তিরিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাড়ি তৈরি করে দিবে সরকার। তবে তাদের নিজস্ব জমি থাকতে হবে। এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে ‘অসচ্ছল’ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। এই বাড়ির নাম হবে ‘বীর নিবাস’।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই বাড়ি নির্মাণ শেষ করা হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে একটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাদেশের উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যা হলেন- উপজেলা সমাজসেবা অফিস, প্রকৌশলী ও স্থানীয় দু’জন মুক্তিযোদ্ধা।
কোন নিচু বা ডোবা জমিতে অথবা কোন সদ্য ভরাটকৃত বা নদীর তীরে জেগে উঠা চরজমিতে বীর নিবাস নির্মাণ করা যাবে না বলে প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া গৃহনির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার নিজ নামে ৪ শতক জমি থাকতে হবে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক এম ইদ্রিস সিদ্দিকী সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্পের স্বচ্ছতা আনার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গৃহ নির্মাণের জমি দাগ-খতিয়ান দেখে সরেজমিনে পরিদর্শন করে চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া আবেদন যাচাই-বাছাই অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ বরাদ্দ দেয়া হবে।’ বর্তমানে ৬৬ উপজেলায় ৭৯২টি গৃহ নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
কেমন হবে বীর নিবাস
পাকা ১ তলা প্রতিটি বাড়ি হবে ৬৩৫ স্কয়ার ফিটের। এর মধ্যে ২টি প্রধান কক্ষ (বেড রুম), ১টি অতিথি কক্ষ (ড্রয়িং রুম), ১টি খাবার কক্ষ (ডাইনিং-রুম), ১টি রান্না ঘর ও ২টি বাথরুম থাকবে। প্রথম দফায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ১৪ হাজার পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সরকারের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ২ হাজার ৯৬১টি আবাসন নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। যার নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘সারাদেশের একটু অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই ৩০ হাজার বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের আলোকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে জমির দাগ-খতিয়ান দেখে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ১৪ হাজার পাকা বাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। অর্থাৎ বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেয়া হবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা অসচ্ছল তারাই এসব বাড়ি বরাদ্দ পাবেন। সারাদেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হবে। অসহায় এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতেই দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, এ আবাসন বরাদ্দের জন্য অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ও সন্তান আবেদন করতে পারবেন। বীরাঙ্গনাদের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি বরাদ্দ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদনটি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে সরাসরি তাদের বিপরীতে আবাসন বরাদ্দ দেবে। সুবিধাভোগীকে বরাদ্দপ্রাপ্ত বাড়িটি শুধু নিজের বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করবেন মর্মে চুক্তিপর্বে অঙ্গীকার করতে হবে। এ বাড়িটি কোনভাবেই বিক্রি বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। নির্মিত বাড়িটির মূল অবকাঠামোগত কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা যাবে না। বাড়িটি সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বরাদ্দপ্রাপ্ত সুবিধাভোগী নিজ খরচে বহন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
সোমবার, ১৬ আগস্ট ২০২১
তিরিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাড়ি তৈরি করে দিবে সরকার। তবে তাদের নিজস্ব জমি থাকতে হবে। এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে ‘অসচ্ছল’ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। এই বাড়ির নাম হবে ‘বীর নিবাস’।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই বাড়ি নির্মাণ শেষ করা হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে একটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাদেশের উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যা হলেন- উপজেলা সমাজসেবা অফিস, প্রকৌশলী ও স্থানীয় দু’জন মুক্তিযোদ্ধা।
কোন নিচু বা ডোবা জমিতে অথবা কোন সদ্য ভরাটকৃত বা নদীর তীরে জেগে উঠা চরজমিতে বীর নিবাস নির্মাণ করা যাবে না বলে প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া গৃহনির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার নিজ নামে ৪ শতক জমি থাকতে হবে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক এম ইদ্রিস সিদ্দিকী সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্পের স্বচ্ছতা আনার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গৃহ নির্মাণের জমি দাগ-খতিয়ান দেখে সরেজমিনে পরিদর্শন করে চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া আবেদন যাচাই-বাছাই অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ বরাদ্দ দেয়া হবে।’ বর্তমানে ৬৬ উপজেলায় ৭৯২টি গৃহ নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
কেমন হবে বীর নিবাস
পাকা ১ তলা প্রতিটি বাড়ি হবে ৬৩৫ স্কয়ার ফিটের। এর মধ্যে ২টি প্রধান কক্ষ (বেড রুম), ১টি অতিথি কক্ষ (ড্রয়িং রুম), ১টি খাবার কক্ষ (ডাইনিং-রুম), ১টি রান্না ঘর ও ২টি বাথরুম থাকবে। প্রথম দফায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ১৪ হাজার পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সরকারের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ২ হাজার ৯৬১টি আবাসন নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। যার নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হয়েছে।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘সারাদেশের একটু অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই ৩০ হাজার বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের আলোকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে জমির দাগ-খতিয়ান দেখে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ১৪ হাজার পাকা বাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। অর্থাৎ বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেয়া হবে।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা অসচ্ছল তারাই এসব বাড়ি বরাদ্দ পাবেন। সারাদেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হবে। অসহায় এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতেই দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, এ আবাসন বরাদ্দের জন্য অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ও সন্তান আবেদন করতে পারবেন। বীরাঙ্গনাদের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি বরাদ্দ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদনটি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে সরাসরি তাদের বিপরীতে আবাসন বরাদ্দ দেবে। সুবিধাভোগীকে বরাদ্দপ্রাপ্ত বাড়িটি শুধু নিজের বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করবেন মর্মে চুক্তিপর্বে অঙ্গীকার করতে হবে। এ বাড়িটি কোনভাবেই বিক্রি বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। নির্মিত বাড়িটির মূল অবকাঠামোগত কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা যাবে না। বাড়িটি সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বরাদ্দপ্রাপ্ত সুবিধাভোগী নিজ খরচে বহন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।