মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ৫ টনের বেইলি সেতুতে পারাপার হচ্ছে ৪০ টনের ট্রাক। এর ফলে অনেক জায়গায় সেতু ভেঙ্গে পড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুক্তারপুর সেতু থেকে নেমে এ ধরণের ট্রাক যাতে জেলার কোথাও না যেতে পারে সেই জন্য মুন্সীগঞ্জের সওজ বিভাগ দশকানি এলাকায় বেলি সেতুর উপরের অংশে বড় ধরণের লোহার রড় দিয়ে আটকিয়ে দেন। কিন্তু রাতের আঁধারে কে বা কাহারা সেটি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। দশকানির এ বেলি সেতুটির ট্রাকের ধারণক্ষমতা লেখা রয়েছে ৫ টন। কিন্তু ঐ ঘটনার পর থেকে এখান দিয়ে পার হচ্ছে ৪০ টনের ট্রাক। তাতে মাঝেমধ্যে বেলি সেতু ভেঙ্গে ট্রাক খালে পরে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যাদের কারণে সেতু ভেঙ্গে যাচ্ছে তারা কিন্তু সেতু মেরামতে এগিয়ে আসছে না। বরং সরকারকে সেতু মেরামতের টাকা ভর্তুকি দিয়ে সেতু মেরামত করতে হচ্ছে।
মুক্তারপুর থেকে পশ্চিমে যাওয়ার জন্য জেলার আরো ৪টি উপজেলা রয়েছে। এছাড়া এ পথ দিয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া যাওয়া যায়। এখানকার অনেক পথেই এখন বেলি সেতু রয়েছে। সেখানে সওজ বিভাগের সেতুর ধারণ ক্ষমতা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ট্রাকচালকরা সেই বিষয়টি উপেক্ষা করে সেই সেতু ট্রাক পারাপার করছে। প্রতিদিনই এখানে এ ঘটনা ঘটছে। এখানকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এটিনা দেখার ভানকরে চলছে।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকায় গাছ কাটার বিভিন্ন স’মিল গড়ে উঠেছে। সেখানে ৪০টনের ট্রাকটি গাছের গুড়িনি য়েযাতায়াত করে থাকে। এ পথে দু’বছর আগে পুরাবাজার এলাকায় এ ধরণের একটি ট্রাক সেতু ভেঙ্গে খালে পরে যায়। সেই সেতু এখনো মেরামত হয়নি। বরং এর চেয়ে আরো নড়বড়ে বিকল্প বেলি সেতু সেখানে করা হয়েছে। সেই সেতু দিয়ে এখন এ ৪০টনের ট্রাক চলাচল করছে। তাতে আবারো খবর আসবে সেই সেতুটিও ভেঙ্গে গেছে। এখানকার কাঠ ব্যবসায়ীদের কারণে সাধারণ মানুষ নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ইতোমধ্যে এখানকার এ সেতুর কারণে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ সেতু দিয়ে সেখানকার সবচেয়ে বড়কাঠ ব্যবসায়ি মজিবর টিম্বারের মালামাল নেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তার মালামাল নিতে গিয়েই সেই সেতুটি ভেঙ্গে যায়।
এদিকে মুক্তারপুর সেতুর টোলপ্লাজা দিয়ে (চট্ট-মেট্রো ১২-০৬৬৫) দুপুর ১২টা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের এপারে আসে। ১২ চাকার এ ট্রাকটির ওজন ৩৯ টন ১১৫ কেজি। তার কাছ থেকে টোল আদায় করা হয় ১০০০ টাকা। এটি দীঘির পারের মজিবর টিম্বারে যাবে। এ ট্রাকের চালক দাউদ বলেন, আমি এ গাছের গুড়ি গুলিনিয়ে দীঘির পার যাচ্ছি।
মুন্সীগঞ্জ সওজ বিভাগের সহকারী উপ প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, এ ধরণের ট্রাক যাতে শহরে যেতে না পারে তার জন্যে দশকানিতে বেলি সেতুতে ব্যারিক্যাড দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটিকারা যেন সরিয়ে ফেলেছে। এরপর থেকে অবাধে এ পথে এ ধরণের যানবাহন চলাচল করছে। আমরা কিছুই করতে পারছিনা। এ পথে ইতোমধ্যে মজিবর টিম্বারের একাধিক ট্রাক আটক করা হয়েছিল।
শনিবার, ২১ মে ২০২২
মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ৫ টনের বেইলি সেতুতে পারাপার হচ্ছে ৪০ টনের ট্রাক। এর ফলে অনেক জায়গায় সেতু ভেঙ্গে পড়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুক্তারপুর সেতু থেকে নেমে এ ধরণের ট্রাক যাতে জেলার কোথাও না যেতে পারে সেই জন্য মুন্সীগঞ্জের সওজ বিভাগ দশকানি এলাকায় বেলি সেতুর উপরের অংশে বড় ধরণের লোহার রড় দিয়ে আটকিয়ে দেন। কিন্তু রাতের আঁধারে কে বা কাহারা সেটি সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। দশকানির এ বেলি সেতুটির ট্রাকের ধারণক্ষমতা লেখা রয়েছে ৫ টন। কিন্তু ঐ ঘটনার পর থেকে এখান দিয়ে পার হচ্ছে ৪০ টনের ট্রাক। তাতে মাঝেমধ্যে বেলি সেতু ভেঙ্গে ট্রাক খালে পরে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যাদের কারণে সেতু ভেঙ্গে যাচ্ছে তারা কিন্তু সেতু মেরামতে এগিয়ে আসছে না। বরং সরকারকে সেতু মেরামতের টাকা ভর্তুকি দিয়ে সেতু মেরামত করতে হচ্ছে।
মুক্তারপুর থেকে পশ্চিমে যাওয়ার জন্য জেলার আরো ৪টি উপজেলা রয়েছে। এছাড়া এ পথ দিয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া যাওয়া যায়। এখানকার অনেক পথেই এখন বেলি সেতু রয়েছে। সেখানে সওজ বিভাগের সেতুর ধারণ ক্ষমতা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ট্রাকচালকরা সেই বিষয়টি উপেক্ষা করে সেই সেতু ট্রাক পারাপার করছে। প্রতিদিনই এখানে এ ঘটনা ঘটছে। এখানকার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এটিনা দেখার ভানকরে চলছে।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকায় গাছ কাটার বিভিন্ন স’মিল গড়ে উঠেছে। সেখানে ৪০টনের ট্রাকটি গাছের গুড়িনি য়েযাতায়াত করে থাকে। এ পথে দু’বছর আগে পুরাবাজার এলাকায় এ ধরণের একটি ট্রাক সেতু ভেঙ্গে খালে পরে যায়। সেই সেতু এখনো মেরামত হয়নি। বরং এর চেয়ে আরো নড়বড়ে বিকল্প বেলি সেতু সেখানে করা হয়েছে। সেই সেতু দিয়ে এখন এ ৪০টনের ট্রাক চলাচল করছে। তাতে আবারো খবর আসবে সেই সেতুটিও ভেঙ্গে গেছে। এখানকার কাঠ ব্যবসায়ীদের কারণে সাধারণ মানুষ নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। ইতোমধ্যে এখানকার এ সেতুর কারণে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ সেতু দিয়ে সেখানকার সবচেয়ে বড়কাঠ ব্যবসায়ি মজিবর টিম্বারের মালামাল নেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তার মালামাল নিতে গিয়েই সেই সেতুটি ভেঙ্গে যায়।
এদিকে মুক্তারপুর সেতুর টোলপ্লাজা দিয়ে (চট্ট-মেট্রো ১২-০৬৬৫) দুপুর ১২টা ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের এপারে আসে। ১২ চাকার এ ট্রাকটির ওজন ৩৯ টন ১১৫ কেজি। তার কাছ থেকে টোল আদায় করা হয় ১০০০ টাকা। এটি দীঘির পারের মজিবর টিম্বারে যাবে। এ ট্রাকের চালক দাউদ বলেন, আমি এ গাছের গুড়ি গুলিনিয়ে দীঘির পার যাচ্ছি।
মুন্সীগঞ্জ সওজ বিভাগের সহকারী উপ প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, এ ধরণের ট্রাক যাতে শহরে যেতে না পারে তার জন্যে দশকানিতে বেলি সেতুতে ব্যারিক্যাড দিয়েছিলাম। কিন্তু সেটিকারা যেন সরিয়ে ফেলেছে। এরপর থেকে অবাধে এ পথে এ ধরণের যানবাহন চলাচল করছে। আমরা কিছুই করতে পারছিনা। এ পথে ইতোমধ্যে মজিবর টিম্বারের একাধিক ট্রাক আটক করা হয়েছিল।