নেত্রকোনার পূর্বধলায় নগদের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ কেনার টাকা উত্তোলনে ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন অভিভাবকেরা। এক সপ্তাহ আগে নগদ এ্যাকাউন্টে টাকা এলেও অনেকে তা উত্তোলন করতে পারেননি। নগদ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে উত্তোলন করতে গেলে অধিকাংশ অভিভাবকের অ্যাকাউন্টের পূর্বের পিন নম্বর মিলছে না।

শিক্ষক ও অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর গত সপ্তাহ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপকরণ কেনার জন্য ১ হাজার টাকা নগদের মাধ্যমে বিতরণ করে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী প্রাথমিকের উপবৃত্তি পেয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে তাদের অভিভাবকের মোবাইলে নগদ অ্যাকাউন্টে টাকাও জমা হয়েছে। কিন্তু নগদ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে উত্তোলন করতে গেলে অধিকাংশ অভিভাবকের এ্যাকাউন্টের পূর্বের পিন নম্বর মিলছে না। এ বিষয়ে সাহায্যের জন্য নগদের ১৬১৬৭ হেল্প নম্বরে ফোন দিয়েও নম্বরটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ‘নেটওয়ার্ক বিজি’ বা ‘নম্বর বিজি’ পাচ্ছেন। কখনো কখনো কল রিসিভ হলেও কল সেন্টার থেকে বলা হচ্ছে ‘আমাদের সকল কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধি এই মুহূর্তে ব্যস্ত আছেন। আপনার কলটি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই একজন কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধি আপনার কলটি রিসিভ করবেন। এভাবে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও সার্ভিস প্রতিনিধির নাগাল না পেয়েই কল কেটে যাচ্ছে।যদিও পাওয়া যায় জানাতে হয় সর্বশেষ কতটাকা উত্তোলন করেছেন এখন কত আছে সব মিললে পিন নম্বর রিসেট করা যায়।এতে প্রায় ১ শত টাকা খরছ আবার এজেন্ট নেয় ১শ টাকা।কোনো অভিবাবক সকালে আসলে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেও টাকা উঠাতে পারছে না। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদেও নেত্রকোনা এলাকার ম্যানেজার মো: রফিকুল ইসলাম বলেম,আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা এজেন্ট সমস্যা হলে সমাধান করি উবৃত্তির বিষয়টি হেল্প লাইনে যোগাযোগ করতে হবে।

শিক্ষার্থী অভিভাবক অনেকে বলেন, তারা তিন দিন ধরে দফায় দফায় চেষ্টা করেও কাস্টমার সার্ভিস থেকে পিন পুনরুদ্ধার করতে পারছেন না। বন্যার এই দুঃসময়ে টাকা উত্তোলন করতে পারলে তাদের খুব উপকার হতো। উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েক জন প্রধান শিক্ষক বলেন, পিন জটিলতার কারণে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে অভিভাবকেরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

পূর্বধলা বাজারের নগদের এজেন্ট ও সাব কাস্টমার সমর চন্দ্র সরকার বলেন, পিন জটিলতার কারণে অনেকের টাকাই দেওয়া যাচ্ছে না। আবার দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও পিন রিসেট করা যাচ্ছে না।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার অঞ্জুমান আরা বেগম উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে অভিভাবকদের হয়রানির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘নগদ থেকেই অভিভাবকদের মোবাইল অ্যাকাউন্টের পিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পিন রিসেট করতে অভিভাবকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে ধীরে ধীরে তা সহজ হচ্ছে। দ্রুতই সবাই টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।