টঙ্গীর আহসানউল্লা হাসপাতাল
টঙ্গীর আহসান উল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে মারধর ও টেনে হিচড়ে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) এ অভিযোগ করেছেন উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোজিনা আক্তার। এ সময় রোজিনা আক্তার ও তার দুই শিশু সন্তান কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার পশ্চিমবঙ্গা গ্রামের প্রয়াত আতাউর রহমানের মেয়ে রোজিনা আক্তার রুপা (৩০) এর সঙ্গে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার সৈয়দপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম রনি (৩৮) ২০১১ সালে বিয়ে হয়। কাবিন রেজিস্ট্রার না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে ২০১৯ সালে কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়। ইতোমধ্যে ওই গৃহবধূ দু-সন্তানের জন্ম দেয়।
স্বামী সন্তান নিয়ে ওই গৃহবধূ উত্তরার ১০নং সেক্টরস্থ ফুলবাড়িয়া সিরাজ মার্কেট এলাকার মন্টু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকা অবস্থায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী রেজাউল করিম রনি, শ্বশুর এবং শাশুড়ি মিলে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ইং রোজিনা আক্তার রুপাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে প্রায় এক মাসব্যাপী আহত ওই গৃহবধূকে কবিরাজি ওষুধ খাইয়ে ভালো করার নামে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে রোজিনা দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ৫ নভেম্বর টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই। গত ৩ দিন পূর্বে খাবার দেয়াকে কেন্দ্র করে রাতের ডিউটিকালে আউটসোসিং কর্মচারী রাকিব আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাকিব ও হাসপাতালের নার্স ও আউটসোর্সিং কর্মচারীরা তার সঙ্গে প্রতিদিন খারাপ আচরণ করেন। আমি বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে তাকে না পেয়ে অভিযোগটি জরুরী বিভাগের ডাক্তারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই অভিযোগের কপিটি ওয়ার্ড ইনচার্জ মহুয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগটি পেয়ে মহুয়াসহ তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা অভিযুক্ত রাকিবের কোন বিচার না করে ভুক্তভোগী রোজিনাকে মারধর ও টেনে হিচড়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার ব্যাপারে হাসপাতালের আর এম ও ডা. পারভেজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতাল থেকে রোজিনাকে বের করার খবরও তিনি জানেন না।
টঙ্গীর আহসানউল্লা হাসপাতাল
রোববার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১
টঙ্গীর আহসান উল্লা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে মারধর ও টেনে হিচড়ে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) এ অভিযোগ করেছেন উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোজিনা আক্তার। এ সময় রোজিনা আক্তার ও তার দুই শিশু সন্তান কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার পশ্চিমবঙ্গা গ্রামের প্রয়াত আতাউর রহমানের মেয়ে রোজিনা আক্তার রুপা (৩০) এর সঙ্গে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার সৈয়দপাড়া গ্রামের রেজাউল করিম রনি (৩৮) ২০১১ সালে বিয়ে হয়। কাবিন রেজিস্ট্রার না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে ২০১৯ সালে কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়। ইতোমধ্যে ওই গৃহবধূ দু-সন্তানের জন্ম দেয়।
স্বামী সন্তান নিয়ে ওই গৃহবধূ উত্তরার ১০নং সেক্টরস্থ ফুলবাড়িয়া সিরাজ মার্কেট এলাকার মন্টু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকা অবস্থায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী রেজাউল করিম রনি, শ্বশুর এবং শাশুড়ি মিলে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ইং রোজিনা আক্তার রুপাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে প্রায় এক মাসব্যাপী আহত ওই গৃহবধূকে কবিরাজি ওষুধ খাইয়ে ভালো করার নামে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে রোজিনা দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ৫ নভেম্বর টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হই। গত ৩ দিন পূর্বে খাবার দেয়াকে কেন্দ্র করে রাতের ডিউটিকালে আউটসোসিং কর্মচারী রাকিব আমাকে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রাকিব ও হাসপাতালের নার্স ও আউটসোর্সিং কর্মচারীরা তার সঙ্গে প্রতিদিন খারাপ আচরণ করেন। আমি বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে তাকে না পেয়ে অভিযোগটি জরুরী বিভাগের ডাক্তারের কাছে জমা দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই অভিযোগের কপিটি ওয়ার্ড ইনচার্জ মহুয়ার কাছে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগটি পেয়ে মহুয়াসহ তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা অভিযুক্ত রাকিবের কোন বিচার না করে ভুক্তভোগী রোজিনাকে মারধর ও টেনে হিচড়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনার ব্যাপারে হাসপাতালের আর এম ও ডা. পারভেজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমি পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাসপাতাল থেকে রোজিনাকে বের করার খবরও তিনি জানেন না।