বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ন্যাসভ্যাক ওষুধের নতুন করে ক্লিনিকেল ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে। শনিবার (২১ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন।
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রথম ওষুধ ন্যাসভ্যাক যা দেশে উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। শীঘ্রই দেশের হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের আক্রান্ত রোগীরা ন্যাসভ্যাক ব্যবহার করে সুফল পাবেন। এরই মধ্যে কিউবাসহ বিশ্বের একাধিক দেশে ন্যাসভাক ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাপানের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানী হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত রোগীদের উপর ন্যাসভ্যাকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এরইমধ্যে এর সুফল পাওয়া যেতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীলের) নেতৃত্বে ন্যাসভ্যাকের ফেইজ-১,২ এবং ৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল গুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভার সিরোসিস প্রতিরোধে ন্যাসভ্যাক অন্যতম কার্যকর ওষুধ। তা ছাড়াও এটি একটি ইমিউন থেরাপি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ও লিভার রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ন্যাসভ্যাকই পৃথিবীর প্রথম ইমিউন থেরাপি যা হেপাটাইটিন বি তথা যে কোন ক্রনিক ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কার্যকর ও নিরাপদ হিসেবে প্রথমবারের মত একটি ফেইজ-৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তাই না নেসভ্যাকই ক্রনিক ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কার্যকর।
ন্যাষভ্যাক ভারত ও চীনের মত দেশকে ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে প্রথম দেশ হিসেবে নিজ দেশের নিজস্ব উদ্ভাবিত ওষুধ অনুমোদনের অন্যান্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগে ন্যাসভ্যাকের যে নতুন ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে, তাতে প্রধান গবেষক হিসেবে থাকছেন অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) আর ট্রায়ালটির এডভাইজার হিসেবে সংযুক্ত থাকবে ডাঃ শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর।
আগে যে সমস্ত রোগী হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের এণ্টিভাইরাল ওষুধ গ্রহণ করেছেন তাদের উপর ন্যাসভ্যাকের কার্যকারিতা যাচাই করার পাশাপাশি তাদের আরও কার্যকর চিকিৎসার আওতায় আনার জন্য এ ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালটির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ন্যাসভ্যাক নিয়ে গবেষনার জন্য ডাঃ শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর ও অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) ২০১৯ সালে যৌখ ভাবে কিউবান একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক দেশটির সর্বোচ্চ বৈজ্ঞানিক সম্মাননা প্রিমিও ন্যাশনাল পদক অর্জন করেন। আর ২০২১ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স অধ্যাপক স্বপ্নীলকে গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড দেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ বিশেষজ্ঞরা জানান, ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে এই ওষুধের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই ওষুধটি নাকের মধ্যে স্পে করতে হবে। তবে এখনো মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু
শনিবার, ২১ মে ২০২২
হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য ন্যাসভ্যাক ওষুধের নতুন করে ক্লিনিকেল ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে। শনিবার (২১ মে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন।
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা জানান, বাংলাদেশে উদ্ভাবিত প্রথম ওষুধ ন্যাসভ্যাক যা দেশে উৎপাদনের জন্য ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে। শীঘ্রই দেশের হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের আক্রান্ত রোগীরা ন্যাসভ্যাক ব্যবহার করে সুফল পাবেন। এরই মধ্যে কিউবাসহ বিশ্বের একাধিক দেশে ন্যাসভাক ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাপানের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানী হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত রোগীদের উপর ন্যাসভ্যাকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এরইমধ্যে এর সুফল পাওয়া যেতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীলের) নেতৃত্বে ন্যাসভ্যাকের ফেইজ-১,২ এবং ৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল গুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভার সিরোসিস প্রতিরোধে ন্যাসভ্যাক অন্যতম কার্যকর ওষুধ। তা ছাড়াও এটি একটি ইমিউন থেরাপি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ও লিভার রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ন্যাসভ্যাকই পৃথিবীর প্রথম ইমিউন থেরাপি যা হেপাটাইটিন বি তথা যে কোন ক্রনিক ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কার্যকর ও নিরাপদ হিসেবে প্রথমবারের মত একটি ফেইজ-৩ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে। শুধু তাই না নেসভ্যাকই ক্রনিক ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কার্যকর।
ন্যাষভ্যাক ভারত ও চীনের মত দেশকে ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশ এই অঞ্চলে প্রথম দেশ হিসেবে নিজ দেশের নিজস্ব উদ্ভাবিত ওষুধ অনুমোদনের অন্যান্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগে ন্যাসভ্যাকের যে নতুন ট্রায়াল শুরু হতে যাচ্ছে, তাতে প্রধান গবেষক হিসেবে থাকছেন অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) আর ট্রায়ালটির এডভাইজার হিসেবে সংযুক্ত থাকবে ডাঃ শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর।
আগে যে সমস্ত রোগী হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের এণ্টিভাইরাল ওষুধ গ্রহণ করেছেন তাদের উপর ন্যাসভ্যাকের কার্যকারিতা যাচাই করার পাশাপাশি তাদের আরও কার্যকর চিকিৎসার আওতায় আনার জন্য এ ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালটির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ন্যাসভ্যাক নিয়ে গবেষনার জন্য ডাঃ শেখ মোহাম্মদ ফজলে আকবর ও অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) ২০১৯ সালে যৌখ ভাবে কিউবান একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক দেশটির সর্বোচ্চ বৈজ্ঞানিক সম্মাননা প্রিমিও ন্যাশনাল পদক অর্জন করেন। আর ২০২১ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স অধ্যাপক স্বপ্নীলকে গোল্ড মেডেল এওয়ার্ড দেন।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ বিশেষজ্ঞরা জানান, ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে এই ওষুধের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই ওষুধটি নাকের মধ্যে স্পে করতে হবে। তবে এখনো মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানা গেছে।