আমার ছেলে হত্যার ৭ দিন হলেও উল্ল্যেখযোগ্য কেউ গ্রেফতার নেই। নেই মামলার কোন অগ্রগতি। সামান্য একটি ঘটনায় নির্মমভাবে হত্যার পরও কেন আসামীদের গ্রেফতার করছে না। সভ্য সমাজে কোন কারণ ছাড়াই একজন মানুষকে এভাবে মেরে ফেলতে পারে তা কোন ভাবেই বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও বিচার চাই। কান্না জড়িত কণ্ঠে নিহত আবু সুফিয়ানের মা আছিয়া বেগম একমাত্র নাতি সাজিদকে কোলে নিয়ে এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিস্থ নিহত আবু সুফিয়ানের বাসায় এ প্রতিনিধি গেলে এভাবেই ক্ষোভ জানালেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পুলিশ আসামীদের পক্ষে কাজ করছে। বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করে পুলিশে দিলেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও আমরা এজাহারে বাস নং- ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪৬৪৯ উল্লেখ করলেও পুলিশ এফআইআর এ বাস নং ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪৬৪৮ উল্লেখ করেছে। কেন পুলিশ এমনটি করেছে তা তিনি জানেন না।
গত ১৯ জানুয়ারী রাতে পারিবারিক কাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার পথে বনভোজনগামী বাসের চালক, হেলপার ও যাত্রীদের বেধরক মারপিটে নির্মমভাবে নিহত হন আবু সুফিয়ান। এঘটনায় নিহতের চাচা জজ মিয়া বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পরদিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এ মামলারও আর কোন অগ্রগতি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের মা, স্ত্রী ও স্বজনরা।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, নিহত আবু সুফিয়ান ছোট বেলায় বাবাকে হারান। এরপর সে মা, ভাই, স্ত্রী ও একমাত্র দেড় বছরের পুত্র সাজিদকে নিয়ে বসবাস করছিল।
উল্লেখ্য, ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান পারিবারিক কাজ শেষে ১৯ জানুয়ারী রাত ১০ টায় বাসায় ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় এলাকায় পৌছলে বনভোজনগামী সিডিএম ট্রাভেলস নামে বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৪৬৪৯) এর সাথে সাইড দেয়া নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাসের চালক, হেলপার ও যাত্রীরা আবু সুফিয়ানকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাতেই ট্রাফিক পুলিশ চালক ও হেলপারসহ বাস আটক করলেও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ চালক হেলপারকে ছেড়ে দিয়েছে বলে নিহতের পরিবার জানায়। ট্রাফিক পুলিশ সুত্রে জানা যায়. এ বাসটি সাইদ ও মাহফুজ নামে দুইজন বনভোজনের জন্য বাসটি ভাড়া করেছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শওকত জামিল জানান, এ পর্যন্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাসের নং ভুল হয়েছে কিনা তা দেখে বলতে হবে।
বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
আমার ছেলে হত্যার ৭ দিন হলেও উল্ল্যেখযোগ্য কেউ গ্রেফতার নেই। নেই মামলার কোন অগ্রগতি। সামান্য একটি ঘটনায় নির্মমভাবে হত্যার পরও কেন আসামীদের গ্রেফতার করছে না। সভ্য সমাজে কোন কারণ ছাড়াই একজন মানুষকে এভাবে মেরে ফেলতে পারে তা কোন ভাবেই বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও বিচার চাই। কান্না জড়িত কণ্ঠে নিহত আবু সুফিয়ানের মা আছিয়া বেগম একমাত্র নাতি সাজিদকে কোলে নিয়ে এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজিস্থ নিহত আবু সুফিয়ানের বাসায় এ প্রতিনিধি গেলে এভাবেই ক্ষোভ জানালেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পুলিশ আসামীদের পক্ষে কাজ করছে। বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করে পুলিশে দিলেও রহস্যজনক কারণে তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও আমরা এজাহারে বাস নং- ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪৬৪৯ উল্লেখ করলেও পুলিশ এফআইআর এ বাস নং ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৪৬৪৮ উল্লেখ করেছে। কেন পুলিশ এমনটি করেছে তা তিনি জানেন না।
গত ১৯ জানুয়ারী রাতে পারিবারিক কাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাসায় ফেরার পথে বনভোজনগামী বাসের চালক, হেলপার ও যাত্রীদের বেধরক মারপিটে নির্মমভাবে নিহত হন আবু সুফিয়ান। এঘটনায় নিহতের চাচা জজ মিয়া বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পরদিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। এ মামলারও আর কোন অগ্রগতি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের মা, স্ত্রী ও স্বজনরা।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, নিহত আবু সুফিয়ান ছোট বেলায় বাবাকে হারান। এরপর সে মা, ভাই, স্ত্রী ও একমাত্র দেড় বছরের পুত্র সাজিদকে নিয়ে বসবাস করছিল।
উল্লেখ্য, ডেকোরেটর ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান পারিবারিক কাজ শেষে ১৯ জানুয়ারী রাত ১০ টায় বাসায় ফেরার পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় এলাকায় পৌছলে বনভোজনগামী সিডিএম ট্রাভেলস নামে বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৪৬৪৯) এর সাথে সাইড দেয়া নিয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাসের চালক, হেলপার ও যাত্রীরা আবু সুফিয়ানকে বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাতেই ট্রাফিক পুলিশ চালক ও হেলপারসহ বাস আটক করলেও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ চালক হেলপারকে ছেড়ে দিয়েছে বলে নিহতের পরিবার জানায়। ট্রাফিক পুলিশ সুত্রে জানা যায়. এ বাসটি সাইদ ও মাহফুজ নামে দুইজন বনভোজনের জন্য বাসটি ভাড়া করেছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শওকত জামিল জানান, এ পর্যন্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাসের নং ভুল হয়েছে কিনা তা দেখে বলতে হবে।