আসন্ন ঈদে নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিতে রেলের আগাম টিকেটের জন্য রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ভিড় করেছে ঘরমুখো মানুষ। রেলের টিকেট নামের সোনার হরিণ পেতে কেউ এসেছেন আগেরদিন দুপুরে, কেউ বিকেলে কেউ বা সন্ধ্যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যারা টিকেট পেয়েছেন তারা হাসিমুখে বেড়িয়ে গেছেন। তবে অনেকে প্রথমদিনের মতো দ্বিতীয় দিনও টিকেট না পাওয়ার ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। এদিকে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘ট্রেনের টিকেটের সংখ্যার তুলনায় যাত্রী অনেকে বেশি। সবাই টিকেট পাবে না। সবাইকে টিকেট দেয়া সম্ভব নয়।’
শনিবার (২ জুলাই) রেলের আগাম টিকেট বিক্রির দ্বিতীয়দিন আগামী ৬ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি করে রেল কর্তৃপক্ষ। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে ৫৮ হাজারের বেশি টিকেট বিক্রি হয়েছে। কমলাপুরসহ ৭টি রেল স্টেশনের কাউন্টার ছাড়াও ওয়েবসাইট এবং রেলসেবা অ্যাপে এবং সারাদেশে টিকেট বিক্রি করে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে ৫৮ হাজারের বেশি টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে।
রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে শনিবার সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ট্রেনের টিকেট বিক্রির প্রথম দিনে ভোগান্তির সেই পুরোনো চিত্র আগেরদিন রাত থেকেই ৬ জুলাইয়ের টিকেট পেতে স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
টিকেটপ্রত্যাশীরা জানিয়েছেন, অগ্রিম টিকেট পেতে কমলাপুরে কেউ কেউ প্রায় ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ কেউ আবার নিজের সিরিয়াল দখলে রেখে গোসল সেরে নিতেও দেখা গেছে। কিন্তু লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে সবাই টিকেট পাননি। অনেকেই টিকেট না পেয়ে ফিরে গেছেন।
টিকেটপ্রত্যাশীরাদের কেউ কেউ আবার লাইনে দাঁড়িয়েও অনলাইনে টিকেট কেনার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে মাত্র একটি কাউন্টার থেকে দেয়া হচ্ছে নারীদের টিকেট। তাই তাদেরও ভোগান্তি বেশি হয়েছে। সব মিলিয়ে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির প্রথমদিনের মতো দ্বিতীয় দিনও ভোগান্তিতেই পার হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার তৃতীয় দিনে আগামী ৭ জুলাইয়ের টিকেট দেয়া হবে। এজন্য শনিবার থেকেই কাউন্টারগুলোতে লাইন দিয়ে রেখেছেন। এরপরও টিকেট পাবেন কি না সন্দিহান অনেকে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার ৪ জুলাই দেয়া হবে ৮ জুলাইয়ের টিকেট এবং ৫ জুলাই দেয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকেট। আর ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। সেদিন ১১ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি হবে। এছাড়া ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকেট, ৯ জুলাই দেয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকেট, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের প্রতিদিন ২৬ হাজার ৭২৯টি অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীসহ মোট সাতটি জায়গা থেকে সকাল ৮টায় একযোগে ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়। জয়দেবপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ফুলবাড়িয়া, ঢাকা কমলাপুর এবং কমলাপুরের আরেকটি জায়গা নারায়ণগঞ্জ শহরতলী থেকে ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। অনলাইনে অর্ধেক টিকেট এবং অর্ধেক টিকেট কাউন্টার থেকে বিক্রি হচ্ছে।
অনলাইনে ৫ মিনিটেই দ্বিতীয় দিনের টিকেট শেষ
শনিবার অনলাইনে টিকেট বিক্রি শুরুর প্রথম পাঁচ মিনিটেই ৬ জুলাইয়ের সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। সূত্র জানায়, এদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্য সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৮ কোটির মতো হিট পড়ে। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, বারবার চেষ্টা করেও টিকেট কিনতে না পেরে বাধ্য হয়ে কমলাপুরের রেলওয়ে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।
অনলাইন টিকেটে ফাঁকফোকর পেলে ব্যবস্থা : রেলমন্ত্রী
অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটতে ভোগান্তির শিকার হলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ বিষয়ে তথ্য জানাতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় অনলাইনে টিকেট কাটতে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। তবে এবার এখন পর্যন্ত সে ধরনের অভিযোগ পাইনি। গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকেই অনলাইন মাধ্যমে টিকেট কাটতে পেরেছেন। এরপরও এবার অনলাইন টিকিটে ফাঁকফোকর পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের জন্য উন্নতমানের ট্রলি সরবরাহ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু এবং পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল শুরু হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। তখন আসন সংখ্যাও বাড়বে।
শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২
আসন্ন ঈদে নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিতে রেলের আগাম টিকেটের জন্য রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ভিড় করেছে ঘরমুখো মানুষ। রেলের টিকেট নামের সোনার হরিণ পেতে কেউ এসেছেন আগেরদিন দুপুরে, কেউ বিকেলে কেউ বা সন্ধ্যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে যারা টিকেট পেয়েছেন তারা হাসিমুখে বেড়িয়ে গেছেন। তবে অনেকে প্রথমদিনের মতো দ্বিতীয় দিনও টিকেট না পাওয়ার ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। এদিকে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘ট্রেনের টিকেটের সংখ্যার তুলনায় যাত্রী অনেকে বেশি। সবাই টিকেট পাবে না। সবাইকে টিকেট দেয়া সম্ভব নয়।’
শনিবার (২ জুলাই) রেলের আগাম টিকেট বিক্রির দ্বিতীয়দিন আগামী ৬ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি করে রেল কর্তৃপক্ষ। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে ৫৮ হাজারের বেশি টিকেট বিক্রি হয়েছে। কমলাপুরসহ ৭টি রেল স্টেশনের কাউন্টার ছাড়াও ওয়েবসাইট এবং রেলসেবা অ্যাপে এবং সারাদেশে টিকেট বিক্রি করে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে ৫৮ হাজারের বেশি টিকেট বিক্রি হয়েছে বলে রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে।
রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে শনিবার সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, ট্রেনের টিকেট বিক্রির প্রথম দিনে ভোগান্তির সেই পুরোনো চিত্র আগেরদিন রাত থেকেই ৬ জুলাইয়ের টিকেট পেতে স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
টিকেটপ্রত্যাশীরা জানিয়েছেন, অগ্রিম টিকেট পেতে কমলাপুরে কেউ কেউ প্রায় ২০ থেকে ২৫ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ কেউ আবার নিজের সিরিয়াল দখলে রেখে গোসল সেরে নিতেও দেখা গেছে। কিন্তু লম্বা লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে সবাই টিকেট পাননি। অনেকেই টিকেট না পেয়ে ফিরে গেছেন।
টিকেটপ্রত্যাশীরাদের কেউ কেউ আবার লাইনে দাঁড়িয়েও অনলাইনে টিকেট কেনার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে মাত্র একটি কাউন্টার থেকে দেয়া হচ্ছে নারীদের টিকেট। তাই তাদেরও ভোগান্তি বেশি হয়েছে। সব মিলিয়ে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির প্রথমদিনের মতো দ্বিতীয় দিনও ভোগান্তিতেই পার হয়েছে।
এদিকে আজ সোমবার তৃতীয় দিনে আগামী ৭ জুলাইয়ের টিকেট দেয়া হবে। এজন্য শনিবার থেকেই কাউন্টারগুলোতে লাইন দিয়ে রেখেছেন। এরপরও টিকেট পাবেন কি না সন্দিহান অনেকে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামীকাল মঙ্গলবার ৪ জুলাই দেয়া হবে ৮ জুলাইয়ের টিকেট এবং ৫ জুলাই দেয়া হবে ৯ জুলাইয়ের ট্রেনের টিকেট। আর ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে ৭ জুলাই থেকে। সেদিন ১১ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি হবে। এছাড়া ৮ জুলাই ১২ জুলাইয়ের টিকেট, ৯ জুলাই দেয়া হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকেট, ১১ জুলাই ১৪ এবং ১৫ জুলাইয়ের টিকেট বিক্রি হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের প্রতিদিন ২৬ হাজার ৭২৯টি অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীসহ মোট সাতটি জায়গা থেকে সকাল ৮টায় একযোগে ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়। জয়দেবপুর, ঢাকা বিমানবন্দর, তেজগাঁও, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ফুলবাড়িয়া, ঢাকা কমলাপুর এবং কমলাপুরের আরেকটি জায়গা নারায়ণগঞ্জ শহরতলী থেকে ৩৭টি আন্তঃনগর ট্রেনের ঈদের টিকেট বিক্রি হচ্ছে। অনলাইনে অর্ধেক টিকেট এবং অর্ধেক টিকেট কাউন্টার থেকে বিক্রি হচ্ছে।
অনলাইনে ৫ মিনিটেই দ্বিতীয় দিনের টিকেট শেষ
শনিবার অনলাইনে টিকেট বিক্রি শুরুর প্রথম পাঁচ মিনিটেই ৬ জুলাইয়ের সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। সূত্র জানায়, এদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্য সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ৮ কোটির মতো হিট পড়ে। অনেক যাত্রীর অভিযোগ, বারবার চেষ্টা করেও টিকেট কিনতে না পেরে বাধ্য হয়ে কমলাপুরের রেলওয়ে স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের।
অনলাইন টিকেটে ফাঁকফোকর পেলে ব্যবস্থা : রেলমন্ত্রী
অনলাইনে ট্রেনের টিকেট কাটতে ভোগান্তির শিকার হলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এ বিষয়ে তথ্য জানাতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান তিনি। মন্ত্রী বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় অনলাইনে টিকেট কাটতে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। তবে এবার এখন পর্যন্ত সে ধরনের অভিযোগ পাইনি। গণমাধ্যমে দেখলাম অনেকেই অনলাইন মাধ্যমে টিকেট কাটতে পেরেছেন। এরপরও এবার অনলাইন টিকিটে ফাঁকফোকর পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের জন্য উন্নতমানের ট্রলি সরবরাহ অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতু এবং পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল শুরু হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যাবে। তখন আসন সংখ্যাও বাড়বে।