বালিয়াকান্দি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ফসলের মাঠ তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার বালিয়াকান্দি, নারুয়া, ইসলামপুর, বহরপুর, নবাবপুর, জামালপুর ও জঙ্গল ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের পিয়াজ বীজ খেত, রসুন, হালি পিঁয়াজ ক্ষেত ও মাঠে থাকা কর্তনকৃত ধানের খেতে তলিয়ে গেছে। এ সকল ইউনিয়নের বিলের মধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষক আইয়ুব আলী, মনোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, মোশারফ হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পিয়াজ বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো কষ্টকর হবে।
বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আলমগীর বিশ্বাস বলেন, ৩ দিনের টানা বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চলগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পিঁয়াজ বীজতলা, রসুন ও মুরিকাটা পিঁয়াজের খেত তলিয়ে গেছে। কর্তনকৃত ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কৃষি দপ্তরকে আহ্বান জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার পর্যন্ত পিয়াজের বীজতলার ১৫% ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও মঙ্গলবার বৃষ্টি না থাকার কারণে ৭ থেকে ৮% ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মুরিকাটা ও অন্যান্য ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।
রাঙ্গাবালী
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে, ৪ দিনের বৃষ্টিতে দিশেহারা রাঙ্গাবালীর কৃষক। একদিকে পাকা আমন ধান, অন্যদিকে আগাম তরমুজ খেতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। কৃষক জানান, পাকাধান অর্ধেকের মতো কাটা হয়েছে, বাকি ধান খেতেই রয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি আটকে থাকায় শুয়ে পরা ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রোদ না ওঠা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা করতে পারছেন না কৃষক। তবে তাদের ফসল রক্ষা করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ওদিকে কাটা ধান যা কৃষকের খলায় উঠানো হয়েছে, বৃষ্টির পানিতে তাতেও গজ বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়েও উদ্বিগ্ন কৃষক। এছাড়াও দুর্ভোগে পড়েছে আগাম তরমুজ চাষিরা। বৃষ্টির পানি আটকে থাকায় গজানো চারা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে যে যার সাধ্যমতো তাদের ক্ষেত রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কেউ কেউ থালা বাটি দিয়ে সেচের কাজ চালাচ্ছেন, আবার কেউ ড্রেন কেটে পানি সরানোর ব্যবস্থা করছেন।
ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের তরমুজ চাষি বশির হাওলাদার, জহির হাওলাদার বড়বাইশদিয়ার আনিস দফাদারসহ অনেকে জানান, এভাবে আরও দু’একদিন বৃষ্টি হলে, আমন ধান কিছুটা রক্ষা করা গেলেও তরমুজ খেত রক্ষা করা যাবে না। তাতে কয়েক কোটি টাকার ফসল থেকে বঞ্চিত হবে তারা।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলায় প্রায় সারে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ও ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বেড়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে।
ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে ৩ দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে তবে রোববার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা তুলনামূলক ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর প্রভাবে জেলায় স্থানীয় জাতের ৩৬ হাজার ৪১৮ হেক্টর জমির পাকা ধান নিয়ে খেতে শুয়ে পড়েছে। জেলায় এ বছর ৪৮ হাজার হেক্টরে আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৮২ হেক্টরে আবাদ হওয়া উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ইতোমধ্যেই কর্তন করে কৃষকরা মাঠ থেকে ধান বাড়িতে তুলে নিতে পারলেও অবশিষ্ট মাটিতে হেলে পড়েছে। এই অকাল বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কোন ক্ষতি সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হলেও কৃষকেরা ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে ।
এই মৌসুমে রবি ফসলের আওতায় খেসারি ডাল, মুসুর ডাল, শীতকালিন শাক-সবজি আলু, মিষ্টি আলু, মরিচ, চীনা বাদাম ও গম চাষের জন্য কৃষকরা মাঠ প্রস্তুত করে বীজ ফেলেছে। জাওয়াদ এর প্রভাবে অনাকাক্সিক্ষত বৃষ্টিপাতে এ পর্যন্ত এই সকল ফসলের চাষ হওয়া ১২ হাজার ১৪৭ হেক্টরের আবাদের মধ্যে ৮ হাজার ৯৭ হেক্টরে আবাদ আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্ত এই ফসলের কতো ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা আবহওয়া ভলো হওয়ার পরেই নিরুপণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক।
কৃষিবিভাগ সূত্রে জনো গেছে, ঝালকাঠি জেলায় এই বৈরি আবহাওয়া চলমান রবি ফসলের আওতায় ৭১৭১ হেক্টর খেসারি ডাল আবাদের মধ্যে ৫৭৩৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরিষা ৩৯০ হেক্টর চাষের মধ্যে ১৯৫ হেক্টর, শীতকালীন সবজি ৩৮৫১ হেক্টরের মধ্যে ১৯২৫ হেক্টর, মুসুর ডাল ১৪৫ হেক্টরের মধ্যে ৭২ হেক্টর, আলু ৯৫ হেক্টরের মধ্যে ১৯ হেক্টর, মিষ্টি আলু ১৪৭ হেক্টরের মধ্যে ২৮ হেক্টর, মরিচ ৩০২ হেক্টরের মধ্যে ৯০ হেক্টর, চিনা বাদাম ১০ হেক্টরের মধ্যে ৫ হেক্টর ও গম ২৬ হেক্টরের মধ্যে ২৬ হেক্টরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বটিয়াঘাটা
ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে বটিয়াঘাটা উপজেলার উঠতি আমন ধানে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাতাসের কারণে পাকা ধান পড়ে যেয়ে এর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বটিয়াঘাটা উপজেলায় এ বছর ১৭ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়।
ইতোমধ্যে প্রায় ৪শ হেক্টর জমি আমান ধান কৃষক ঘরে তুলতে পেরেছে। বাকি ১৪ হাজার ৮০ হেক্টর জমির মধ্যে ৪ হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর জমির আমন ধান হেলে পড়েছে।
বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় হেলে পড়া আমন ধানগুলো পানির নিচে তলিয়ে আছে। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ’ ৩৮ হেক্টর জমির ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বটিয়াঘাটা উপজেলার কৃষি অফিসার মো. বরিউল ইসলাম। ১২শ’ ৭৬ মে.টন ধান লক্ষ্যমাত্রার কম হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
আবহাওয়া দু-একদিনের মধ্যে উন্নতি না হলে আরও অধিক পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে বলে কৃষকদের ধারণা।
মঙ্গলবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১
বালিয়াকান্দি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ফসলের মাঠ তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার বালিয়াকান্দি, নারুয়া, ইসলামপুর, বহরপুর, নবাবপুর, জামালপুর ও জঙ্গল ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের পিয়াজ বীজ খেত, রসুন, হালি পিঁয়াজ ক্ষেত ও মাঠে থাকা কর্তনকৃত ধানের খেতে তলিয়ে গেছে। এ সকল ইউনিয়নের বিলের মধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষক আইয়ুব আলী, মনোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন, মোশারফ হোসেন বলেন, টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে পিয়াজ বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হবে। এ ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো কষ্টকর হবে।
বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আলমগীর বিশ্বাস বলেন, ৩ দিনের টানা বৃষ্টির কারণে নিম্নাঞ্চলগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পিঁয়াজ বীজতলা, রসুন ও মুরিকাটা পিঁয়াজের খেত তলিয়ে গেছে। কর্তনকৃত ধানেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কৃষি দপ্তরকে আহ্বান জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, সোমবার পর্যন্ত পিয়াজের বীজতলার ১৫% ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও মঙ্গলবার বৃষ্টি না থাকার কারণে ৭ থেকে ৮% ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মুরিকাটা ও অন্যান্য ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।
রাঙ্গাবালী
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে, ৪ দিনের বৃষ্টিতে দিশেহারা রাঙ্গাবালীর কৃষক। একদিকে পাকা আমন ধান, অন্যদিকে আগাম তরমুজ খেতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। কৃষক জানান, পাকাধান অর্ধেকের মতো কাটা হয়েছে, বাকি ধান খেতেই রয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি আটকে থাকায় শুয়ে পরা ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রোদ না ওঠা পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা করতে পারছেন না কৃষক। তবে তাদের ফসল রক্ষা করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। ওদিকে কাটা ধান যা কৃষকের খলায় উঠানো হয়েছে, বৃষ্টির পানিতে তাতেও গজ বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়েও উদ্বিগ্ন কৃষক। এছাড়াও দুর্ভোগে পড়েছে আগাম তরমুজ চাষিরা। বৃষ্টির পানি আটকে থাকায় গজানো চারা পচে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে যে যার সাধ্যমতো তাদের ক্ষেত রক্ষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কেউ কেউ থালা বাটি দিয়ে সেচের কাজ চালাচ্ছেন, আবার কেউ ড্রেন কেটে পানি সরানোর ব্যবস্থা করছেন।
ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের তরমুজ চাষি বশির হাওলাদার, জহির হাওলাদার বড়বাইশদিয়ার আনিস দফাদারসহ অনেকে জানান, এভাবে আরও দু’একদিন বৃষ্টি হলে, আমন ধান কিছুটা রক্ষা করা গেলেও তরমুজ খেত রক্ষা করা যাবে না। তাতে কয়েক কোটি টাকার ফসল থেকে বঞ্চিত হবে তারা।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলায় প্রায় সারে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ও ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করা হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বেড়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে।
ঝালকাঠি
ঝালকাঠিতে ৩ দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে তবে রোববার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা তুলনামূলক ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর প্রভাবে জেলায় স্থানীয় জাতের ৩৬ হাজার ৪১৮ হেক্টর জমির পাকা ধান নিয়ে খেতে শুয়ে পড়েছে। জেলায় এ বছর ৪৮ হাজার হেক্টরে আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৮২ হেক্টরে আবাদ হওয়া উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ইতোমধ্যেই কর্তন করে কৃষকরা মাঠ থেকে ধান বাড়িতে তুলে নিতে পারলেও অবশিষ্ট মাটিতে হেলে পড়েছে। এই অকাল বৃষ্টিপাতের ফলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কোন ক্ষতি সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হলেও কৃষকেরা ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে ।
এই মৌসুমে রবি ফসলের আওতায় খেসারি ডাল, মুসুর ডাল, শীতকালিন শাক-সবজি আলু, মিষ্টি আলু, মরিচ, চীনা বাদাম ও গম চাষের জন্য কৃষকরা মাঠ প্রস্তুত করে বীজ ফেলেছে। জাওয়াদ এর প্রভাবে অনাকাক্সিক্ষত বৃষ্টিপাতে এ পর্যন্ত এই সকল ফসলের চাষ হওয়া ১২ হাজার ১৪৭ হেক্টরের আবাদের মধ্যে ৮ হাজার ৯৭ হেক্টরে আবাদ আক্রান্ত হয়েছে।
আক্রান্ত এই ফসলের কতো ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা আবহওয়া ভলো হওয়ার পরেই নিরুপণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক।
কৃষিবিভাগ সূত্রে জনো গেছে, ঝালকাঠি জেলায় এই বৈরি আবহাওয়া চলমান রবি ফসলের আওতায় ৭১৭১ হেক্টর খেসারি ডাল আবাদের মধ্যে ৫৭৩৬ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরিষা ৩৯০ হেক্টর চাষের মধ্যে ১৯৫ হেক্টর, শীতকালীন সবজি ৩৮৫১ হেক্টরের মধ্যে ১৯২৫ হেক্টর, মুসুর ডাল ১৪৫ হেক্টরের মধ্যে ৭২ হেক্টর, আলু ৯৫ হেক্টরের মধ্যে ১৯ হেক্টর, মিষ্টি আলু ১৪৭ হেক্টরের মধ্যে ২৮ হেক্টর, মরিচ ৩০২ হেক্টরের মধ্যে ৯০ হেক্টর, চিনা বাদাম ১০ হেক্টরের মধ্যে ৫ হেক্টর ও গম ২৬ হেক্টরের মধ্যে ২৬ হেক্টরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বটিয়াঘাটা
ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে বটিয়াঘাটা উপজেলার উঠতি আমন ধানে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাতাসের কারণে পাকা ধান পড়ে যেয়ে এর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বটিয়াঘাটা উপজেলায় এ বছর ১৭ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়।
ইতোমধ্যে প্রায় ৪শ হেক্টর জমি আমান ধান কৃষক ঘরে তুলতে পেরেছে। বাকি ১৪ হাজার ৮০ হেক্টর জমির মধ্যে ৪ হাজার ২শ’ ৫০ হেক্টর জমির আমন ধান হেলে পড়েছে।
বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় হেলে পড়া আমন ধানগুলো পানির নিচে তলিয়ে আছে। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ’ ৩৮ হেক্টর জমির ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বটিয়াঘাটা উপজেলার কৃষি অফিসার মো. বরিউল ইসলাম। ১২শ’ ৭৬ মে.টন ধান লক্ষ্যমাত্রার কম হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
আবহাওয়া দু-একদিনের মধ্যে উন্নতি না হলে আরও অধিক পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে বলে কৃষকদের ধারণা।