রংপুরের তারাগঞ্জ ঘনিরামপুর ঝাকুয়াপাড়া গ্রামে ১০ বছরের শিশুকে আরবি পড়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে ডেকে এনে ধর্ষণ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামি স্থানীয় মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক হুজুরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক এম আলী আহাম্মেদ এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে ঘনিরামপুর ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের মোক্তারুল ইসলামের ১০ বছর বয়সী শিশু বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঝাকুয়াপাড়া নতুন মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলামের কাছে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মসজিদে আরবি পড়তে যায়। সকাল ৮টার দিকে আতিক হুজুর অন্যান্য ছেলেমেয়েদের ছুটি দিয়ে তার ১০ বছরের শিশু কন্যাকে পরে যেতে বলেন।
এরপর শিশুটিকে মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলাম মসজিদ সংলগ্ন তার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। পরে বাসায় যাওয়ার পর শিশুটির প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিষয়টি জানাজানির পর এলাকাবাসী ধর্ষক মসজিদের ইমাম আতিকুলকে আটক করে। পরে গুরুতর অবস্থায় ধর্ষিত শিশুটিকে প্রথমে তারাগঞ্জ হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা শিশুটির বাবা মোক্তারুল ইসলাম বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে। সাক্ষীদের জেরা ও শুনানি শেষে বিচারক আসামি আতিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। পরে তাকে পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি তায়েজুর রহমান লাইজু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের কোন আইনজীবী রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত না থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
রংপুরের তারাগঞ্জ ঘনিরামপুর ঝাকুয়াপাড়া গ্রামে ১০ বছরের শিশুকে আরবি পড়ানোর কথা বলে নিজের ঘরে ডেকে এনে ধর্ষণ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামি স্থানীয় মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলাম ওরফে আতিক হুজুরকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক এম আলী আহাম্মেদ এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর সকাল ৭টার দিকে ঘনিরামপুর ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের মোক্তারুল ইসলামের ১০ বছর বয়সী শিশু বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঝাকুয়াপাড়া নতুন মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলামের কাছে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মসজিদে আরবি পড়তে যায়। সকাল ৮টার দিকে আতিক হুজুর অন্যান্য ছেলেমেয়েদের ছুটি দিয়ে তার ১০ বছরের শিশু কন্যাকে পরে যেতে বলেন।
এরপর শিশুটিকে মসজিদের ইমাম আতিকুল ইসলাম মসজিদ সংলগ্ন তার ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। পরে বাসায় যাওয়ার পর শিশুটির প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে বিষয়টি জানাজানির পর এলাকাবাসী ধর্ষক মসজিদের ইমাম আতিকুলকে আটক করে। পরে গুরুতর অবস্থায় ধর্ষিত শিশুটিকে প্রথমে তারাগঞ্জ হাসপাতালে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা শিশুটির বাবা মোক্তারুল ইসলাম বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে। সাক্ষীদের জেরা ও শুনানি শেষে বিচারক আসামি আতিকুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিল। পরে তাকে পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি তায়েজুর রহমান লাইজু রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের কোন আইনজীবী রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত না থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।