ফেরির যন্ত্রনা না থাকায় বরিশালে নতুন নতুন বিলাস বহুল বাস আসা শুরু করেছে। এসব বাসগুলো যাত্রী নিয়ে বরিশাল আাসছে আবার কিছুক্ষণ পর যাত্রী নিয়ে ফেরত যাচ্ছে। নতুন যেসব কোম্পানির বাস এসেছে তারমধ্যে রয়েছে ইলিশ, প্রচেষ্টা, এনা, সুপার সনি, গ্রিন সেন্ট মার্টিন, ইউনিক, গ্রিনলাইনসহ অন্যান্য কোম্পানির বাস। সবগুলো বাসই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। একাধিক বাসের কাউন্টার ব্যবস্থাপক জানান, প্রতিটি পরিবহনই দিনে ১২ থেকে ২০টি ট্রিপ দিচ্ছে। বরিশাল-মাদারিপুর-ফরিদপুর মালিক সমিতির বিএমএফ পরিবহন বাস লঞ্চের ডেকের ভাড়ার থেকেও কম ভাড়ায় এখন প্রতিদিন ২০টির মত গাড়ি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা-বরিশাল রুটে আপ-ডাউন করছে। হানিফ পরিবহনের বাস এখন লোকাল বাসের ন্যায় প্রতি আধা ঘণ্টা অন্তর বরিশাল টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে। প্রচেষ্টা পরিবহনের বরিশালস্থ কাউন্টার ম্যানেজার মনির হোসেন জানান, বরিশাল-ঢাকা রুটে আগে তাদের কোন বাস ছিলনা। যাত্রীর সংখ্যাও অনেক ভালো। তবে যাত্রী সংখ্যা এরকম থাকলে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে। তবে তার দাবি এখন যে হারে যাত্রী যাচ্ছেন তার একটি অংশ পদ্মা সেতু দেখতে যাচ্ছেন।
ভবিষ্যতে পরিবহনের সংখ্যা বেশি বেড়ে গেলে বাসের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হতে পারে। আবার বর্তমান চাপ থাকলে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। ঈগল পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সোহেল জানান, তাদের ৪০ আসনের প্রতিটি এসি-নন এসি বাস পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। বরিশাল-ঢাকা রুটের নতুন পরিবহন সংস্থার বরিশাল কাউন্টার ম্যানেজার জানান, তাদের নন এসি গাড়ি প্রতি ৫০ মিনিট পরপর ছেড়ে যাচ্ছে আর দেড় ঘণ্টা পরপর এসি (ইকোনমি ও বিজনেস) বাস ছেড়ে যাচ্ছে। এখন ১২টি গাড়ি সার্ভিস দিলেও যাত্রী চাপের ওপর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
বিআরটিএর বরিশাল ডিপো ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তাদের ১৪টি এসি বাস গুলিস্তান পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে। কোন নন এসি বাস নেই। প্রতিটি সিটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০শত টাকা। তাদের সব বাসই পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানিয়েছেন সকল বেসরকারি বাস কোম্পানির মালিকদেরকে আগেই জানানো হয়েছে এই রুটে লাইসেন্সধারি দক্ষ বাস চালক দিয়ে বাস চালাতে। আসন্ন ঈদের সময় বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে।
লঞ্চভাড়াও কমানো হবে
এদিকে লঞ্চ মালিকেরা বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকার জন্য তাদের মনোপলি ব্যবসা ধরে রাখা যাবেনা বুঝতে পেরে এখন যাত্রী ভাড়ার হারও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লঞ্চ মালিকেরা ডেকের ভাড়া সরকার নির্ধারিত ৩৫৪ টাকার পরিবর্তে ২০০শত টাকা, সিঙ্গেল এসি কেবিন পূর্বের ১,৪০০ শত টাকার পরিবর্তে ১,২০০ হাজার টাকা, নন এসি সিঙ্গেল কেবিন ১,২০০ হাজার পরিবর্তে ১,০০০ শত টাকা, এসি ডবল কেবিন ২,৪০০ টাকার পরিবর্তে ২,০০০ টাকা, নন এসি ডবল কেবিন ২,০০০ টাকার পরিবর্তে ১,৫০০ টাকা, ফ্যামিলি কেবিন ২,৫০০ টাকার পরিবর্তে ২,২০০ টাকা, সোফা ৭০০শত টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা, এমনকি যদি এরপরেও যাত্রী না পাওয়া যায় তাহলে কেবিন ও সোফার ভাড়া আরও কমাবার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনও সব লঞ্চ এই হার কার্যকর করেনি। এমনকি লঞ্চগুলোকে ঢাকা বা বরিশাল থেকে আরও দেরিতে ছেড়ে লঞ্চের গতি বাড়িয়ে বর্তমানে যেসময়ে অন্য প্রান্তে যাচ্ছে তার থেকে কম সময়ে যাত্রী পরিবহন করা যায় কিনা তাও ভাবছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে।
বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
ফেরির যন্ত্রনা না থাকায় বরিশালে নতুন নতুন বিলাস বহুল বাস আসা শুরু করেছে। এসব বাসগুলো যাত্রী নিয়ে বরিশাল আাসছে আবার কিছুক্ষণ পর যাত্রী নিয়ে ফেরত যাচ্ছে। নতুন যেসব কোম্পানির বাস এসেছে তারমধ্যে রয়েছে ইলিশ, প্রচেষ্টা, এনা, সুপার সনি, গ্রিন সেন্ট মার্টিন, ইউনিক, গ্রিনলাইনসহ অন্যান্য কোম্পানির বাস। সবগুলো বাসই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। একাধিক বাসের কাউন্টার ব্যবস্থাপক জানান, প্রতিটি পরিবহনই দিনে ১২ থেকে ২০টি ট্রিপ দিচ্ছে। বরিশাল-মাদারিপুর-ফরিদপুর মালিক সমিতির বিএমএফ পরিবহন বাস লঞ্চের ডেকের ভাড়ার থেকেও কম ভাড়ায় এখন প্রতিদিন ২০টির মত গাড়ি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা-বরিশাল রুটে আপ-ডাউন করছে। হানিফ পরিবহনের বাস এখন লোকাল বাসের ন্যায় প্রতি আধা ঘণ্টা অন্তর বরিশাল টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে। প্রচেষ্টা পরিবহনের বরিশালস্থ কাউন্টার ম্যানেজার মনির হোসেন জানান, বরিশাল-ঢাকা রুটে আগে তাদের কোন বাস ছিলনা। যাত্রীর সংখ্যাও অনেক ভালো। তবে যাত্রী সংখ্যা এরকম থাকলে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে। তবে তার দাবি এখন যে হারে যাত্রী যাচ্ছেন তার একটি অংশ পদ্মা সেতু দেখতে যাচ্ছেন।
ভবিষ্যতে পরিবহনের সংখ্যা বেশি বেড়ে গেলে বাসের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হতে পারে। আবার বর্তমান চাপ থাকলে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। ঈগল পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সোহেল জানান, তাদের ৪০ আসনের প্রতিটি এসি-নন এসি বাস পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছে। বরিশাল-ঢাকা রুটের নতুন পরিবহন সংস্থার বরিশাল কাউন্টার ম্যানেজার জানান, তাদের নন এসি গাড়ি প্রতি ৫০ মিনিট পরপর ছেড়ে যাচ্ছে আর দেড় ঘণ্টা পরপর এসি (ইকোনমি ও বিজনেস) বাস ছেড়ে যাচ্ছে। এখন ১২টি গাড়ি সার্ভিস দিলেও যাত্রী চাপের ওপর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
বিআরটিএর বরিশাল ডিপো ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তাদের ১৪টি এসি বাস গুলিস্তান পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করছে। কোন নন এসি বাস নেই। প্রতিটি সিটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০শত টাকা। তাদের সব বাসই পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। যাত্রী সংখ্যা বাড়লে বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সম্পাদক কিশোর কুমার দে জানিয়েছেন সকল বেসরকারি বাস কোম্পানির মালিকদেরকে আগেই জানানো হয়েছে এই রুটে লাইসেন্সধারি দক্ষ বাস চালক দিয়ে বাস চালাতে। আসন্ন ঈদের সময় বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানোর প্রস্তুতি চলছে।
লঞ্চভাড়াও কমানো হবে
এদিকে লঞ্চ মালিকেরা বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকার জন্য তাদের মনোপলি ব্যবসা ধরে রাখা যাবেনা বুঝতে পেরে এখন যাত্রী ভাড়ার হারও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লঞ্চ মালিকেরা ডেকের ভাড়া সরকার নির্ধারিত ৩৫৪ টাকার পরিবর্তে ২০০শত টাকা, সিঙ্গেল এসি কেবিন পূর্বের ১,৪০০ শত টাকার পরিবর্তে ১,২০০ হাজার টাকা, নন এসি সিঙ্গেল কেবিন ১,২০০ হাজার পরিবর্তে ১,০০০ শত টাকা, এসি ডবল কেবিন ২,৪০০ টাকার পরিবর্তে ২,০০০ টাকা, নন এসি ডবল কেবিন ২,০০০ টাকার পরিবর্তে ১,৫০০ টাকা, ফ্যামিলি কেবিন ২,৫০০ টাকার পরিবর্তে ২,২০০ টাকা, সোফা ৭০০শত টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা, এমনকি যদি এরপরেও যাত্রী না পাওয়া যায় তাহলে কেবিন ও সোফার ভাড়া আরও কমাবার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনও সব লঞ্চ এই হার কার্যকর করেনি। এমনকি লঞ্চগুলোকে ঢাকা বা বরিশাল থেকে আরও দেরিতে ছেড়ে লঞ্চের গতি বাড়িয়ে বর্তমানে যেসময়ে অন্য প্রান্তে যাচ্ছে তার থেকে কম সময়ে যাত্রী পরিবহন করা যায় কিনা তাও ভাবছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে।