নিষ্কাশনের অভাবে বছরে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে পানিবন্দী থাকে বিল খুকশিয়ার পাড়ে অবস্থিত গৃধরনগর শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাঁশের তৈরি সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। বিদ্যালয়টির শ্রেণী কক্ষ সঙ্কটসহ পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা একে বারেই ভেঙ্গে পড়েছে।
জানা গেছে, ২০০০ সালে সুফলাকাটি ইউনিয়নের একেবারেই বিল খুকশিয়ার পাড়ে গৃধরনগর শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। এলাকার বর্ষার অতিরিক্ত পানি ডায়ের খাল দিয়ে শ্রী নদীতে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু শ্রী নদী পলীতে ভরাট হওয়ার পাশাপাশি ডায়ের খালও ভরাট হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এখনও বিল খুকশিয়ার আশপাশের গৃধরনগর, কালিচরণপুর, ময়নাপুর, সানতলাসহ ৭-৮ গ্রামের মানুষের বসতভিটায় পানি থৈ থৈ করছে। যে কারণে গৃধরনগর শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বছরে ১০ মাস পানিবন্দী থাকে। বাধ্য হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাঁশের তৈরি সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকা, বাঁশের সাকো ব্যবহার করতে হয়।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান জানায়, বিদ্যালয়ের চারপাশেসহ খেলার মাঠে কোমর পর্যন্ত পানি জমে থাকায় হাঁসের বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তারা খেলাধুলা করতে পারে না। বিদ্যালয়ের টয়লেট জলাবদ্ধ থাকায় তারা তা ব্যবহার করতে পারে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। নেই কোন ওয়াস রুম।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাজিরা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক থাকলেও একজন রয়েছেন প্রশিক্ষণে। ১২০ জন শিক্ষার্থীকে মাত্র ৩ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। অফিস রুমসহ ৭টি শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন থাকলেও ২০০৫ ও ২০১৩ সালে ৪ রুম বিশিষ্ট দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থীদের মেঝেতে বসিয়ে পাঠদান করাতে হয়। বিদ্যালয়ের মাঠে সবসময় কোমর পর্যন্ত পানি থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার সরদার বলেন, বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বরাদ্দ মিললে জলাবদ্ধতা রক্ষায় রিঙ বাধের ব্যবস্থা করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
নিষ্কাশনের অভাবে বছরে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে পানিবন্দী থাকে বিল খুকশিয়ার পাড়ে অবস্থিত গৃধরনগর শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে বাধ্য হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাঁশের তৈরি সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। বিদ্যালয়টির শ্রেণী কক্ষ সঙ্কটসহ পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা একে বারেই ভেঙ্গে পড়েছে।
জানা গেছে, ২০০০ সালে সুফলাকাটি ইউনিয়নের একেবারেই বিল খুকশিয়ার পাড়ে গৃধরনগর শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। এলাকার বর্ষার অতিরিক্ত পানি ডায়ের খাল দিয়ে শ্রী নদীতে নিষ্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু শ্রী নদী পলীতে ভরাট হওয়ার পাশাপাশি ডায়ের খালও ভরাট হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এখনও বিল খুকশিয়ার আশপাশের গৃধরনগর, কালিচরণপুর, ময়নাপুর, সানতলাসহ ৭-৮ গ্রামের মানুষের বসতভিটায় পানি থৈ থৈ করছে। যে কারণে গৃধরনগর শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বছরে ১০ মাস পানিবন্দী থাকে। বাধ্য হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাঁশের তৈরি সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডিঙি নৌকা, বাঁশের সাকো ব্যবহার করতে হয়।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান জানায়, বিদ্যালয়ের চারপাশেসহ খেলার মাঠে কোমর পর্যন্ত পানি জমে থাকায় হাঁসের বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তারা খেলাধুলা করতে পারে না। বিদ্যালয়ের টয়লেট জলাবদ্ধ থাকায় তারা তা ব্যবহার করতে পারে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের বিদ্যালয়ে আসতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। নেই কোন ওয়াস রুম।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাজিরা খাতুন বলেন, বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক থাকলেও একজন রয়েছেন প্রশিক্ষণে। ১২০ জন শিক্ষার্থীকে মাত্র ৩ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। অফিস রুমসহ ৭টি শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন থাকলেও ২০০৫ ও ২০১৩ সালে ৪ রুম বিশিষ্ট দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। মাঝেমধ্যে শিক্ষার্থীদের মেঝেতে বসিয়ে পাঠদান করাতে হয়। বিদ্যালয়ের মাঠে সবসময় কোমর পর্যন্ত পানি থাকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার সরদার বলেন, বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বরাদ্দ মিললে জলাবদ্ধতা রক্ষায় রিঙ বাধের ব্যবস্থা করা হবে।