ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনায় মালিক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে দায়ী করেছে নাগরিক তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে ৪ জন সরকারি কর্মকর্তা, লঞ্চের ৪ জন মালিক ও লঞ্চ পরিচালনায় অংশ নেয়া আরও ৪ জনের সংশ্লিষ্টতা এবং দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার প্রমাণ পেয়েছে তারা।
গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আশীষ কুমার দে।
যাদের দায় পাওয়া গেছে তারা হলেনÑ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিট্রা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন ও পরিবহন পরিদর্শক দীনেশ দাস, ঢাকা নদী বন্দরের দায়িত্বরত নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান ও শিপ সার্ভেয়ার মো. মাহবুবুর রশীদ, ৪ জন মালিক হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহম্মেদ, রাসেল আহম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বী এবং প্রথম শ্রেণীর মাস্টার মো. রিয়াজ শিকদার, দ্বিতীয় শ্রেণীর মাস্টার মো. খলিলুর রহমান, প্রথম শ্রেণীর ড্রাইভার মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ড্রাইভার আবুল কালাম।
কমিটির আহ্বায়ক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ জড়িতদের চিহ্নিত করা নয়, বরং সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি যেন তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনে এবং এ ধরনের ঘটনায় লুপহোলসগুলো দেখিয়ে দেয়া, যেন সেগুলোর সমাধান করে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে কমিটি ২৫টি সুপারিশ করেছে। এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ ট্র্যাজেডির জন্য শুধু মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারের শাস্তি নয়, দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাবে এবং দুর্ঘটনাও কমবে না।
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণের আইন প্রণয়ন, টাকার পরিমাণ নির্ধারণ এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী (নৌযান মালিক/মাস্টার/ড্রাইভার/সরকারি কর্মকর্তা) ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীবাহী নৌযানে আনসার/নিরাপত্তারক্ষী থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাত্রীবাহী লঞ্চের ইঞ্জিনকক্ষ, প্রবেশপথ, মাস্টারব্রিজসহ স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্যামেরা স্থাপন। যেকোন নৌযানের নকশায় অগ্নি-নিরাপত্তার বিষয়টি যুক্ত, সে অনুযায়ী নকশা অনুমোদন এবং যথাযথভাবে নকশা অনুসরণ করে নৌযান নির্মাণ করতে হবে। নতুন নৌযানে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিক আছে কি-না তা নিশ্চিত হতে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের ছাড়পত্র গ্রহণ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক প্রতি ৩ মাস পরপর তা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
রোববার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ দুর্ঘটনায় মালিক ও সরকারি কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে দায়ী করেছে নাগরিক তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে ৪ জন সরকারি কর্মকর্তা, লঞ্চের ৪ জন মালিক ও লঞ্চ পরিচালনায় অংশ নেয়া আরও ৪ জনের সংশ্লিষ্টতা এবং দায়িত্ব-জ্ঞানহীনতার প্রমাণ পেয়েছে তারা।
গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আশীষ কুমার দে।
যাদের দায় পাওয়া গেছে তারা হলেনÑ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিট্রা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন ও পরিবহন পরিদর্শক দীনেশ দাস, ঢাকা নদী বন্দরের দায়িত্বরত নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান ও শিপ সার্ভেয়ার মো. মাহবুবুর রশীদ, ৪ জন মালিক হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহম্মেদ, রাসেল আহম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বী এবং প্রথম শ্রেণীর মাস্টার মো. রিয়াজ শিকদার, দ্বিতীয় শ্রেণীর মাস্টার মো. খলিলুর রহমান, প্রথম শ্রেণীর ড্রাইভার মো. মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ড্রাইভার আবুল কালাম।
কমিটির আহ্বায়ক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ জড়িতদের চিহ্নিত করা নয়, বরং সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি যেন তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনে এবং এ ধরনের ঘটনায় লুপহোলসগুলো দেখিয়ে দেয়া, যেন সেগুলোর সমাধান করে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে কমিটি ২৫টি সুপারিশ করেছে। এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ ট্র্যাজেডির জন্য শুধু মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারের শাস্তি নয়, দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাবে এবং দুর্ঘটনাও কমবে না।
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের ক্ষতিপূরণের আইন প্রণয়ন, টাকার পরিমাণ নির্ধারণ এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী (নৌযান মালিক/মাস্টার/ড্রাইভার/সরকারি কর্মকর্তা) ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক যাত্রীবাহী নৌযানে আনসার/নিরাপত্তারক্ষী থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। যাত্রীবাহী লঞ্চের ইঞ্জিনকক্ষ, প্রবেশপথ, মাস্টারব্রিজসহ স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্যামেরা স্থাপন। যেকোন নৌযানের নকশায় অগ্নি-নিরাপত্তার বিষয়টি যুক্ত, সে অনুযায়ী নকশা অনুমোদন এবং যথাযথভাবে নকশা অনুসরণ করে নৌযান নির্মাণ করতে হবে। নতুন নৌযানে অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা সঠিক আছে কি-না তা নিশ্চিত হতে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের ছাড়পত্র গ্রহণ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক প্রতি ৩ মাস পরপর তা পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।