ঝিনাইদহে নির্বাচন-পরবর্তী আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে আবারও প্রাণ গেল এক যুবকের। এ নিয়ে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নটিতে প্রাণহানি হলো ৫ জনের। নিহত যুবকের নাম মেহেদী হাসান স্বপন (২৫)। শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপু এবং নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মামুনের দ্বন্দ্বের জের ধরে গত শুক্রবার রাতে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের মা ইয়াসমিন, চাচাত বোন পপিসহ স্বজনদের অভিযোগ, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মামুনের নির্দেশে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত স্বপন সারুটিয়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের দবির উদ্দিন শেখের ছেলে। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের তালতলা ব্রিজ নামক স্থানে স্বপনকে উপুর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষ। গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর কর্মী-সমর্থকরা সহিংসতা আর হানাহানিতে লিপ্ত রয়েছে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ নিয়ে ইউনিয়নটিতে খুন হলেন ৫ জন। অসংখ্য বাড়িঘর ভাঙচুর, মামলা-পাল্টা মামলার ঘটনা ঘটেছে। বাড়িঘর ছেড়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। পুলিশের পাহারা বসানোর পরও বন্ধ হচ্ছে না সংঘাত। শাসক দল আওয়ামী লীগের শক্তিশালী দুইপক্ষ পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
সারুটিয়া ইউনিয়নের তালতলা ব্রিজ নামক স্থানে মামুন চেয়ারম্যানের সমর্থকরা স্বপনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার করে। নিহত স্বপন সারুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থক ছিলেন।
তবে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মামুন দাবি করেন, নিহত স্বপন গতকাল তার সামাজিক দলে যোগদান করে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে শোনা যাচ্ছে তারাও তার দল করে।
অন্যদিকে, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর দাবি, নিহত স্বপন তার সমর্থক। পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ স্বপনকে হত্যা করেছে। শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশের ধারণা।
রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
ঝিনাইদহে নির্বাচন-পরবর্তী আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে আবারও প্রাণ গেল এক যুবকের। এ নিয়ে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নটিতে প্রাণহানি হলো ৫ জনের। নিহত যুবকের নাম মেহেদী হাসান স্বপন (২৫)। শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপু এবং নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মামুনের দ্বন্দ্বের জের ধরে গত শুক্রবার রাতে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের মা ইয়াসমিন, চাচাত বোন পপিসহ স্বজনদের অভিযোগ, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মামুনের নির্দেশে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত স্বপন সারুটিয়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের দবির উদ্দিন শেখের ছেলে। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের তালতলা ব্রিজ নামক স্থানে স্বপনকে উপুর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রতিপক্ষ। গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর কর্মী-সমর্থকরা সহিংসতা আর হানাহানিতে লিপ্ত রয়েছে।
এলাকাবাসী আরও জানায়, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ নিয়ে ইউনিয়নটিতে খুন হলেন ৫ জন। অসংখ্য বাড়িঘর ভাঙচুর, মামলা-পাল্টা মামলার ঘটনা ঘটেছে। বাড়িঘর ছেড়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। পুলিশের পাহারা বসানোর পরও বন্ধ হচ্ছে না সংঘাত। শাসক দল আওয়ামী লীগের শক্তিশালী দুইপক্ষ পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
সারুটিয়া ইউনিয়নের তালতলা ব্রিজ নামক স্থানে মামুন চেয়ারম্যানের সমর্থকরা স্বপনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার করে। নিহত স্বপন সারুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থক ছিলেন।
তবে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মামুন দাবি করেন, নিহত স্বপন গতকাল তার সামাজিক দলে যোগদান করে। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে শোনা যাচ্ছে তারাও তার দল করে।
অন্যদিকে, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর দাবি, নিহত স্বপন তার সমর্থক। পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ স্বপনকে হত্যা করেছে। শৈলকুপা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশের ধারণা।