মন্ত্রীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া হতো। এসব ছবিতে লাইক কমেন্ট ও শেয়ারও ছিল। একাধিক মন্ত্রীর নামে ফেক আইডি খুলে এসব ছবি দেয়া হয়েছে। ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে টার্গেট করে বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিয়ে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নেয়া হতো বিপুল পরিমাণ টাকা। আর পুরো কাজটি একাই সামাল দিতেন আলমগীর নামের এক প্রতারক। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির নামে ফেক আইডি খুলে প্রতারনার অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে আলমগীর নামের ঐ ব্যক্তির খোঁজ পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। পরে বেরিয়ে আসে নানা অপরাধের তথ্য।
সিআইডি বলছে, বানিজ্যমন্ত্রীই নয় আরও একাধিক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছবি ও নাম ব্যবহার করে প্রতারণা হচ্ছিল। মন্ত্রীর আইডি ভেবে যারা ম্যাসেঞ্জারে হাই দিতো এমন ব্যক্তিদের নানা সমস্যার সমাধান করে দেয়ার কথা বলে রীতিমতো টাকাও হাতিয়ে নেয়া হতো। পুরো প্রতারণা একজনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। টিপু মুন্সির নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগে মো. আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইউনিট এমন তথ্য পেয়েছে। তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত চারটি মোবাইল সেট এবং নয়টি সিমকার্ড পাওয়া গেছে।
সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) রেজাউল মাসুদ বলেন, প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার পুলিশের বিশেষ এক টিম অনুসন্ধানে নামে। তদন্ত এবং বিশ্লেষণের এক পর্যায়ে ঘটনার পুরোপুরি সত্যতা পায় সাইবার টিম। দ্রুত অভিযুক্তের পরিচয় এবং অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর রোববার (২৬ জুন) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন সফিপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে সিআইডি।
এসপি মাসুদ জানান, আলমগীর বাণিজ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে মন্ত্রীর ছবি ও বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি ওই অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করতো। এর ফলে ওই আইডিতে প্রচারিত মন্ত্রীর গণসংযোগমূলক কর্মকান্ড সংক্রান্ত্র পোস্টে প্রচুর লাইক কমেন্ট ও শেয়ার হতো। এতে ভুক্তভোগীরা এই আইডিকে অরিজিনাল আইডি হিসেবে বিশ্বাস করতেন।
মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
মন্ত্রীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া হতো। এসব ছবিতে লাইক কমেন্ট ও শেয়ারও ছিল। একাধিক মন্ত্রীর নামে ফেক আইডি খুলে এসব ছবি দেয়া হয়েছে। ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ খুলে টার্গেট করে বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিয়ে তা ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নেয়া হতো বিপুল পরিমাণ টাকা। আর পুরো কাজটি একাই সামাল দিতেন আলমগীর নামের এক প্রতারক। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সির নামে ফেক আইডি খুলে প্রতারনার অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে আলমগীর নামের ঐ ব্যক্তির খোঁজ পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। পরে বেরিয়ে আসে নানা অপরাধের তথ্য।
সিআইডি বলছে, বানিজ্যমন্ত্রীই নয় আরও একাধিক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছবি ও নাম ব্যবহার করে প্রতারণা হচ্ছিল। মন্ত্রীর আইডি ভেবে যারা ম্যাসেঞ্জারে হাই দিতো এমন ব্যক্তিদের নানা সমস্যার সমাধান করে দেয়ার কথা বলে রীতিমতো টাকাও হাতিয়ে নেয়া হতো। পুরো প্রতারণা একজনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। টিপু মুন্সির নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণার অভিযোগে মো. আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইউনিট এমন তথ্য পেয়েছে। তার কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত চারটি মোবাইল সেট এবং নয়টি সিমকার্ড পাওয়া গেছে।
সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) রেজাউল মাসুদ বলেন, প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার পুলিশের বিশেষ এক টিম অনুসন্ধানে নামে। তদন্ত এবং বিশ্লেষণের এক পর্যায়ে ঘটনার পুরোপুরি সত্যতা পায় সাইবার টিম। দ্রুত অভিযুক্তের পরিচয় এবং অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর রোববার (২৬ জুন) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন সফিপুরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছে সিআইডি।
এসপি মাসুদ জানান, আলমগীর বাণিজ্যমন্ত্রীর নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে মন্ত্রীর ছবি ও বিভিন্ন কর্মসূচির ছবি ওই অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করতো। এর ফলে ওই আইডিতে প্রচারিত মন্ত্রীর গণসংযোগমূলক কর্মকান্ড সংক্রান্ত্র পোস্টে প্রচুর লাইক কমেন্ট ও শেয়ার হতো। এতে ভুক্তভোগীরা এই আইডিকে অরিজিনাল আইডি হিসেবে বিশ্বাস করতেন।