মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা। গলায় ঝোলানো ‘আমাদের টাকায় আমাদের সেতু, পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার’ লেখাসংবলিত ব্যানার। লম্বা একটি রঙিন বাঁশি বাজিয়ে নাচতে নাচতে পুরো শহর ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক তরুণ। মাঝেমধ্যে কাঁধে ঝোলানো হ্যান্ডমাইকে বলছেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে নানান আনন্দের কথা। পকেট থেকে সাধারণ মানুষকে বের করে দিচ্ছেন চকলেট। পথে চলতে থাকা লোকজন থেমে থেমে তাঁর এসব কথা শুনছেন। কেউ আবার ছবি তুলে চলে যাচ্ছেন।
এভাবেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে পঞ্চগড় জেলা শহরে একক আনন্দ শোভাযাত্রা চালিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র। সাইফুল দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমলাহার এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে।
এর আগে ২০১৯ সালে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রকাশ্যে বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা, পদ্মা সেতু বিষয়ে নানা গুজবের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত হেঁটে ৩১ দিনের একক পদযাত্রা করেছিলেন সাইফুল ইসলাম।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে শুনে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার, পদ্মা সেতু আমাদের অনুপ্রেরণা, পদ্মা সেতু আমাদের সামনের চলার শক্তি। পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটি মহল বাংলাদেশে গুজব ছড়িয়েছিল। তারা বলেছিল পদ্মা সেতুতে নাকি মানুষের মাথা লাগে, রক্ত লাগে। পদ্মা সেতু তৈরি করতে মানুষের মাথা–রক্ত কিছুই লাগেনি। সেতু তৈরি করতে লেগেছে রড, সিমেন্ট, বালু, পাথর, আধুনিক প্রযুক্তি আর দক্ষ লোকবল।
সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন বলে মনে করেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, ঠিক সেভাবে শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। একজন শেখ হাসিনা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তিন বছর আগে পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যে গুজব ছড়ানো হয়েছিল, আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পদযাত্রা করেছি। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, এই গুজবকারীরা আমাকে জীবননাশের হুমকি দিয়েছিল। আমার ওপর হামলাও করেছিল। তবে তাতেও আমার কোনো দুঃখ নেই। কারণ, আজ ১৮ কোটি মানুষ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। আজ বাংলার মানুষ পদ্মা সেতুকে নিয়ে আনন্দের সাগরে ভাসছে।’
সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে থাকেন। এর আগে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য ঢাকায় একাই মানববন্ধন করেছিলেন এই তরুণ।
শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২
মাথায় জাতীয় পতাকা বাঁধা। গলায় ঝোলানো ‘আমাদের টাকায় আমাদের সেতু, পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার’ লেখাসংবলিত ব্যানার। লম্বা একটি রঙিন বাঁশি বাজিয়ে নাচতে নাচতে পুরো শহর ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক তরুণ। মাঝেমধ্যে কাঁধে ঝোলানো হ্যান্ডমাইকে বলছেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে নানান আনন্দের কথা। পকেট থেকে সাধারণ মানুষকে বের করে দিচ্ছেন চকলেট। পথে চলতে থাকা লোকজন থেমে থেমে তাঁর এসব কথা শুনছেন। কেউ আবার ছবি তুলে চলে যাচ্ছেন।
এভাবেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে সামনে রেখে শুক্রবার (২৪ জুন) সকালে পঞ্চগড় জেলা শহরে একক আনন্দ শোভাযাত্রা চালিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র। সাইফুল দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমলাহার এলাকার আবদুল মজিদের ছেলে।
এর আগে ২০১৯ সালে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রকাশ্যে বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা, পদ্মা সেতু বিষয়ে নানা গুজবের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত হেঁটে ৩১ দিনের একক পদযাত্রা করেছিলেন সাইফুল ইসলাম।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে শুনে ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার, পদ্মা সেতু আমাদের অনুপ্রেরণা, পদ্মা সেতু আমাদের সামনের চলার শক্তি। পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে একটি মহল বাংলাদেশে গুজব ছড়িয়েছিল। তারা বলেছিল পদ্মা সেতুতে নাকি মানুষের মাথা লাগে, রক্ত লাগে। পদ্মা সেতু তৈরি করতে মানুষের মাথা–রক্ত কিছুই লাগেনি। সেতু তৈরি করতে লেগেছে রড, সিমেন্ট, বালু, পাথর, আধুনিক প্রযুক্তি আর দক্ষ লোকবল।
সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন বলে মনে করেন সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, ঠিক সেভাবে শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। একজন শেখ হাসিনা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘তিন বছর আগে পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে যে গুজব ছড়ানো হয়েছিল, আমি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পদযাত্রা করেছি। সবচেয়ে দুঃখের বিষয়, এই গুজবকারীরা আমাকে জীবননাশের হুমকি দিয়েছিল। আমার ওপর হামলাও করেছিল। তবে তাতেও আমার কোনো দুঃখ নেই। কারণ, আজ ১৮ কোটি মানুষ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। আজ বাংলার মানুষ পদ্মা সেতুকে নিয়ে আনন্দের সাগরে ভাসছে।’
সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে সমাজের নানা অসংগতি নিয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে থাকেন। এর আগে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরসনের জন্য ঢাকায় একাই মানববন্ধন করেছিলেন এই তরুণ।