শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। পুলিশ সদর দফতর এ বিষয়ে তদন্ত করছে। তদন্তে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার সত্যতা পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে চতুর্থ দিনের অধিবেশন সম্পর্কে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন্স মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং) মো. হায়দার আলী খান।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অর্থ দিয়ে সহায়তার অভিযোগে সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙিয়ে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমিও ১০ হাজার টাকা দিলাম, পারলে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করুক।’ এখন পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করবে কি না- জানতে চাইলে ডিআইজি হায়দার আলী খান বলেন, ‘এটি অবশ্যই তদন্তের বিষয়। তদন্তে যদি অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তাহলে কি শাবিপ্রবির পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সদর দফতর অবগত নয়? জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র কিছু নিয়ম-কানুন আছে। তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ রয়েছে। পুলিশ শুধু ল’ অ্যান্ড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখে। তাও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের আমন্ত্রণেই পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও হয়রানি করেছে। সেটি পুলিশ সদরদপ্তর তদন্ত করছে কি-না বা কারো দায় দেখছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পুলিশ সদরদপ্তর দেখছে, বিভাগীয় তদন্ত করছে। তদন্তসাপেক্ষে যদি কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। পরদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। ১৫ জানুয়ারি বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় শাবি কর্তৃপক্ষ।
তবে তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কিলোতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন শুরু করেন। প্রায় ২৮ জন শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দেন। বুধবার সকালে তাদের অনশন ভাঙান অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ। পুলিশ সদর দফতর এ বিষয়ে তদন্ত করছে। তদন্তে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার সত্যতা পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে চতুর্থ দিনের অধিবেশন সম্পর্কে মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (অপারেশন্স মিডিয়া অ্যান্ড প্লানিং) মো. হায়দার আলী খান।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামের মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অর্থ দিয়ে সহায়তার অভিযোগে সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ সেখানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙিয়ে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমিও ১০ হাজার টাকা দিলাম, পারলে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করুক।’ এখন পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করবে কি না- জানতে চাইলে ডিআইজি হায়দার আলী খান বলেন, ‘এটি অবশ্যই তদন্তের বিষয়। তদন্তে যদি অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তাহলে কি শাবিপ্রবির পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ সদর দফতর অবগত নয়? জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র কিছু নিয়ম-কানুন আছে। তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ রয়েছে। পুলিশ শুধু ল’ অ্যান্ড অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখে। তাও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের আমন্ত্রণেই পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের ওপর হামলা ও হয়রানি করেছে। সেটি পুলিশ সদরদপ্তর তদন্ত করছে কি-না বা কারো দায় দেখছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পুলিশ সদরদপ্তর দেখছে, বিভাগীয় তদন্ত করছে। তদন্তসাপেক্ষে যদি কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা। পরদিন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। ১৫ জানুয়ারি বিকালে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে, কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাসহ অন্তত অর্ধশত আহত হন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় শাবি কর্তৃপক্ষ।
তবে তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কিলোতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন শুরু করেন। প্রায় ২৮ জন শিক্ষার্থী অনশনে যোগ দেন। বুধবার সকালে তাদের অনশন ভাঙান অধ্যাপক জাফর ইকবাল।