প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এখন কালের স্বাক্ষী

image
দশমিনা (পটুয়াখালী) : গরু দিয়ে হালচাষ করছেন কৃষক -সংবাদ

লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ এখন কালের স্বাক্ষী

মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা থেকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ এখন কালের স্বাক্ষী হয়ে গেছে। আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই কৃষি ছোঁয়ায় পরিবর্তন দেখা যায় বেশ। উপজেলায় সকালবেলা কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল আর জোড়া গরু কৃষকদের দড়ি হাতে নিয়ে মাঠে যেতে দেখা যায় না। উপজেলা থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ। বাংলার রূপের কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল হাজার বছরের কৃষি উপকরণের সঙ্গী লাঙ্গল-জোয়াল ও গরু।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের দীর্ঘ ৪০ বছরের হাল চাষে পরিশ্রমী কৃষক জাফর সরদার বলেন, চাষের জন্য দরকার ছিলো এক জোড়া বলদ,কাঠের তৈরি লাঙ্গল, বাঁশের তৈরি জোয়াল, মই, লরি (বাঁশের তৈরি গরু তাড়ানোর লাঠি) গরুর মুখের টোনা ইত্যাদি। আগে গরু দিয়ে হালচাষ করলে জমিতে ঘাস কম হতো। অনেক সময় গরুর গোবর জমিতে লাগতো, এতে করে জমিতে অনেক জৈব সার হতো। ফসলি জমিতে ফলন ভালো হতো। আধুনিকতার সঙ্গে সঙ্গে হালচাষের পরিবর্তনে এখন ট্রাক্টর এবং (ট্রলির) নাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হয়। এক সময় উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কৃষক হালচাষ করার জন্য গরু পালন করতো। আবার কিছু মানুষ গবাদিপশু দিয়ে হালচাষকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। এখন আর চোখে পড়ে না গরুর লাঙ্গল দিয়ে চাষাবাদ। ধান রোপন থেকে ফসল ঘরে তোলা সবই মশিন দিয়ে করা হয়। কৃষকদের এখন আর আগের মতো পরিশ্রম করতে হয় না। কৃষক জাফর সরদার আরও বলেন, আমার বাপ-দাদার আমল থেকেই কৃষি জমিতে চাষাবাদ করতাম লাঙ্গল আর হালের বলদ দিয়ে। এখন আর তার প্রয়োজন হয় না। কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির নতুন নতুন আবিস্কারের ফলে কৃষিতে ফসল উৎপাদন পরিধি বেড়ে গেছে। শখ করে ৫-৬টি মহিষ লালন পালন করি। এই বছর প্রায় ২-৩ একর জমি ধানের জন্য চাষাবাদ ট্র্যাক্টর দিয়ে করেছি। চাষাবাদে সময় কম লেগেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.জাফর আহমেদ বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সোনালী প্রান্তর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এক সময় কালের নাঙ্গল দিয়ে হালচাষ। নতুন নতুন আধুনিক বিভিন্ন মেশিন এসেছে। সেই মেশিন দিয়েই কৃষকরা জমি চাষাবাদ করছে। কৃষকরা গরু, মহিষ, লাঙ্গল, জোয়াল নিয়ে জমিতে হালচাষ করছে না। এক সময় গরু,মহিষ,লাঙ্গল ও জোয়াল ছিল আমাদের ঐতিহ্য ও পরিবেশ বান্ধব কৃষি পদ্ধতি। বিগত দিনকে পিছনে ফেলে বর্তমান সময়ে কৃষি প্রযুক্তি আধুনিকতার ছোঁয়ায় চলছে। আগামীতে কৃষিতে আরও পরিবর্তন আসবে যা কৃষকদের কৃষি কাজে সময়ের অপচয় হবে না এবং পরিশ্রমও কম লাগবে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

» বেগম রোকেয়াকে ‘মুরতাদ’ ও ‘কাফির’ বললেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যায়ের এক ‘শিক্ষক’

» মানিকগঞ্জে পাঁচ অদম্য নারীকে সম্মাননা

» সুন্দরবনের ৭২ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক ৪

» সিলেটে সরকারি চাকরি ছাড়ার হিড়িক

» বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্ত ৪৭ ভারতীয় জেলে

» বাহুবলে ব্যারিকেড দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা

» হবিগঞ্জে দুই পক্ষে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫

» গজারিয়ায় জয় হত্যাকান্ডের দুই সপ্তাহে গ্রেপ্তার নেই

» ঠাকুরগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

» সিরাজগঞ্জে ট্রাকচাপায় ব্যবসায়ী নিহত

» নাইক্ষ্যংছড়িতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত

» সিলেটে আসামি ধরতে গিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা আহত

» ডিমলায় বেগম রোকেয়া দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

» দামুড়হুদায় খেজুরের রস সংগ্রহে ব্যাস্ত গাছি

» সিরাজগঞ্জে বিদেশি ফল প্যাশন (আনারকলি) চাষে কৃষক জহুরুলের সাফল্য

» ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে সিংড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

» রাণীশংকৈলের মোশাররফ এখন বিদেশি পাখির সফল খামারি,

» শেরপুরে আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

» প্রসূতীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর

» কিশোরগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দিবস পালিত