ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিলেটের কাইনঘাটে ছয়ফুল ইসলামকে (১৯) হত্যার নেপথ্যে ছিলো ইয়াবা বিক্রির টাকার ভাগ-বাটোয়ারা। স্থানীয় সূত্রে এমনটি জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত রোববার সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের রাতাছড়া গ্রামে খুটিতে বেঁধে ছয়ফুলকে কুপয়ে হত্যা করা হয়। ছয়ফুল হত্যার পরদিন সোমবার সকালে তার স্বজনরা হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাকিল আহমদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। সাকিল আহমদের পিতা আব্দুল হান্নান হানাইকে আটক করে থানা পুলিশে দিয়েছেন তারা। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ইয়াবা বিক্রি ২ লক্ষ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, রাতাছড়া গ্রামের মৃত ছলু মিয়ার পুত্র ছয়ফুল ইসলাম ও একই গ্রামের আব্দুল হানাইর পুত্র সাকিল আহমদ ও তাদের সহযোগী সুমন আহমদ একই সাথে দীর্ঘদিন থেকে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাই পণ্য দেশে এনে বিক্রি করতেন। সম্প্রতি ইয়াবা বিক্রির ২ লাখ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ছয়ফুল ইসলামের সাথে সাকিল আহমদ ও সুমন আহমদের বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে গত রোববার সন্ধ্যার দিকে ছয়ফুলকে বাড়ির সামনে থেকে সাকিল আহমদ ও সুমন আহমদ ধরে এনে সাকিলের বাড়ির বারান্দার একটি খুঁটিতে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। ঐ সময় টাকা লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে সাকিল আহমদ ও তার সহযোগী সুমন আহমদ দা দিয়ে ছয়ফুলের মাথায় উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা ছয়ফুলকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কানাইঘাট থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে ছয়ফুলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, ছয়ফুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। অভিযুক্ত সাকিল আহমদের পিতাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দিয়েছেন, তাকে হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
সিলেটের কাইনঘাটে ছয়ফুল ইসলামকে (১৯) হত্যার নেপথ্যে ছিলো ইয়াবা বিক্রির টাকার ভাগ-বাটোয়ারা। স্থানীয় সূত্রে এমনটি জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত রোববার সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের রাতাছড়া গ্রামে খুটিতে বেঁধে ছয়ফুলকে কুপয়ে হত্যা করা হয়। ছয়ফুল হত্যার পরদিন সোমবার সকালে তার স্বজনরা হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সাকিল আহমদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। সাকিল আহমদের পিতা আব্দুল হান্নান হানাইকে আটক করে থানা পুলিশে দিয়েছেন তারা। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ইয়াবা বিক্রি ২ লক্ষ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা জানান, রাতাছড়া গ্রামের মৃত ছলু মিয়ার পুত্র ছয়ফুল ইসলাম ও একই গ্রামের আব্দুল হানাইর পুত্র সাকিল আহমদ ও তাদের সহযোগী সুমন আহমদ একই সাথে দীর্ঘদিন থেকে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের চোরাই পণ্য দেশে এনে বিক্রি করতেন। সম্প্রতি ইয়াবা বিক্রির ২ লাখ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ছয়ফুল ইসলামের সাথে সাকিল আহমদ ও সুমন আহমদের বিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে গত রোববার সন্ধ্যার দিকে ছয়ফুলকে বাড়ির সামনে থেকে সাকিল আহমদ ও সুমন আহমদ ধরে এনে সাকিলের বাড়ির বারান্দার একটি খুঁটিতে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। ঐ সময় টাকা লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে সাকিল আহমদ ও তার সহযোগী সুমন আহমদ দা দিয়ে ছয়ফুলের মাথায় উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা ছয়ফুলকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কানাইঘাট থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে ছয়ফুলের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, ছয়ফুল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দেয়া হয়নি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। অভিযুক্ত সাকিল আহমদের পিতাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে দিয়েছেন, তাকে হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।