নীলফামারীর ডিমলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জবরদখলের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী একটি চক্রের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিদ্যালয়ের সম্পত্তি উদ্ধারে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডিমলা উপজেলার প,ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ শ্রীমন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডভুক্ত প্রায় ২ একর ৭০ শতাংশ জমি একই এলাকার আ. ছালাম, আশরাফুল ও সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র লোক জননিয়ে অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত রোববার (১ ডিসেম্বর) পেশিশক্তির জোরে দখলের করে নেয়। এ সময় তারা বিদ্যালয়ের জমিতে লাগানো পাকা আমন ধান কেটে নিয়ে যায়। পরদিন ওই জমিতে হাল চাষ করে জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম জানান, বিদ্যালয়ের ২ একর ৭০ শতাংশ জমি পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা জাহিদুল ইসলামসহ আরও পাঁচজনকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক লিজ দেওয়া হয়। লিজ গ্রহীতারা সেখানে বৈধভাবে আমন ধান চাষাবাদ করেন। কিন্তু অভিযুক্ত ভূমিদস্যুরা কোনো প্রকার আইনগত অধিকার ছাড়াই ধান কেটে নিয়ে গিয়ে জমিতে হাল চাষ করে জোরপূর্বক দখল করছে। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভুমি) রওশন কবির বলেন, যদি কোন মহল বা ব্যাক্তি প্রভাব বিস্তার করে পেশিশক্তি ব্যবহার করে সরকারী বা প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি দখল করে সেটা শক্ত হাতে দমন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান বলেন, “শ্রীমন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জবরদখলের বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমাকে অবহিত করেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। আইনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে বিদ্যালয়ের জমি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করা হবে।”

স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি এভাবে জবর দখলে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম জনান, বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে জবর দখলকারি ১০ জনকে অভিযুক্ত করে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছি। আশা করি সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসন যথাযথ আইন প্রয়োগ করে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিবেন।