‘দেশের প্রত্যেকের দায়িত্ব শিশুদের জন্য চিন্তা করে কিছু করা। শিশুদের ব্যপাওে আরো সংবেনশীল হতে হবে। শুধু তাই নয় জাতীয়ভাবে এমন উদ্যেগ নিতে হবে যেন আমাদের সন্তানেরা থাকে নিরাপদে’ বলে মন্তব্য করেছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।

গত বুধবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আঁকরাম খাঁ হলে চিলড্রেন এ্যফেয়ার্স জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক (সিএজেএন) ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ উদ্দ্যোগে আয়োজিত ‘শিশুদের জন্য নিরাপদ নগরী’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।

সংসদ সদস্য আরমা দত্ত দেশের সকল টিভি চ্যানেলে আধাঘন্টার শ্লট রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, এই আধাঘন্টাতেই সরকার যেন আরো বেশী করে ওয়াকেবহাল করা হয় আজকের শিশুদের কিসে সুবিধা কিসে অসুবিধা। এতে করে প্রত্যন্ত গ্রামের যে শিশুটি সমস্যায় আছে সে তার কথা বলতে পারবে। আমরা অনায়াসে তার কাছে পৌঁছাতে পারবো। এজন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালো বাসতেন। তিনি যে রূপরেখা করে গেছেন তা বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনার মাধ্যমে কি কি করা যায়, কিভাবে করা যায় এবং সকল নাগরিক যেন মনিটরিং করতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখলেই আমাদের শিশুদের জন্য নিরাপদ নগরী গড়া সম্ভব।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র সিনিয়র ডিরেক্টর অপারেশনস এন্ড প্রোগ্রাম কোয়ালিটি চন্দন জেড গোমেজ লিখিত মূল প্রবন্ধে সকল শিশুর জন্য চাই খেলার মাঠ ও বিনোদন পার্ক; আর নয় শিশুশ্রম, ও পথ শিশু; ফিরে যাই স্কুলে, শিশুদের জন্য চাই ধুষণমুক্ত সবুজ নগরী; কিশোর কিশোরীদের জন্য গুনগত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরা ইত্যাদি বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

সিএজেএন এর সভাপতি মাহফুজা জেসমিন অভিভাবকদেও উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘শিশুদের জন্য কিছু করার অর্থ আমাদের আগামী সুস্থ সুন্দর হওয়া। শিশুদের পাশে না শিশুদের সাথে থাকুন, দেখবেন আমাদেও শিশুরা কেউ বিপথে যাবে না।’

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ’র ডেপুটি ডিরেক্টর ফিল্ড প্রোগ্রাম অপারেশন মঞ্জু মারিয়া পালমা, টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার যোয়ান্না ডি রোজারিও সিএজেএন এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন শিশু ফোরামের সদস্যরা স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরে।