alt

সারাদেশ

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণ হচ্ছে ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ : সোমবার, ১৬ আগস্ট ২০২১

‘বীর নিবাস’-এর নকশা

তিরিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাড়ি তৈরি করে দিবে সরকার। তবে তাদের নিজস্ব জমি থাকতে হবে। এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে ‘অসচ্ছল’ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। এই বাড়ির নাম হবে ‘বীর নিবাস’।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই বাড়ি নির্মাণ শেষ করা হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে একটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাদেশের উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যা হলেন- উপজেলা সমাজসেবা অফিস, প্রকৌশলী ও স্থানীয় দু’জন মুক্তিযোদ্ধা।

কোন নিচু বা ডোবা জমিতে অথবা কোন সদ্য ভরাটকৃত বা নদীর তীরে জেগে উঠা চরজমিতে বীর নিবাস নির্মাণ করা যাবে না বলে প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া গৃহনির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার নিজ নামে ৪ শতক জমি থাকতে হবে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক এম ইদ্রিস সিদ্দিকী সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্পের স্বচ্ছতা আনার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গৃহ নির্মাণের জমি দাগ-খতিয়ান দেখে সরেজমিনে পরিদর্শন করে চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া আবেদন যাচাই-বাছাই অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ বরাদ্দ দেয়া হবে।’ বর্তমানে ৬৬ উপজেলায় ৭৯২টি গৃহ নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।

কেমন হবে বীর নিবাস

পাকা ১ তলা প্রতিটি বাড়ি হবে ৬৩৫ স্কয়ার ফিটের। এর মধ্যে ২টি প্রধান কক্ষ (বেড রুম), ১টি অতিথি কক্ষ (ড্রয়িং রুম), ১টি খাবার কক্ষ (ডাইনিং-রুম), ১টি রান্না ঘর ও ২টি বাথরুম থাকবে। প্রথম দফায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ১৪ হাজার পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সরকারের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ২ হাজার ৯৬১টি আবাসন নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। যার নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘সারাদেশের একটু অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই ৩০ হাজার বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের আলোকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে জমির দাগ-খতিয়ান দেখে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ১৪ হাজার পাকা বাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। অর্থাৎ বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেয়া হবে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা অসচ্ছল তারাই এসব বাড়ি বরাদ্দ পাবেন। সারাদেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হবে। অসহায় এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতেই দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, এ আবাসন বরাদ্দের জন্য অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ও সন্তান আবেদন করতে পারবেন। বীরাঙ্গনাদের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি বরাদ্দ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদনটি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে সরাসরি তাদের বিপরীতে আবাসন বরাদ্দ দেবে। সুবিধাভোগীকে বরাদ্দপ্রাপ্ত বাড়িটি শুধু নিজের বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করবেন মর্মে চুক্তিপর্বে অঙ্গীকার করতে হবে। এ বাড়িটি কোনভাবেই বিক্রি বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। নির্মিত বাড়িটির মূল অবকাঠামোগত কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা যাবে না। বাড়িটি সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বরাদ্দপ্রাপ্ত সুবিধাভোগী নিজ খরচে বহন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

ছবি

গাজীপুর-ঢাকা বিআরটি লেনে অবশেষে বাস চালু

আরিচায় অগ্নিকান্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই ক্ষতি পরিমান কোটি টাকা

ছবি

আখাউড়ায় পুলিশের উপর হামলা, উস্কানি দেওয়ায় তাহেরির বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার তিন

সদরপুরে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ২

শীতে জুবুথুবু উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণের জেলাতেও জেঁকে বসেছে

ছবি

অষ্টগ্রামে মহিষ চুরির অভিযোগে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা

ছবি

কক্সবাজারে বন্যহাতির আক্রমণে একজনের মৃত্যু

ছবি

সুনামগঞ্জে ধর্মীয় উত্তেজনার জেরে হিন্দু বাড়িঘরে হামলা, চারজন গ্রেপ্তার

ছবি

কক্সবাজারে হাতির পদপিষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু

ছবি

কিশোরগঞ্জে ‘চুরি হওয়া মহিষ’ নিয়ে আটক ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা

ছবি

তিনদিনের ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়

নাফনদী থেকে ‘আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে যাওয়া’ ৪ জেলের হদিস নেই

ছবি

পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে

ছবি

শীতে জবুথুবু উত্তরাঞ্চল, জেঁকে বসেছে দক্ষিণেও

ছবি

দীর্ঘ ১৮ বছরেও চালু হয়নি মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীর সন্ন্যাসী কলারন ফেরিঘাট, ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে হাজার হাজার যাত্রী

ছবি

শরীয়তপুরে রাসেল’স ভাইপারের কামড় খেয়ে সাপ নিয়েই হাসপাতালে হাজির হলেন আক্রান্ত ব্যক্তি

ছবি

তর্ক করায় বাস ভাঙচুর, চালক-যাত্রীকে মারধর করলেন বিএনপি নেতা

ছবি

বিডিআর বিদ্রোহ: ‘নির্দোষ’ কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তিসহ আট দফা দাবি

ছবি

পারিবারিক কলহের জের ধরে শিশুকে হত্যার অভিযোগ, আটক মা

ছবি

ভারত থেকে ট্রেনে বেনাপোলে এলো ৪৬৮ টন আলু

ছবি

রাখাইনে বিদ্রোহীদের দখলে মংডু, পুরো সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ হারাল জান্তা বাহিনী

ছবি

৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু

ছবি

শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা নামল ৯ ডিগ্রিতে

ছবি

সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা, এই তীব্রতা বাড়বে আরও

ছবি

ইজতেমা: জুবায়ের পন্থীদের সড়ক অবরোধ, গাড়িতে হামলায় আহত ৫

ছবি

কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিজিবির বিশেষ অভিযান, ৪০ লাখ টাকার মাদক ও চোরাচালানী মালামাল জব্দ

ছবি

গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিক্সার ৪ যাত্রী নিহত

ফরিদপুরে শিশু হত্যাকারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা

ছবি

ভোলার চরফ্যাশনে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

ছবি

বেতন বৃদ্ধি দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ, আশুলিয়ার ২৫ কারখানায় ছুটি ঘোষণা

ছবি

ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী ৭৮ নাবিকসহ দুই নৌযান উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে

ছবি

আবু সাঈদের বাবা অসুস্থ, হেলিকপ্টারে নেওয়া হলো ঢাকায়

ছবি

পিকেএসএফ-এর নতুন এমডি ফজলুল কাদের

ছবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল আলিফ হত্যায় চার আসামির রিমান্ডের আদেশ

ছবি

মায়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা : নাফনদীতে নৌযান চলাচলে সতর্কতা জারি

ছবি

ঘন কুয়াশায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয়

tab

সারাদেশ

অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণ হচ্ছে ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

‘বীর নিবাস’-এর নকশা

সোমবার, ১৬ আগস্ট ২০২১

তিরিশ হাজার মুক্তিযোদ্ধার জন্য বাড়ি তৈরি করে দিবে সরকার। তবে তাদের নিজস্ব জমি থাকতে হবে। এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে ‘অসচ্ছল’ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। এই বাড়ির নাম হবে ‘বীর নিবাস’।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে এই বাড়ি নির্মাণ শেষ করা হবে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে একটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রায় ৪ হাজার ১২২ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাদেশের উপজেলা ও মহানগর পর্যায়ে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাছাই করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যা হলেন- উপজেলা সমাজসেবা অফিস, প্রকৌশলী ও স্থানীয় দু’জন মুক্তিযোদ্ধা।

কোন নিচু বা ডোবা জমিতে অথবা কোন সদ্য ভরাটকৃত বা নদীর তীরে জেগে উঠা চরজমিতে বীর নিবাস নির্মাণ করা যাবে না বলে প্রকল্প পরিচালকের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া গৃহনির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার নিজ নামে ৪ শতক জমি থাকতে হবে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক এম ইদ্রিস সিদ্দিকী সংবাদকে বলেন, ‘প্রকল্পের স্বচ্ছতা আনার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপপ্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। গৃহ নির্মাণের জমি দাগ-খতিয়ান দেখে সরেজমিনে পরিদর্শন করে চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া আবেদন যাচাই-বাছাই অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ বরাদ্দ দেয়া হবে।’ বর্তমানে ৬৬ উপজেলায় ৭৯২টি গৃহ নির্মাণ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।

কেমন হবে বীর নিবাস

পাকা ১ তলা প্রতিটি বাড়ি হবে ৬৩৫ স্কয়ার ফিটের। এর মধ্যে ২টি প্রধান কক্ষ (বেড রুম), ১টি অতিথি কক্ষ (ড্রয়িং রুম), ১টি খাবার কক্ষ (ডাইনিং-রুম), ১টি রান্না ঘর ও ২টি বাথরুম থাকবে। প্রথম দফায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ১৪ হাজার পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সরকারের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ২ হাজার ৯৬১টি আবাসন নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। যার নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শেষ হয়েছে।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘সারাদেশের একটু অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এই ৩০ হাজার বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিবেদনের আলোকে এই বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে জমির দাগ-খতিয়ান দেখে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে এই বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

প্রথমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য ১৪ হাজার পাকা বাড়ি নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হয়েছে। অর্থাৎ বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেয়া হবে।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা অসচ্ছল তারাই এসব বাড়ি বরাদ্দ পাবেন। সারাদেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হবে। অসহায় এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতেই দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, এ আবাসন বরাদ্দের জন্য অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ-প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ও সন্তান আবেদন করতে পারবেন। বীরাঙ্গনাদের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরাসরি বরাদ্দ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই আবেদনটি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে সরাসরি তাদের বিপরীতে আবাসন বরাদ্দ দেবে। সুবিধাভোগীকে বরাদ্দপ্রাপ্ত বাড়িটি শুধু নিজের বাড়ি হিসেবে ব্যবহার করবেন মর্মে চুক্তিপর্বে অঙ্গীকার করতে হবে। এ বাড়িটি কোনভাবেই বিক্রি বা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। নির্মিত বাড়িটির মূল অবকাঠামোগত কোন পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করা যাবে না। বাড়িটি সংস্কার, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় বরাদ্দপ্রাপ্ত সুবিধাভোগী নিজ খরচে বহন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

back to top