশক তৈরির ধুম পড়ে গেছে। কারিগর নিরঞ্জন দাস জানান, তুলা, কাপড় ও সুতার দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এ বছর লেপ তোশক তৈরির ব্যয় বেড়ে গেছে। তিনি জানান, লেপ তৈরির কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, তোষক তৈরির ব্লেজার তুলা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে এবং লেপের কাপড় প্রতি গজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, তোষকের কাপড় প্রতি গজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আকার অনুযায়ী লেপ তৈরির মজুরি ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা ও তোষক তৈরির মজুরি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা নিচ্ছেন কারিগরেরা। কারিগরেরা জানান, এবছর আকার অনুযায়ী প্রতিটা লেপ ১২০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতিটি তোষক ১৬০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো জানান, লেপ-তোষক তৈরির উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের লাভের অংক অনেকটাই কমে গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে কারিগর নিরঞ্জন দাস ও শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার পৌরসভার সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কমপক্ষে ৪০ টি লেপ-তোষক তৈরির দোকান আছে।
শীতের আগমনের সাথে সাথেই এসব দোকানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫টি লেপ ও ২ থেকে ৩টি তোষক তৈরি হচ্ছে। লেপ তোষকের পাইকারী কাপড় ব্যবসায়ী সাগর বসাক জানান, শীত মৌসুমে তিনি প্রতিদিন কারিগরদের কাছে লেপের কাপড় ৩০ থেকে ৩৫ থান (প্রতি থান ৪০ গজ) এবং ৩০০ গজ তোষকের কাপড় বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এভাবেই বেচাকেনা চলবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : লেপ তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিররা -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
শাহজাদপুরে শীতের আগমনের সাথে সাথেই লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে কারিগররা। পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারে, দোকানে বা নির্দিষ্ট জায়গায় কারিগররা তুলা ধনুন, কাপড় সেলাই এবং লেপ-তোষক তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
এদিকে শীত পড়ার সাথে সাথেই লেপ-তোষক তৈরি করতে কারিগরদের কাছে ছুটে আসছেন ক্রেতারা। কেউ নতুন লেপ তৈরি করতে আবার কেউবা পুরাতন তুলার সাথে নতুন তুলা মিশিয়ে লেপ তোষক তৈরি করতে কারিগরদের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। ?উপজেলার পৌরসভারসহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে জানা গেছে, নভেম্বরের শুরু থেকেই লেপ তোশক তৈরির কাজে ব্যস্ততা বেড়ে যায় কারিগরদের। জানুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে মৌসুমী বেচা কেনা। কারিগরদের কেউ হাট বাজারে, কেউ দোকান বা কারখানায় বসে, আবার কেউ গ্রামে গ্রামে ঘুরে লেপ তোশক তৈরি করছেন। মঙ্গলবার, (০২ ডিসেম্বর ২০২৫) উপজেলার লেপ-তোষক তৈরির কারিগর গোপাল দাস, নিরঞ্জন দাস, ইব্রাহিম হোসেন, শফিকুল ইসলাম ও আলামিন হোসেন জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পুরোদমে লেপ-তোষক তৈরির কাজ চলছে। তারা জানান, পৌর এলাকায় দারিয়াপুর বাজার, মনিরামপুর বাজার, দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড ও রুপপুরে লেপ-তোষক তৈরির ৭টি দোকান আছে। প্রতিটি দোকান মালিকের একটি করে কারখানা আছে। এসব কারখানায় ৩ থেকে ৪ জন শ্রমিক কাজ করে। ওই কারখানাতেই তুলা ধুনুন, কাপড় সেলাই ও লেপ-তোষক তৈরির কাজ করা হয়। কারিগররা জানান ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী শুধু পৌর এলাকার ৭টি দোকানে প্রতিদিন ২৫টি লেপ ও ১০টি তোষক তৈরি করা হচ্ছে ।
এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে নগরডালা, জামিরতা, তালগাছি, খুকনি, মূলকান্দি, বনগ্রাম, রতনকান্দি ও বাঘাবাড়ির হাট বাজারে লেপ-তোশক তৈরির ধুম পড়ে গেছে। কারিগর নিরঞ্জন দাস জানান, তুলা, কাপড় ও সুতার দাম এবং শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় এ বছর লেপ তোশক তৈরির ব্যয় বেড়ে গেছে। তিনি জানান, লেপ তৈরির কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, তোষক তৈরির ব্লেজার তুলা প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে এবং লেপের কাপড় প্রতি গজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, তোষকের কাপড় প্রতি গজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আকার অনুযায়ী লেপ তৈরির মজুরি ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা ও তোষক তৈরির মজুরি ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা নিচ্ছেন কারিগরেরা। কারিগরেরা জানান, এবছর আকার অনুযায়ী প্রতিটা লেপ ১২০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রতিটি তোষক ১৬০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তারা আরো জানান, লেপ-তোষক তৈরির উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের লাভের অংক অনেকটাই কমে গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে কারিগর নিরঞ্জন দাস ও শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার পৌরসভার সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কমপক্ষে ৪০ টি লেপ-তোষক তৈরির দোকান আছে।
শীতের আগমনের সাথে সাথেই এসব দোকানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৫টি লেপ ও ২ থেকে ৩টি তোষক তৈরি হচ্ছে। লেপ তোষকের পাইকারী কাপড় ব্যবসায়ী সাগর বসাক জানান, শীত মৌসুমে তিনি প্রতিদিন কারিগরদের কাছে লেপের কাপড় ৩০ থেকে ৩৫ থান (প্রতি থান ৪০ গজ) এবং ৩০০ গজ তোষকের কাপড় বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এভাবেই বেচাকেনা চলবে।