দুইপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি এলাকাবাসীর কোন উপকারেই আসছে না। জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার নলকা ইউপির এরান্দহ কারিগরপাড়ার পশ্চিমদিকে তিননান্দিনা যাওয়ার নতুন রাস্তায় এরান্দহ-বোয়ালিয়া বিলের মধ্যে মানুষের চলাচলের জন্য সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মিত ব্রিজের দু’পাশে এক সময়ে নামমাত্র মাটি থাকলেও বন্যার পানিতে তা সরে গেছে। এ কারণে সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল তো দূরের কথা জনসাধারণের ভোগান্তি আরো বেড়েছে । এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০-১১ বছর আগে উপজেলা পিআইও অফিসের উদ্যোগে এটি নির্মাণ হয়েছে। বিলের মধ্যে সেতু নির্মাণ করলেও যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই। নামমাত্র এ সেতুটি জনগণের কোন উপকারে আসছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বপাশে প্রায় ৬ ফুট উঁচু কিন্তু মাটি নেই। আর পশ্চিমপাশে ৩ ফুট উঁচু কিন্তু যাতায়াতের সুযোগ নেই। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। সেতুর পাশের খালের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা।
স্থানীয়রা জানান, সারাবছরই জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তিননান্দিনা গ্রামবাসী জানায়, আমাদের নলকা ইউনিয়নে কোন জরুরি কাজ থাকলে তা আমরা দ্রুত যেতে পারি না শুধু রাস্তার অভাবে। তিননান্দিনা বশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সরকার বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে ব্রিজ করলেও ব্রিজের দুপাশে মটিসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না। তবে এলাকাবাসীর যাতায়াতে ব্রিজ ও রাস্তা খুবই দরকার।
ব্রিজের পশ্চিম পাশের জমিদাতা এরান্দহ গ্রামের কোরপ আলীসহ অনেকেই জানান, এখানে কোন সরকারি সড়ক বা রাস্তা নাই । পায়ে হেটে জমির আইল দিয়ে জনগণ চলাচল করত । তিননান্দিনা খোলাপাড়া গ্রামের আয়নালহক, আব্দুস সালাম, শহীদ আলী জানান, তিননান্দিনা ও রামপুর গ্রামটি নদীবেষ্টিত। এই এলাকার জনগণের উৎপাদিত ফসল ভারি মালামাল হাট বাজারে নিতে নদী পারাপার হয়ে যেতে একদিকে সময় অপচয় অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। আমাদের যদি কোন জরুরী রোগী জেলা সদর ও ক্লিনিকে নিতে হয় তাহলে তিননান্দিনা গ্রামের নলছিয়ায় খেয়া নৌকার জন্য ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষা করতে হয়। এ বিষয়ে নলকা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ২০১১ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার জন্য। ব্রিজটি নির্মাণ হলেও কিছু জটিলতায় ব্রিজের দুপাশে রাস্তা করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি দূরীকরণে স্থানীয় সংসদ সদস্যেরও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আমার ইচ্ছা আছে সকলের সহযোগিতা নিয়ে ব্রিজের দুপাশে রাস্তা নির্মাণ করব।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) গোলাম রব্বানী জানান, এই ব্রিজটা দীর্ঘদিন হলে নির্মিত হলেও সংযোগ সড়কটি নির্মিত হয়নি। জনগণের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে দ্রুত রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে।
বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
দুইপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি এলাকাবাসীর কোন উপকারেই আসছে না। জানা যায়, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার নলকা ইউপির এরান্দহ কারিগরপাড়ার পশ্চিমদিকে তিননান্দিনা যাওয়ার নতুন রাস্তায় এরান্দহ-বোয়ালিয়া বিলের মধ্যে মানুষের চলাচলের জন্য সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মিত ব্রিজের দু’পাশে এক সময়ে নামমাত্র মাটি থাকলেও বন্যার পানিতে তা সরে গেছে। এ কারণে সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল তো দূরের কথা জনসাধারণের ভোগান্তি আরো বেড়েছে । এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০-১১ বছর আগে উপজেলা পিআইও অফিসের উদ্যোগে এটি নির্মাণ হয়েছে। বিলের মধ্যে সেতু নির্মাণ করলেও যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই। নামমাত্র এ সেতুটি জনগণের কোন উপকারে আসছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্বপাশে প্রায় ৬ ফুট উঁচু কিন্তু মাটি নেই। আর পশ্চিমপাশে ৩ ফুট উঁচু কিন্তু যাতায়াতের সুযোগ নেই। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না। সেতুর পাশের খালের মধ্যে দিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা।
স্থানীয়রা জানান, সারাবছরই জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তিননান্দিনা গ্রামবাসী জানায়, আমাদের নলকা ইউনিয়নে কোন জরুরি কাজ থাকলে তা আমরা দ্রুত যেতে পারি না শুধু রাস্তার অভাবে। তিননান্দিনা বশিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সরকার বলেন, লাখ লাখ টাকা খরচ করে ব্রিজ করলেও ব্রিজের দুপাশে মটিসহ সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে আসছে না। তবে এলাকাবাসীর যাতায়াতে ব্রিজ ও রাস্তা খুবই দরকার।
ব্রিজের পশ্চিম পাশের জমিদাতা এরান্দহ গ্রামের কোরপ আলীসহ অনেকেই জানান, এখানে কোন সরকারি সড়ক বা রাস্তা নাই । পায়ে হেটে জমির আইল দিয়ে জনগণ চলাচল করত । তিননান্দিনা খোলাপাড়া গ্রামের আয়নালহক, আব্দুস সালাম, শহীদ আলী জানান, তিননান্দিনা ও রামপুর গ্রামটি নদীবেষ্টিত। এই এলাকার জনগণের উৎপাদিত ফসল ভারি মালামাল হাট বাজারে নিতে নদী পারাপার হয়ে যেতে একদিকে সময় অপচয় অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। আমাদের যদি কোন জরুরী রোগী জেলা সদর ও ক্লিনিকে নিতে হয় তাহলে তিননান্দিনা গ্রামের নলছিয়ায় খেয়া নৌকার জন্য ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষা করতে হয়। এ বিষয়ে নলকা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ২০১১ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে যাতায়াতের সুবিধার জন্য। ব্রিজটি নির্মাণ হলেও কিছু জটিলতায় ব্রিজের দুপাশে রাস্তা করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি দূরীকরণে স্থানীয় সংসদ সদস্যেরও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আমার ইচ্ছা আছে সকলের সহযোগিতা নিয়ে ব্রিজের দুপাশে রাস্তা নির্মাণ করব।
এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) গোলাম রব্বানী জানান, এই ব্রিজটা দীর্ঘদিন হলে নির্মিত হলেও সংযোগ সড়কটি নির্মিত হয়নি। জনগণের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে দ্রুত রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে।