কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ও যাত্রাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী জটিলতার কারণে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির বরাদ্দকৃত ২ কোটি টাকা ফেরত যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ করতে না পারলে এই দুই ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার দিনমজুর বঞ্চিত হবে এ প্রণোদনা থেকে।
দুটি ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী আইনী লড়াই বিদ্যমান থাকায় নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ না করায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদ নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় শুধু সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে যাত্রাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও সদস্যপদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ভোট শেষে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা থাকায় ফলাফল স্থগিদ করা হয়। বাকি ৬টি ইউনিয়নে গেজেট প্রকাশ ও শপথ গ্রহণ শেষে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কাজে নেমে পরলেও এই দুই ইউনিয়নে ব্যত্যয় ঘটে। এরফলে কপাল পুরেছে অতিদরিদ্রদের।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫০০ উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এরমধ্যে কাঁঠালবাড়ীর ৪৫৬ জন ও যাত্রাপুরের ৬০০ উপকারভোগীবাদে অন্যরা কাজ করে দৈনিক ৪০০ টাকা হারে হাজিরা পাচ্ছেন। আইনী জটিলতায় কাজ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন এই দুটি ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার উপকারভোগী। শুধু তাই নয়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ করতে না পারলে তাদের নামে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ফেরত যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে শ্রমিকরা। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খন্দকার ফিজানুর রহমান জানান, মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচনী কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন করা যাচ্ছে না। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাওলাদার মো. কামরুল ইসলাম জানান, নির্বাচিত সদস্যদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ও যাত্রাপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী জটিলতার কারণে অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচির বরাদ্দকৃত ২ কোটি টাকা ফেরত যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ করতে না পারলে এই দুই ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার দিনমজুর বঞ্চিত হবে এ প্রণোদনা থেকে।
দুটি ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী আইনী লড়াই বিদ্যমান থাকায় নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ না করায় এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদ নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় শুধু সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে যাত্রাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও সদস্যপদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ভোট শেষে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা থাকায় ফলাফল স্থগিদ করা হয়। বাকি ৬টি ইউনিয়নে গেজেট প্রকাশ ও শপথ গ্রহণ শেষে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কাজে নেমে পরলেও এই দুই ইউনিয়নে ব্যত্যয় ঘটে। এরফলে কপাল পুরেছে অতিদরিদ্রদের।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫০০ উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এরমধ্যে কাঁঠালবাড়ীর ৪৫৬ জন ও যাত্রাপুরের ৬০০ উপকারভোগীবাদে অন্যরা কাজ করে দৈনিক ৪০০ টাকা হারে হাজিরা পাচ্ছেন। আইনী জটিলতায় কাজ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন এই দুটি ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার উপকারভোগী। শুধু তাই নয়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ করতে না পারলে তাদের নামে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ফেরত যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে শ্রমিকরা। সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা খন্দকার ফিজানুর রহমান জানান, মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী নির্বাচনী কার্যক্রম সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও অনুমোদন করা যাচ্ছে না। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাওলাদার মো. কামরুল ইসলাম জানান, নির্বাচিত সদস্যদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হাসান জানান, সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি লেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনার আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।