সিলেটের বিয়ানীবাজারে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি। এতে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ। এখানকার প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ১৪ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার প্রায় অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার মহাসড়কের ১৮টি অংশ ডুবে যাওয়ায় এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় গো খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় গবাদি পশু নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া শেওলা সাব স্টেশনে পানি ঢুকে পড়া তিনটি সরবরাহ ফিডারের একটি অচল হয়ে পড়েছে। যার ফলে শেওলা ও দুবাগ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কবলিত এলাকায় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ও হতাহত এড়াতে রাতের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান দায়িত্বশীলরা।
বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম ভজন কুমার বর্মন বলেন, শেওলা সাব স্ট্রেশনের তিনটি ফিডারের দুইটি অচল রয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া বন্যা কবলিত কিছু এলাকায় রাতের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
উপজেলা বন্যা পর্যবেক্ষণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ ইউনিয়নের ৮৪ গ্রাম বন্যায় কবলিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ এরই মধ্যে ৬ মেট্রিকটন ত্রাণ সহায়তা এবং কবলিত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব ও ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন দুর্গত এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তিনি আলীনগর, চারখাই ও দুবাগ ইউনিয়নে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সহযোগিতায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর বলেন, কবিলত গ্রাম এবং আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব এলাকায় ত্রাণ সহায়তা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। দুর্গত গ্রামের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকার ২৪টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ১৩টিতে ৮৮ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।
রোববার, ২২ মে ২০২২
সিলেটের বিয়ানীবাজারে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বাড়ছে কুশিয়ারা নদীর পানি। এতে উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুর্গত এলাকার মানুষ। এখানকার প্রায় ১ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ১৪ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত।
কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার প্রায় অর্ধশত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার মহাসড়কের ১৮টি অংশ ডুবে যাওয়ায় এ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় গো খাদ্য সংকট দেখা দেয়ায় গবাদি পশু নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া শেওলা সাব স্টেশনে পানি ঢুকে পড়া তিনটি সরবরাহ ফিডারের একটি অচল হয়ে পড়েছে। যার ফলে শেওলা ও দুবাগ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কবলিত এলাকায় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ও হতাহত এড়াতে রাতের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান দায়িত্বশীলরা।
বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম ভজন কুমার বর্মন বলেন, শেওলা সাব স্ট্রেশনের তিনটি ফিডারের দুইটি অচল রয়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া বন্যা কবলিত কিছু এলাকায় রাতের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
উপজেলা বন্যা পর্যবেক্ষণ কক্ষ সূত্রে জানা যায়, পাঁচ ইউনিয়নের ৮৪ গ্রাম বন্যায় কবলিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ এরই মধ্যে ৬ মেট্রিকটন ত্রাণ সহায়তা এবং কবলিত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্রে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব ও ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন দুর্গত এলাকায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেছেন। তিনি আলীনগর, চারখাই ও দুবাগ ইউনিয়নে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সহযোগিতায় সরকারি ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর বলেন, কবিলত গ্রাম এবং আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব এলাকায় ত্রাণ সহায়তা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। দুর্গত গ্রামের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকার ২৪টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে ১৩টিতে ৮৮ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।