জনবল সংকটে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রম কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনায় দিন-দিন ঝিমিয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, জনবল সংকটে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে জন্মনিয়ন্ত্রণসহ স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম মুখথুবড়ে পড়েছে। ফলে মাঠ পর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে, ইকরচালী ও হাড়ীয়ারকুঠি কেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসারের পদ শূন্য থাকায় দায়িত্ব পালন করছেন আয়া পিওন ফার্মাসিস্টরা। দীর্ঘদিন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার গুরত্বপূর্ণ পদটি শূন্য থাকায় গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জোড়াতালি দিয়ে স্থায়ী পদ্ধতি ও ইমপ্লানন পদ্ধতির সেবা প্রদানসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের দম্পতিরা পদ্ধতি গ্রহণের পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হলে ভুক্তভোগীরা সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হঠাৎ জ্বর ব্যথাসহ নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত হলে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে সেবা না পেয়ে বিমুখ হয়ে ফিরছে ভুক্তভোগীগণ।
বছরের বিভিন্ন সময় সরকারের দেয়া সেবামূলক কর্মসূচীগুলো পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল দায়সারাভাবে পালন করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও তিনি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন ক্যাডার কিন্তু তিনি নিজেকে ক্যাডার পরিচয় দিয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দাবি করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে দাপট খাটান বলে অভিযোগ করছে ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে সুধী-সমাজসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে জানাজানি হলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে, ইকরচালী ও হাড়ীয়ারকুঠি কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পদ ও সয়ার এবং আলমপুর কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট আয়া পিওন পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকার সুযোগে চিকিৎসক না হয়েও মেডিক্যাল অফিসারের শূন্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন আয়া পিওন ফার্মাসিস্টরা। ফলে সরকারের বিনামূল্যের এ সেবা থেকেও বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
এ উপজেলার কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদকে জানান, বর্তমান পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেই ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে এতে তিনি চরম অনিয়ম করছেন বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে এ এলাকার সুধী-সমাজের লোকজন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে সরেজমিন তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন, আমি কোন অনিয়ম করি না। যা করি নিয়মের মধ্যে করি।
এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের রংপুরের উপ-পরিচালক ডা. শাইদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি শূন্যপদ পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠি দেয়া হয়েছে। আব্দুল জলিল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
সে যদি নিজেকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জনবল সংকটে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ
সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রম কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনায় দিন-দিন ঝিমিয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, জনবল সংকটে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরে জন্মনিয়ন্ত্রণসহ স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম মুখথুবড়ে পড়েছে। ফলে মাঠ পর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে, ইকরচালী ও হাড়ীয়ারকুঠি কেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসারের পদ শূন্য থাকায় দায়িত্ব পালন করছেন আয়া পিওন ফার্মাসিস্টরা। দীর্ঘদিন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার গুরত্বপূর্ণ পদটি শূন্য থাকায় গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জোড়াতালি দিয়ে স্থায়ী পদ্ধতি ও ইমপ্লানন পদ্ধতির সেবা প্রদানসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের দম্পতিরা পদ্ধতি গ্রহণের পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হলে ভুক্তভোগীরা সঠিক পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হঠাৎ জ্বর ব্যথাসহ নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত হলে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে সেবা না পেয়ে বিমুখ হয়ে ফিরছে ভুক্তভোগীগণ।
বছরের বিভিন্ন সময় সরকারের দেয়া সেবামূলক কর্মসূচীগুলো পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল দায়সারাভাবে পালন করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও তিনি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নন ক্যাডার কিন্তু তিনি নিজেকে ক্যাডার পরিচয় দিয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দাবি করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে দাপট খাটান বলে অভিযোগ করছে ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনাটি এলাকাবাসীর মধ্যে সুধী-সমাজসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে জানাজানি হলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে, ইকরচালী ও হাড়ীয়ারকুঠি কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার পদ ও সয়ার এবং আলমপুর কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট আয়া পিওন পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকার সুযোগে চিকিৎসক না হয়েও মেডিক্যাল অফিসারের শূন্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন আয়া পিওন ফার্মাসিস্টরা। ফলে সরকারের বিনামূল্যের এ সেবা থেকেও বঞ্চিত দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
এ উপজেলার কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদকে জানান, বর্তমান পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেই ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নিজেকে পরিচয় দেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে এতে তিনি চরম অনিয়ম করছেন বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে এ এলাকার সুধী-সমাজের লোকজন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে সরেজমিন তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন, আমি কোন অনিয়ম করি না। যা করি নিয়মের মধ্যে করি।
এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের রংপুরের উপ-পরিচালক ডা. শাইদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি শূন্যপদ পূরণের জন্য মন্ত্রণালয়ে বারবার চিঠি দেয়া হয়েছে। আব্দুল জলিল ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।
সে যদি নিজেকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।