রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি চালিয়ে যান। তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য দেবব্রত অধিকারী দেবুসহ এলাকার বিশিষ্টজনরা।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেলে রংপুর রিপোর্টার ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগে করা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি ও স্থানীয় এমপির নাম ব্যবহার করার কারণে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তার বিপক্ষে কোন ব্যবস্থা নেবার ক্ষমতা রাখে না।
এছাড়া হতদরিদ্র কর্মসংস্থানে ইজিপিপি প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড দেবার কথা বলে ইউপি সদস্যদের বাদ দিয়ে নিজের লোকদের দিয়ে তালিকা তৈরি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান কর্মসৃজন প্রকল্পে জনপ্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে গ্রহণ করে হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে অবস্থা সম্পন্ন মটর সাইকেলে চলাফেলা করে ১৫/২০ বিঘা জমির মালিক এমন ব্যক্তির নাম দিয়ে তালিকা তৈরি, সচ্ছল ও অবস্থা সম্পন্ন একই পরিবারের দুই ভাইয়ের নাম দিয়ে তালিকা করা, একই ব্যক্তির নাম দুই জায়গায় টাকার বিনিময়ে কার্ড করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয় চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে জেলা প্রশাসক রংপুর স্মারক নম্বর ১৫৮ অনুযায়ী ইউনিয়ন সচিব রেবেকা সুলতানাকে বদলির আদেশ দিয়ে তার স্থলে উজ্জল কুমার অধিকারীকে যোগদানের নির্দেশ দিলেও ইউপি চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসকের আদেশকে গোপন রাখেন। এদিকে সচিবকে অফিসের চাবি ও দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে পূর্বের সচিবের স্বাক্ষর জাল করে চলতি বছরের ১৪ ও ১৫ মার্চ তারিখে অনেক জন্ম নিবন্ধন প্রদান করেছেন।
এ ঘটনায় পীরগঞ্জ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে যার নম্বর সিআর ১৫৭/২০২২ ইং। সচিব উজ্জল কুমার অধিকারীকে দীর্ঘদিন দায়িত্ব না দেয়ায় ইউনিয়নের অনেক শিশু জন্ম নিবন্ধন না পাবার কারণে স্কুলে ভর্তি, উপবৃত্তির টাকা ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অন্যদিকে টিসিবির আওতায় পণ্য বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী করোনাকালীন সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান আড়াই হাজার টাকা করে যারা পেয়েছেন তাদের বাধ্যতামুলক অন্তÍর্ভুক্ত করার নির্দেশনা থাকলেও চেয়ারম্যান তাদের বাদ দিয়ে সচ্ছল ব্যক্তিদের নামে তালিকা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন তার ওয়ার্ডে ঈদ উপলক্ষ্যে ভিজিএফ চালের ১২০ জনের তালিকা দেবার পরেও তাদের নাম বাদ দিয়ে দেন।
মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কুমেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি চালিয়ে যান। তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য দেবব্রত অধিকারী দেবুসহ এলাকার বিশিষ্টজনরা।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেলে রংপুর রিপোর্টার ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগে করা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি ও স্থানীয় এমপির নাম ব্যবহার করার কারণে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তার বিপক্ষে কোন ব্যবস্থা নেবার ক্ষমতা রাখে না।
এছাড়া হতদরিদ্র কর্মসংস্থানে ইজিপিপি প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগে অনিয়ম, বয়স্ক ভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড দেবার কথা বলে ইউপি সদস্যদের বাদ দিয়ে নিজের লোকদের দিয়ে তালিকা তৈরি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান কর্মসৃজন প্রকল্পে জনপ্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে গ্রহণ করে হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে অবস্থা সম্পন্ন মটর সাইকেলে চলাফেলা করে ১৫/২০ বিঘা জমির মালিক এমন ব্যক্তির নাম দিয়ে তালিকা তৈরি, সচ্ছল ও অবস্থা সম্পন্ন একই পরিবারের দুই ভাইয়ের নাম দিয়ে তালিকা করা, একই ব্যক্তির নাম দুই জায়গায় টাকার বিনিময়ে কার্ড করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয় চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে জেলা প্রশাসক রংপুর স্মারক নম্বর ১৫৮ অনুযায়ী ইউনিয়ন সচিব রেবেকা সুলতানাকে বদলির আদেশ দিয়ে তার স্থলে উজ্জল কুমার অধিকারীকে যোগদানের নির্দেশ দিলেও ইউপি চেয়ারম্যান জেলা প্রশাসকের আদেশকে গোপন রাখেন। এদিকে সচিবকে অফিসের চাবি ও দাপ্তরিক কার্যক্রম থেকে বিরত রেখে পূর্বের সচিবের স্বাক্ষর জাল করে চলতি বছরের ১৪ ও ১৫ মার্চ তারিখে অনেক জন্ম নিবন্ধন প্রদান করেছেন।
এ ঘটনায় পীরগঞ্জ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে যার নম্বর সিআর ১৫৭/২০২২ ইং। সচিব উজ্জল কুমার অধিকারীকে দীর্ঘদিন দায়িত্ব না দেয়ায় ইউনিয়নের অনেক শিশু জন্ম নিবন্ধন না পাবার কারণে স্কুলে ভর্তি, উপবৃত্তির টাকা ও নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অন্যদিকে টিসিবির আওতায় পণ্য বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী করোনাকালীন সময় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান আড়াই হাজার টাকা করে যারা পেয়েছেন তাদের বাধ্যতামুলক অন্তÍর্ভুক্ত করার নির্দেশনা থাকলেও চেয়ারম্যান তাদের বাদ দিয়ে সচ্ছল ব্যক্তিদের নামে তালিকা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন তার ওয়ার্ডে ঈদ উপলক্ষ্যে ভিজিএফ চালের ১২০ জনের তালিকা দেবার পরেও তাদের নাম বাদ দিয়ে দেন।