নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ৭ ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সেচের পানি থেকে বঞ্চিত। বুড়ি তিস্তা নদীর পানিতে নির্মিত সেচ ক্যানেল থাকা সত্ত্বেও বিগত ২০১০ ইং সাল থেকে এক ফোঁটা সেচের পানিও না পাওয়ায় পানির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ওই সব এলাকার সাধারণ কৃষকরা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া কৃষকরা জানান, গালনা, মীরগঞ্জ, ধর্মপাল, শিমুল বাড়ি, বালাগ্রাম কাঁঠালি ও গোলমুন্ডা সহ ৭ ইউনিয়ন মোট সেচযোগ্য জমির পরিমাণ ২ হাজার ২৩২ হেক্টর (প্রায় ৫ হাজার ৫ শত একর)। নিয়মিত সেচ সুবিধা পাওয়া গেলে বছরে প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান উৎপাদন সম্ভব হতো, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখত। পাশাপাশি এ খালভিত্তিক সেচ ব্যবস্থা এলাকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত।
কৃষকদের অভিযোগ, বুড়ি তিস্তা নদীর পানিনির্ভর সেচ ক্যানেলের মাধ্যমে মাত্র ৪৮০ টাকায় একর প্রতি সেচের পানি পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে বাধ্য হয়ে শ্যালো মেশিন বসাতে হচ্ছে। এতে একরপ্রতি প্রায় পাঁচ গুণ বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে, যা সীমিত আয়ের কৃষকদের জন্য চরম বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুড়ি তিস্তা নদীর পানি ব্যারেজের ভাটিতে উভয় পশে রবি শস্য চাষাবাদের জন্য সেচ প্রদানসহ একাধিক প্রকল্প ২০২১ সালে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পর ২০২২ সালে নদীর মূল জলাধারা খননের জন্য ৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দে ৫ জন ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, অধিগ্রহণকৃত ১২ শ’ ১৭ একর এলাকার মধ্যে পাঁচটি প্যাকেজে ৬ শ’ ৬৭ একর জলাশয় খননের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেও কাজ শুরু করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে । ব্যারেজের উজানের কিছু সংখ্যক লোক এবং জলাশয়ের জমি অবৈধভাবে দখল রাখা কিছু অসাধু ব্যক্তি জোরপূর্বক কাজে বাধা দিয়ে আসছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান জানান, আমরা বিগত ২০১৮ ইং সাল থেকে বিষয়টি নিরসনে সমন্বয় করে আসছি। খনন কাজ বাস্তবায়িত হলে কৃষকরা স্বল্পমূল্যে সেচের পানি পাবেন এবং এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে। এ জন্য সকল পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
অর্থ-বাণিজ্য: খেলাপি ঋণ কেন কমছে না, জানতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক
অর্থ-বাণিজ্য: শেয়ারবাজারে সূচকের বড় উত্থান, বেড়েছে লেনদেনও