‘আমি জানতাম পুলিশ’র কাম চোর-ডাকাইত ধরা না এখন দেখি তারা আমরারে খানি দিরা ত্রাণও দিরা। ওউ লাগাইয়া ২ বার আমরারে খানি দিলা পুলিশ হকলে। পয়লা বার আমি নৌকায় পুলিশ আওয়া দেখিয়া ডরাইছি। মনো করছি কারে ধরিয়া নিতা করি আইছন। পরে নৌকা কাছে আওয়ার পরে দেখি নৌকার মাঝে বড় ডেগ আর চাউলর বস্তা। আমার ভুল ভাঙ্গিল পুলিশর কাম লইয়া। পুলিশ হকলর খানি পাইয়া পেট ভরিয়া খাইলাম আইজ ২ দিনে।’
ক’দিন আগেই পুলিশকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সিলেটের বিয়ানীবাজার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া এলাকার বাসিন্দা কমলারুন বেগম (৭০)। বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উঠেছেন ঘুঙ্গাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে। এই আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে বন্যার পানি। এখানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এমন স্থানগুলােতেই ত্রাণ নিয়ে ছুটছে সিলেট জেলার পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জেলার প্রত্যেক থানায় বন্যাদুর্গত অন্তত ছয়শ জনের জন্য প্রতিদিন রান্না করা হচ্ছে। এছাড়া এপর্যন্ত ৬২ হাজার মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয়। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে অন্তত ২৪ হাজার মানুষের মধ্যে শুকনাে খাবারের ব্যাগ বিতরণ করা হয়। পুলিশ সিলেটের বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন সংস্থা ও লােকজনকে ত্রাণ বিতরণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মােহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু। ভয় পাওয়া কিছু নেই। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করলেও তাদেরও একটি হৃদয় আছে। যেকােনাে মানবিক বিপর্যয়ে পুলিশ পাশে থাকে।’
বুধবার, ২৯ জুন ২০২২
‘আমি জানতাম পুলিশ’র কাম চোর-ডাকাইত ধরা না এখন দেখি তারা আমরারে খানি দিরা ত্রাণও দিরা। ওউ লাগাইয়া ২ বার আমরারে খানি দিলা পুলিশ হকলে। পয়লা বার আমি নৌকায় পুলিশ আওয়া দেখিয়া ডরাইছি। মনো করছি কারে ধরিয়া নিতা করি আইছন। পরে নৌকা কাছে আওয়ার পরে দেখি নৌকার মাঝে বড় ডেগ আর চাউলর বস্তা। আমার ভুল ভাঙ্গিল পুলিশর কাম লইয়া। পুলিশ হকলর খানি পাইয়া পেট ভরিয়া খাইলাম আইজ ২ দিনে।’
ক’দিন আগেই পুলিশকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন সিলেটের বিয়ানীবাজার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া এলাকার বাসিন্দা কমলারুন বেগম (৭০)। বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উঠেছেন ঘুঙ্গাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে। এই আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে বন্যার পানি। এখানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এমন স্থানগুলােতেই ত্রাণ নিয়ে ছুটছে সিলেট জেলার পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জেলার প্রত্যেক থানায় বন্যাদুর্গত অন্তত ছয়শ জনের জন্য প্রতিদিন রান্না করা হচ্ছে। এছাড়া এপর্যন্ত ৬২ হাজার মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হয়। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে অন্তত ২৪ হাজার মানুষের মধ্যে শুকনাে খাবারের ব্যাগ বিতরণ করা হয়। পুলিশ সিলেটের বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন সংস্থা ও লােকজনকে ত্রাণ বিতরণের সুযোগ করে দিচ্ছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মােহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু। ভয় পাওয়া কিছু নেই। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করলেও তাদেরও একটি হৃদয় আছে। যেকােনাে মানবিক বিপর্যয়ে পুলিশ পাশে থাকে।’