কানাডার প্রবাসী ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) সুরঞ্জন দাশ (৮২) ও তার স্ত্রী সুপর্ণা দাশ (৭০) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (৬ আগস্ট) ভোরে কানাডার ভ্যানকুভারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুরঞ্জন দাশের আত্মীয় নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা।
তিনি জানান, তাদের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সুরঞ্জন দাশ নবীগঞ্জ কীর্তি নারায়ণ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পরে তিনি ভারতের মেঘালয়ে অবস্থিত ইকো-ওয়ান প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিতে সীমান্ত অতিক্রম করে ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন।
এ কারণে পাকিস্তানি সেনারা তার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে সবকিছু জ্বালিয়ে দেয় এবং তার ভাই ও বৃদ্ধ খালুসহ অনেক আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করে।
যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন হলে সুরঞ্জন দাশ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে কিছুদিন চাকরির পর অবসর গ্রহণ করেন।
সুরঞ্জন দাশ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাতৃভূমি পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি নিজ এলাকায় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে তিনি কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখানে থেকে নিজ এলাকায় কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়মিত অংশ নিতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে কানাডায় চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
রোববার, ০৭ আগস্ট ২০২২
কানাডার প্রবাসী ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) সুরঞ্জন দাশ (৮২) ও তার স্ত্রী সুপর্ণা দাশ (৭০) সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (৬ আগস্ট) ভোরে কানাডার ভ্যানকুভারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুরঞ্জন দাশের আত্মীয় নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা।
তিনি জানান, তাদের মরদেহ দেশে আনা হবে কি না তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সুরঞ্জন দাশ নবীগঞ্জ কীর্তি নারায়ণ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
পরে তিনি ভারতের মেঘালয়ে অবস্থিত ইকো-ওয়ান প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিতে সীমান্ত অতিক্রম করে ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন।
এ কারণে পাকিস্তানি সেনারা তার বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে সবকিছু জ্বালিয়ে দেয় এবং তার ভাই ও বৃদ্ধ খালুসহ অনেক আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করে।
যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন হলে সুরঞ্জন দাশ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানে কিছুদিন চাকরির পর অবসর গ্রহণ করেন।
সুরঞ্জন দাশ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক মাতৃভূমি পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি নিজ এলাকায় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করেন।
পরে তিনি কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সেখানে থেকে নিজ এলাকায় কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিয়মিত অংশ নিতেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে কানাডায় চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।