মরদেহ নিতে হয় প্রাচীর টপকে
ভালুকা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ভান্ডাব সিলমাপাড়ার প্রায় অর্ধশত পরিবার রাস্তার অভাবে ৪০ বছর যাবত অবরুদ্ধ জীবন কাটাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীরের দুই দিকে মাটির সিড়ি তৈরি করে প্রাচীর টপকে এলাকার বাসিন্দা শিশু ও বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ দিন রাত আসা যাওয়া করে থাকে। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েকশত লোকের বসবাস। ২৬ জানুয়ারি বুধবার সিলমা পাড়ার সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন মারা যাওয়ায় বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাচীর টপকে জানা যার জন্য লাশ নেয়া হয়। মরহুমার ভাই আছমত আলী উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান রাস্তা না থাকায় তার বোনের লাশ আনতে হয়েছে প্রাচীরের ওপর দিয়ে। অথচ তাদের পরিবার হাসপাতালের জন্য দেঢ় একর জমি দিয়েছেন কিন্তু তারা চলাচলের জন্য কোন রাস্তা পাননি। ৪০ বছর যাবত তারা রাস্তার দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তার মা-বাবা ও চাচাদের লাশ এভাবেই প্রাচীর টপকে পার করেছেন। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চলাচলের জন্য একটু রাস্তা করে দেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। জানা যায় নামাজে উপস্থিত সাবেক মেম্বার এ কে এম আবুল হোসেন জানান সিলমা আবাসিক এলাকার প্রায় ৫০টির মতো পরিবারের কয়েকশত মানুষ রাস্তার অভাবে দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালের প্রাচীর টপকে অবর্ণনীয় কষ্ট করে আসা যাওয়া করছে। কিন্তু তারা বিভিন্নমহলে রাস্তার জন্য আবেদন করেও কোন প্রতীকার পাননি। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম জানান সিলমা পাড়ার কয়েকশত মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনে তাদের হাট বাজার, আসভাবপত্র, খাদ্য সামগ্রী সব কিছুই বহন করতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাচীর টপকে। স্থানীয় মহল্লার মসজিদের ইমাম শাহজাহান মিয়া জানান তিনি ২৬ বছর যাবৎ এখানে ইমামতি করছেন। এ মহল্লায় রাস্তা না থাকায় কয়েকশত মানুষের চলাচলের দুরাবস্থা দেখে তিনি খুবই মর্মাহত। মানুষ মারা গেলে প্রাচীর টপকিয়ে লাশ আনা নেওয়া করতে হয়। তার মতে মানুষের জীবনে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারেনা। তিনি অভিযোগ করে বলেন দীর্ঘ সময়ে স্থানীয়ভাবে কোন প্রতিকার পাননি তাই তারা সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।
মরদেহ নিতে হয় প্রাচীর টপকে
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
ভালুকা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ভান্ডাব সিলমাপাড়ার প্রায় অর্ধশত পরিবার রাস্তার অভাবে ৪০ বছর যাবত অবরুদ্ধ জীবন কাটাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীরের দুই দিকে মাটির সিড়ি তৈরি করে প্রাচীর টপকে এলাকার বাসিন্দা শিশু ও বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ দিন রাত আসা যাওয়া করে থাকে। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েকশত লোকের বসবাস। ২৬ জানুয়ারি বুধবার সিলমা পাড়ার সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন মারা যাওয়ায় বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাচীর টপকে জানা যার জন্য লাশ নেয়া হয়। মরহুমার ভাই আছমত আলী উপস্থিত মুসল্লিদের সামনে কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান রাস্তা না থাকায় তার বোনের লাশ আনতে হয়েছে প্রাচীরের ওপর দিয়ে। অথচ তাদের পরিবার হাসপাতালের জন্য দেঢ় একর জমি দিয়েছেন কিন্তু তারা চলাচলের জন্য কোন রাস্তা পাননি। ৪০ বছর যাবত তারা রাস্তার দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তার মা-বাবা ও চাচাদের লাশ এভাবেই প্রাচীর টপকে পার করেছেন। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চলাচলের জন্য একটু রাস্তা করে দেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। জানা যায় নামাজে উপস্থিত সাবেক মেম্বার এ কে এম আবুল হোসেন জানান সিলমা আবাসিক এলাকার প্রায় ৫০টির মতো পরিবারের কয়েকশত মানুষ রাস্তার অভাবে দীর্ঘদিন যাবত হাসপাতালের প্রাচীর টপকে অবর্ণনীয় কষ্ট করে আসা যাওয়া করছে। কিন্তু তারা বিভিন্নমহলে রাস্তার জন্য আবেদন করেও কোন প্রতীকার পাননি। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম জানান সিলমা পাড়ার কয়েকশত মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দৈনন্দিন জীবনে তাদের হাট বাজার, আসভাবপত্র, খাদ্য সামগ্রী সব কিছুই বহন করতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রাচীর টপকে। স্থানীয় মহল্লার মসজিদের ইমাম শাহজাহান মিয়া জানান তিনি ২৬ বছর যাবৎ এখানে ইমামতি করছেন। এ মহল্লায় রাস্তা না থাকায় কয়েকশত মানুষের চলাচলের দুরাবস্থা দেখে তিনি খুবই মর্মাহত। মানুষ মারা গেলে প্রাচীর টপকিয়ে লাশ আনা নেওয়া করতে হয়। তার মতে মানুষের জীবনে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারেনা। তিনি অভিযোগ করে বলেন দীর্ঘ সময়ে স্থানীয়ভাবে কোন প্রতিকার পাননি তাই তারা সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।