মধ্য অগ্রহায়নে এসে বগুড়ার আদমদীঘিতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে সকালটা। কমে আসছে সূর্যের তাপ। রাত গভীর হলেই ঘাসে জমছে শিশির। শীত বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে সান্তাহার শহরের রেলগেট এলাকার পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন শীতার্ত মানুষ। বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায় কয়েক দিন ধরেই এই চিত্র চোখে পড়ছে। প্রকৃতি ও জীবনযাত্রার এই পরিবর্তনই বলে দিচ্ছে শীত এসেছে। এর ফলে প্রস্ততির পাশাপাশি কিছু সাবধানতার কথাও বলছেন চিকিৎকরা।
সান্তাহার পৌর শহরের নাহার মেডিকেয়ারের চিকিৎসক ডা. হামিদুর রহমান রানা বলেন, শীত আগমনেরএই সময়টাতে দুই ধরনের আবহাওয়া থাকে-কখনো গরম, কখনো শীত অনুভূত হয়। তাই এই সময়টাতে অ্যাজমা, হ্যাঁপানি, বিভিন্ন ধরনের চুলকানিও ঠান্ডা-গরমজনিত জ্বর-কাশিসহ নানা রোগ হতে পারে। এ কারনে বাড়তি সাবধানতার প্রয়োজন রয়েছে। শরীরের সঙ্গে দুই ধরনের আবহাওয়াকে মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে। রাতের প্রথম ভাগে শীত একটু কম অনুভূত হলেও শেষ ভাগে বেশি থাকে। এ ক্ষেত্রে তাপমাত্রা অনুযায়ী ঘুমানোর সময় কাঁথা অথবা পাতলা চাদর ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে শরীর পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরী।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহরে যান্ত্রীকতার কারণে আবহাওয়া একটু উঞ্চ থাকলেও গ্রামঞ্চলে এরই মধ্যে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীতের আগমনি বার্তা পেয়েই খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গাছিরা। সান্তাহার শহরের মালশন গ্রামের বাসিন্দা নয়ন হোসেন জানান, তাদের গ্রামে প্রচুর খেজুরগাছ রয়েছে। শীতের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছিরা তাদের এলাকার রস সংগ্রহ করতে আসেন। এসব গাছি এরই মধ্যে আসতে শুরু করেছেন।
সান্তাহার শহরে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সবচাইতে শীতের পুরোনো কাপড় কিনতে পাওয়া যায়। সান্তাহার স্বাধীনতা স্তম্ভের পাশে দোকানিরা দোকান বানিয়ে শীতের কাপড় বিক্রি শুরু করেছে। শীতের এই তিন মাস এটি তাদের মৌসুমী ব্যবসা। দুর-দুরান্তের ক্রেতারা এখানকার শীতের সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, চাদর, শিশুদের নানা রকম কাপড়, পুরাতন শার্ট, প্যান্ট, কোট, টাই ইত্যাদি কিনতে আসে।
এই বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে চা, পিঠা, পানের মৌসুমি দোকান। দুর-দুরান্তের পাইকার রা এই সান্তাহার থেকে পুরাতন কাপড় কিনে নিয়ে যায়। রাজধানী ঢাকা, চট্টগাম থেকে এসব শীতের কাপড় গ্যাট হিসেবে আসে। এই বাজার কে কেন্দ্র করে প্রায় ১০০০ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা তাদের দিন-রাতের শ্রম দিয়ে ব্যবসা করবে শীতের কাপড়ের। আর শ্রমজীবী মানুষ থেকে মধ্যবিত্তরা এখানকার শীতের কাপড় কিনে শীত নিবারণ করবে।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে রাব্বি বলেণ, বছরের এই ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুসহ নানা বয়সের মানুষ ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়। তাই ঠান্ডা লাগানো হবে না। আমরা রোগিদের সব সময় এসব পরশামর্শ দিচ্ছি। আমরা প্রতিদিন ৫০/৬০ ঠান্ডজনিত জন রুগি পাচ্ছি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: ইডটকো ও টেশিস এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত
সারাদেশ: মাগুরায় ২ সার ডিলারকে জরিমানা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মোবাইল ফটোগ্রাফিতে টেলিফটো অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে ভিভো এক্স৩০০ প্রো
সারাদেশ: এনসিপি রাজশাহীতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারী