মানিকগঞ্জের সিংগাইরে যত্রতত্র গড়ে উঠা ইটভাটার কারণে হুমকির মুখে এখন কৃষি জমি। এতে মহাবিপাকে পড়েছে কৃষকরা। তাদের কমে আসছে কৃষি জমি। যে কৃষিকে অবলম্বন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ আর সেই কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের জমি পরিণত হচ্ছে গর্তে, জলাশয়ে। আবার নির্বিঘ্নে ফসল ফলানোর সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না তারা। কারণ এসব ইটভাটার ধুঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, ফসলের ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপক। প্রতিবছরই চকের পর চক জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা কমে এসেছে। দিন যতই পার হচ্ছে কৃষককূল ততই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, ২১৭.৪ ব.কি. উপজেলায় মোট ৬০টি ইটভাটা বর্তমানে চালু আছে। কোন কোন সূত্রমতে এর সংখ্যা ছিল আরও বেশি। তবে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়া ও ইটভাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় কিছু ইটভাটা বন্ধ রয়েছে। ইটভাটা স্থাপনের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে ইটভাটার সংখ্যা ২৯টি। এ সংখ্যা আরো বেশি ছিল। কিছু ইটভাঁটি বন্ধ থাকায় এ সংখ্যা কমে এসেছে। এছাড়া চান্দহরে ১০টি, বায়রায় ৭টি, জামির্ত্তায় ৬টি, চারিগ্রামে ৩টি, ধল্লায় ২টি ও উপজেলার সদর ইউনিয়নে ৩টি ইটভাটা রয়েছে। ত্রিফসলি জমি ও নদীর তীরে গড়ে উঠা এসব ইটভাটাগুলো প্রায়ই অবৈধ। সম্পূর্ণ আইনকানুন মেনে কেউ ইটভাটার মালিক বনে যাননি। আবার অনেকে ইটভাটা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন। কোন কোন মালিক এক লাইসেন্সে একাধিক ইটভাটা চালাচ্ছে। এসব ইটভাটায় প্রতিদিন পুড়ছে সাড়ে ৪শ’ টন কয়লা। যা পরিবেশের ওপর মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ইটভাটার মাটি সরবরাহ করতে গিয়ে প্রতিবছর প্রায় ৪৫০ বিঘার মতো ত্রিফসলী জমি জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। জলিল কোম্পানির সফর ব্রিকস নিয়ে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ালেও তা আজ অবধি বন্ধ হয়নি। কুদ্দুস কোম্পানি ও হানিফ কোম্পানি এক লাইসেন্সে একাধিক ইটভাটা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করে ইটভাটা ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। তবে সে ইটভাটা বন্ধ রয়েছে। এসব অবৈধ ইটভাটার কারণে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ রানা(রাজস্ব) জানান, এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউএনও এবং এসিল্যান্ডকে নির্দেশ প্রদান করা হবে।
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে যত্রতত্র গড়ে উঠা ইটভাটার কারণে হুমকির মুখে এখন কৃষি জমি। এতে মহাবিপাকে পড়েছে কৃষকরা। তাদের কমে আসছে কৃষি জমি। যে কৃষিকে অবলম্বন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ আর সেই কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। তাদের জমি পরিণত হচ্ছে গর্তে, জলাশয়ে। আবার নির্বিঘ্নে ফসল ফলানোর সুযোগটুকুও পাচ্ছেন না তারা। কারণ এসব ইটভাটার ধুঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, ফসলের ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপক। প্রতিবছরই চকের পর চক জমির ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ক্ষমতা কমে এসেছে। দিন যতই পার হচ্ছে কৃষককূল ততই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে।
জানা গেছে, ২১৭.৪ ব.কি. উপজেলায় মোট ৬০টি ইটভাটা বর্তমানে চালু আছে। কোন কোন সূত্রমতে এর সংখ্যা ছিল আরও বেশি। তবে কয়লার দাম বেড়ে যাওয়া ও ইটভাটার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় কিছু ইটভাটা বন্ধ রয়েছে। ইটভাটা স্থাপনের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে ইটভাটার সংখ্যা ২৯টি। এ সংখ্যা আরো বেশি ছিল। কিছু ইটভাঁটি বন্ধ থাকায় এ সংখ্যা কমে এসেছে। এছাড়া চান্দহরে ১০টি, বায়রায় ৭টি, জামির্ত্তায় ৬টি, চারিগ্রামে ৩টি, ধল্লায় ২টি ও উপজেলার সদর ইউনিয়নে ৩টি ইটভাটা রয়েছে। ত্রিফসলি জমি ও নদীর তীরে গড়ে উঠা এসব ইটভাটাগুলো প্রায়ই অবৈধ। সম্পূর্ণ আইনকানুন মেনে কেউ ইটভাটার মালিক বনে যাননি। আবার অনেকে ইটভাটা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছেন। কোন কোন মালিক এক লাইসেন্সে একাধিক ইটভাটা চালাচ্ছে। এসব ইটভাটায় প্রতিদিন পুড়ছে সাড়ে ৪শ’ টন কয়লা। যা পরিবেশের ওপর মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। ইটভাটার মাটি সরবরাহ করতে গিয়ে প্রতিবছর প্রায় ৪৫০ বিঘার মতো ত্রিফসলী জমি জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। জলিল কোম্পানির সফর ব্রিকস নিয়ে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ালেও তা আজ অবধি বন্ধ হয়নি। কুদ্দুস কোম্পানি ও হানিফ কোম্পানি এক লাইসেন্সে একাধিক ইটভাটা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া করে ইটভাটা ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। তবে সে ইটভাটা বন্ধ রয়েছে। এসব অবৈধ ইটভাটার কারণে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুদ রানা(রাজস্ব) জানান, এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইউএনও এবং এসিল্যান্ডকে নির্দেশ প্রদান করা হবে।